হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
প্রারম্ভিক লক্ষণ (গর্ভধারণের 1-4 সপ্তাহ):
- মাসিক বন্ধ হওয়া: এটি গর্ভাবস্থার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ।
- বমি বমি ভাব: বিশেষ করে সকালে, ‘প্রভাতকালীন অসুস্থতা’ হিসেবে পরিচিত।
- স্তনে পরিবর্তন: স্তন স্পর্শকাতর, ফোলা এবং ভারী হতে পারে।
- হালকা রক্তপাত: ‘ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত’ নামে পরিচিত, যা গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে ঘটতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: দ্রুত ক্লান্তি বোধ করা।
- মাথাব্যথা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- বমি: বিশেষ করে সকালে।
- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ঘ্রাণের অনুভূতি: কিছু খাবার বা গন্ধের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা।
- বারবার প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
পরবর্তী লক্ষণ (4-8 সপ্তাহ):
- স্তনের আকার বৃদ্ধি: স্তন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বেদনাদায়ক হতে পারে।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: তীব্র হতে পারে।
- ক্ষুধামান্দ্য: কিছু খাবারের প্রতি অনীহা এবং অন্যদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা।
- পেটে ব্যথা: ‘গ্যাস্ট্রিক’ ব্যথা হতে পারে।
- মাথাব্যথা: আরও তীব্র হতে পারে।
- ঘুমের সমস্যা: ঘুমাতে অসুবিধা বা অতিরিক্ত ঘুম।
- চুলকানি: ত্বকের চুলকানি হতে পারে।
- চোখের জ্বালা: চোখ জ্বালাপোড়া বা জল গড়ানো হতে পারে।
- রক্তচাপে পরিবর্তন: সামান্য হ্রাস বা বৃদ্ধি।
মনে রাখবেন:
- এই লক্ষণগুলি সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
- কিছু লক্ষণ গুরুতর হতে পারে, যেমন তীব্র রক্তপাত বা তীব্র পেট ব্যথা।
- গর্ভাবস্থার লক্ষণ অনুভব করলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থার পরীক্ষা:
- প্রস্রাবে বা রক্তে গর্ভধারণ পরীক্ষা গর্ভাবস্থার নিশ্চিতকরণের সবচেয়ে সহজ উপায়।
- ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাও করতে পারেন।
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য:
- সুষম খাবার খান।
- প্রচুর পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুমান।
- ধূমপান, মদ্যপান, এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
মনে রাখবেন, পিরিয়ড মিস হওয়া গর্ভাবস্থার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ। তবে, পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা গর্ভাবস্থার ইঙ্গিত বহন করে।
প্রারম্ভিক লক্ষণ (গর্ভধারণের 1-4 সপ্তাহ):
- বমি বমি ভাব: বিশেষ করে সকালে, ‘প্রভাতকালীন অসুস্থতা’ হিসেবে পরিচিত।
- স্তনে পরিবর্তন: স্তন স্পর্শকাতর, ফোলা এবং ভারী হতে পারে।
- হালকা রক্তপাত: ‘ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত’ নামে পরিচিত, যা গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে ঘটতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: দ্রুত ক্লান্তি বোধ করা।
- মাথাব্যথা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- বমি: বিশেষ করে সকালে।
- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ঘ্রাণের অনুভূতি: কিছু খাবার বা গন্ধের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা।
- বারবার প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
অন্যান্য লক্ষণ:
- পেটে টান ধরা: ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে হালকা পেটে টান ধরা অনুভূতি হতে পারে।
- যোনী থেকে স্রাব: স্বচ্ছ, পাতলা, সাদা বা হলুদ রঙের স্রাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
- গরমের অনুভূতি: সারা শরীরে গরম অনুভূতি হতে পারে।
- ঘুমের সমস্যা: ঘুমাতে অসুবিধা বা অতিরিক্ত ঘুম।
- চুলকানি: ত্বকের চুলকানি হতে পারে।
- চোখের জ্বালা: চোখ জ্বালাপোড়া বা জল গড়ানো হতে পারে।
- রক্তচাপে পরিবর্তন: সামান্য হ্রাস বা বৃদ্ধি।
মনে রাখবেন:
- এই লক্ষণগুলি সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
- কিছু লক্ষণ অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।
- গর্ভাবস্থার লক্ষণ অনুভব করলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থার পরীক্ষা:
- প্রস্রাবে বা রক্তে গর্ভধারণ পরীক্ষা গর্ভাবস্থার নিশ্চিতকরণের সবচেয়ে সহজ উপায়।
- ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাও করতে পারেন।
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য:
- সুষম খাবার খান।
- প্রচুর পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুমান।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি গর্ভধারণের কত দিন পরে বোঝা যায় তা ব্যক্তিভেদে এবং গর্ভধারণের ধরন অনুসারে (যেমন স্বাভাবিক বা আইভিএফ) ভিন্ন হতে পারে।
প্রথম লক্ষণগুলি সাধারণত গর্ভধারণের 4-6 সপ্তাহ পরে দেখা দেয়, যখন ভ্রূণ জরায়ুতে প্রোথিত হয়।
কিছু সাধারণ প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- মিসড পিরিয়ড: এটি গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ, তবে এটি অনিয়মিত পিরিয়ডযুক্ত মহিলাদের জন্য স্পষ্ট নাও হতে পারে।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: বিশেষ করে সকালে, এটি “প্রভাতকালীন অসুস্থতা” নামে পরিচিত।
- স্তনে পরিবর্তন: স্তন স্পর্শকাতর, ফোলা এবং ভারী বোধ করতে পারে।
- হালকা রক্তপাত: ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত নামে পরিচিত, এটি গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে ঘটতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: দ্রুত ক্লান্তি বোধ করা।
- মাথাব্যথা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- বমি: বিশেষ করে সকালে।
- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ঘ্রাণের অনুভূতি: কিছু খাবার বা গন্ধের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা।
- বারবার প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
কিছু মহিলা গর্ভধারণের খুব শুরুতেই লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারে, যেমন:
- গর্ভধারণের 1-2 সপ্তাহ পরে: ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত, যা হালকা রক্তপাত বা দাগ হতে পারে।
- গর্ভধারণের 3-4 সপ্তাহ পরে: স্তনে স্পর্শকাতরতা এবং ফোলাভাব।
- গর্ভধারণের 4-5 সপ্তাহ পরে: বমি বমি ভাব এবং বমি।
অন্যরা তাদের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে সচেতন নাও হতে পারে যতক্ষণ না তারা তাদের পিরিয়ড মিস করে।
আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গর্ভ পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভ পরীক্ষা প্রস্রাবে বা রক্তে করা যেতে পারে।
আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে ডাক্তারের সাথে প্রাক-জন্মগত যত্নের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক-জন্মগত যত্ন আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারে।
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
পিরিয়ডের লক্ষণ:
- পেটে ব্যথা: ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে এবং তার সময় পেটে টান ধরা বা খিঁচুনি অনুভূত হতে পারে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- ব্রণ: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- ক্ষুধা পরিবর্তন: অতিরিক্ত ক্ষুধা বা খাবারে অরুচি।
- স্তন স্পর্শকাতরতা: ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে স্তন স্পর্শকাতর এবং ফোলা হতে পারে।
- থকান:
- মাথাব্যথা:
- ঘুমের সমস্যা:
- যোনী থেকে রক্তপাত: ঋতুস্রাবের সময় যোনী থেকে রক্ত বের হয়।
গর্ভাবস্থার লক্ষণ:
- মিসড পিরিয়ড: এটি গর্ভাবস্থার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ, তবে এটি অনিয়মিত পিরিয়ডযুক্ত মহিলাদের জন্য স্পষ্ট নাও হতে পারে।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: বিশেষ করে সকালে, এটি “প্রভাতকালীন অসুস্থতা” নামে পরিচিত।
- স্তনে পরিবর্তন: স্তন স্পর্শকাতর, ফোলা এবং ভারী বোধ করতে পারে।
- হালকা রক্তপাত: ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত নামে পরিচিত, এটি গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে ঘটতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: দ্রুত ক্লান্তি বোধ করা।
- মাথাব্যথা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- বমি: বিশেষ করে সকালে।
- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ঘ্রাণের অনুভূতি: কিছু খাবার বা গন্ধের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা।
- বারবার প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
কিছু লক্ষণ যা পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থার জন্য একই হতে পারে:
- পেটে ব্যথা:
- মেজাজের পরিবর্তন:
- ব্রণ:
- ক্ষুধা পরিবর্তন:
- স্তন স্পর্শকাতরতা:
- থকান:
- মাথাব্যথা:
- ঘুমের সমস্যা:
মনে রাখবেন:
- এই লক্ষণগুলি সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
- কিছু লক্ষণ অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।
- গর্ভাবস্থার লক্ষণ অনুভব করলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
হ্যাঁ, কোমর ব্যথা গর্ভাবস্থার একটি লক্ষণ হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, প্রায় 50% গর্ভবতী মহিলা তাদের গর্ভাবস্থার কোনও না কোনও সময় কোমর ব্যথার অভিজ্ঞতা পান।
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- হরমোন: গর্ভাবস্থায় শরীর যে হরমোন নিঃসরণ করে তা শরীরের স্থায়ী এবং অস্থায়ী জয়েন্টগুলিকে শিথিল করে, যার ফলে কোমরে অতিরিক্ত চাপ এবং অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন পিঠের পেশীগুলিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- জরায়ুর অবস্থান: গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হয়ে ওঠে, এটি মেরুদণ্ডের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং কোমর ব্যথা হতে পারে।
- পেশীর টান: গর্ভাবস্থায় পেশী টান, বিশেষ করে পিঠের নিচের অংশে, কোমর ব্যথার আরেকটি সাধারণ কারণ।
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা সাধারণত হালকা হয় এবং বাড়িতে চিকিত্সা করা যায়। কোমর ব্যথা কমাতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
- গরম বা ঠান্ডা সেঁক: ব্যথার স্থানে 20 মিনিটের জন্য একবারে গরম বা ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন।
- ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম, যেমন হাঁটা বা সাঁতার কাটা, পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং কোমর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- স্ট্রেচিং: নিয়মিত স্ট্রেচিং পেশীগুলিকে নমনীয় রাখতে এবং কোমর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ভালো মুদ্রা: দাঁড়ানো, বসা এবং ঘুমানোর সময় ভাল মুদ্রা বজায় রাখা মেরুদণ্ডের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- সহায়ক জুতা: সহায়ক জুতা পরা পিঠের নিচের অংশে চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ম্যাসাজ: পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং কোমর ব্যথা কমাতে ম্যাসাজ সহায়ক হতে পারে।
- ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথার ওষুধ: অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথার ওষুধ কোমর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার যদি গর্ভাবস্থায় তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। গুরুতর কোমর ব্যথা একটি গর্ভাবস্থার জটিলতার লক্ষণ হতে পারে, যেমন প্রসবের আগে প্রস্রাবের থলি বা কিডনিতে পাথর।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পরে আপনি গর্ভবতী কিনা তা বোঝা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যেমন:
- আপনার মাসিক চক্রের নিয়মিততা: যদি আপনার মাসিক চক্র নিয়মিত হয়, তবে আপনি আপনার পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার তারিখের এক সপ্তাহ পরে গর্ভ পরীক্ষা করতে পারেন।
- আপনি কখন গর্ভধারণ করেছেন: আপনি যদি আপনার গর্ভধারণের তারিখ জানেন, তবে আপনি গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে গর্ভ পরীক্ষা করতে পারেন।
- গর্ভ পরীক্ষার ধরণ: প্রস্রাবে করা গর্ভ পরীক্ষা রক্তের গর্ভ পরীক্ষার তুলনায় কম সংবেদনশীল।
সাধারণত, মাসিক মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পরে গর্ভ পরীক্ষা করা বেশ নির্ভুল।
কিছু লক্ষণ যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করতে পারে যে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন:
- বমি বমি ভাব এবং বমি: বিশেষ করে সকালে, এটি “প্রভাতকালীন অসুস্থতা” নামে পরিচিত।
- স্তনে পরিবর্তন: স্তন স্পর্শকাতর, ফোলা এবং ভারী বোধ করতে পারে।
- হালকা রক্তপাত: ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত নামে পরিচিত, এটি গর্ভধারণের 10-14 দিন পরে ঘটতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: দ্রুত ক্লান্তি বোধ করা।
- মাথাব্যথা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- মেজাজের পরিবর্তন: খিটখিটে, আবেগপ্রবণ, বা হতাশ বোধ করা।
- বমি: বিশেষ করে সকালে।
- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ঘ্রাণের অনুভূতি: কিছু খাবার বা গন্ধের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা।
- বারবার প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
আপনার যদি মাসিক মিস হয় এবং আপনি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি গর্ভ পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু টিপস:
- প্রথম প্রস্রাবে গর্ভ পরীক্ষা করুন: এটি সবচেয়ে নির্ভুল ফলাফল দেয়।
- পরীক্ষার নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করুন:
- যদি ফলাফল নেতিবাচক হয় এবং আপনার মাসিক এখনও শুরু হয়নি, তাহলে এক সপ্তাহ পরে আবার পরীক্ষা করুন।
- আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
মনে রাখবেন:
- এই লক্ষণগুলি সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
- কিছু লক্ষণ অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়
গর্ভবতী হওয়ার পর বমি বমি ভাব, যা “প্রভাতকালীন অসুস্থতা” নামেও পরিচিত, 6-8 সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে।
তবে, কিছু মহিলার ক্ষেত্রে 4 সপ্তাহের মধ্যেই বমি বমি ভাব শুরু হতে পারে, আবার 12 সপ্তাহের পরেও তা থাকতে পারে।
কতক্ষণ বমি হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তির উপর।
কিছু টিপস:
- বারবার অল্প পরিমাণে খাবার খান:
- শুকনো খাবার খান:
- ঝাল, তৈলাক্ত, এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
- আদা, জিরা, এবং পুদিনার মতো ভেষজ খাবার খান:
- প্রচুর বিশ্রাম নিন:
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভিটামিন B6 সম্পূরক খান:
যদি বমি বমি ভাব তীব্র হয় এবং আপনি পানি ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন:
- বমি বমি ভাব গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ লক্ষণ।
- তীব্র বমি বমি ভাব ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
- আপনার যদি তীব্র বমি বমি ভাব হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়
প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:
- আপনার গর্ভধারণের তারিখ: আপনি যদি আপনার গর্ভধারণের তারিখ জানেন, তবে আপনি গর্ভধারণের 6-8 সপ্তাহ পরে আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার আশা করতে পারেন।
- আপনার মাসিক চক্রের নিয়মিততা: যদি আপনার মাসিক চক্র নিয়মিত হয়, তবে আপনি আপনার পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার তারিখের এক সপ্তাহ আগে গর্ভধারণ করলে আপনার মাসিক বন্ধ হবে।
সাধারণত, প্রেগন্যান্ট হওয়ার 4-6 সপ্তাহ পরে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
কিছু লক্ষণ যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করতে পারে যে আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে:
- আপনার মাসিক শুরু হওয়ার তারিখ পেরিয়ে গেছে:
- আপনার যোনি থেকে রক্তপাত বা দাগ নেই:
- আপনি গর্ভাবস্থার অন্যান্য লক্ষণগুলি অনুভব করছেন:
আপনার যদি মাসিক বন্ধ হয় এবং আপনি গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি গর্ভ পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখবেন:
- প্রতিটি মহিলার শরীর ভিন্ন, তাই আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় অন্যদের তুলনায় আলাদা হতে পারে।
- কিছু মহিলার গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে হালকা রক্তপাত হতে পারে, যা ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত নামে পরিচিত।
- আপনার যদি অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ মৃত বাবাকে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
Pingback: বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় - BCNEWSZ6