যক্ষা (টিবি) একটি ছোঁয়াচে রোগ যা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এই ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, তবে এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কি কি হতে পারে তা আলোচনা করবো আজকের পোস্ট থেকে।
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন। যক্ষার একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা হল অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সাধারণত ছয় থেকে আট মাস ধরে নেওয়া হয়। যক্ষার চিকিৎসার সময়, রোগীকে অন্যদের কাছ থেকে আলাদা রাখা উচিত যাতে রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে।
যক্ষার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ঘরোয়া চিকিৎসা নেই। যাইহোক, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এবং পদ্ধতি উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করতে এবং রোগীর সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: যক্ষা রোগীদের সুস্থ হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন। ফল, সবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া: যক্ষা একটি ক্লান্তিকর রোগ। রোগীদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং তাদের শরীরকে সুস্থ হওয়ার জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- হাইড্রেটেড থাকা: যক্ষা রোগীদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা উচিত। এটি শরীরকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
- কাশির ওষুধ নেওয়া: কফ শরীর থেকে সংক্রমণের জীবাণুগুলিকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে, কফ খুব বেশি হলে তা কষ্টকর হতে পারে। কাশির ওষুধ কফ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ইউক্যালিপ্টাস বাষ্প নেওয়া: ইউক্যালিপ্টাস একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা ফুসফুসের সংক্রমণকে দূর করতে সাহায্য করতে পারে। একটি পাত্রে গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস তেল যোগ করুন এবং তারপর বাষ্প নিন।
- ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা: ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যক্ষা রোগীদের ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে বা পরিপূরক গ্রহণ করতে বলা যেতে পারে।
উপরের বর্ণিত এই পদ্ধতি গুলি এই যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।
যক্ষা রোগীদের জন্য সতর্কতা
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর সাথে সাথে যক্ষা রোগীদের জন্য কিছু সতর্কতা দেওয়া হলো।
- অন্যদের কাছ থেকে আলাদা থাকুন: যক্ষা একটি ছোঁয়াচে রোগ। যক্ষা রোগীদের অন্যদের কাছ থেকে আলাদা থাকা উচিত যাতে রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে।
- মাস্ক পরুন: যক্ষা রোগীরা মাস্ক পরতে পারেন যাতে তাদের কাশির জীবাণুগুলি অন্যদের না ছড়িয়ে পড়ে।
- অন্যান্যদের টিবি পরীক্ষা করান: যক্ষা রোগীরা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের টিবি পরীক্ষা করানোর জন্য উৎসাহিত করা উচিত।
যক্ষা একটি গুরুতর রোগ। যক্ষার উপসর্গগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবেন।
যক্ষা রোগীর খাবার তালিকা
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর সাথে সাথে যক্ষা রোগীর খাবার তালিকাগুলিও মেনে চলুন। যক্ষা রোগীরা প্রায়ই ওজন কমে যায় এবং তাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই তাদের জন্য একটি সুষম খাদ্য তালিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্য তালিকায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা রোগীর শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে।
যক্ষা রোগীর জন্য খাদ্য তালিকার কিছু টিপস:
- ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। যক্ষা রোগীর ওজন বাড়াতে ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার
- বাদাম, শস্য
- ফল, সবজি
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। প্রোটিন রোগীর শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে মেরামত করতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার
- বাদাম, শস্য
- ডাল, শিম
- ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। ভিটামিন এবং খনিজ রোগীর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- ফল, সবজি
- ফলের রস
- শাকসবজির সালাদ
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- লাল মাংস
- ডাল, শিম
- সবুজ শাকসবজি
- অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল এবং ধূমপান যক্ষা রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে।
যক্ষা রোগীর জন্য কিছু খাবারের উদাহরণ:
- ব্রেকফাস্ট: ওটমিল, ফলের সালাদ, ডিম, দুধ, দই
- দুপুরের খাবার: ভাত, মাছ বা মুরগির মাংস, সবজি, ডাল
- রাতের খাবার: মাছ বা মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, দুধ, দই
- স্ন্যাকস: ফল, বাদাম, শস্য
যক্ষা রোগীর জন্য কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন:
- অতিরিক্ত ভাজা খাবার
- চিনিযুক্ত পানীয়
- প্রক্রিয়াজাত খাবার
- ফাস্ট ফুড
- অ্যালকোহল
- ধূমপান
যক্ষা রোগের চিকিৎসা
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং যক্ষা রোগের চিকিৎসা একই জিনিস। যখন ঘরোয়া পদ্ধতিতে যক্ষা ভালো না হয় তখন চিকিতসকের পরামর্শ নিন। যক্ষ্মার চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হল টিবি জীবাণুকে মেরে ফেলা এবং রোগের পুনরাবৃত্তি রোধ করা। চিকিৎসা সাধারণত 6-9 মাস স্থায়ী হয় এবং এটিতে একাধিক এন্টিবায়োটিকের একটি কোর্স অন্তর্ভুক্ত থাকে।
যক্ষ্মার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সাধারণ এন্টিবায়োটিকগুলি হল:
- রিফাম্পিসিন
- ইথামবুটোল
- আইসোনিয়াজিড
- পিরাজিনামাইড
- স্ট্রাপটোমাইসিন
কিছু ক্ষেত্রে, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (MDR-TB) বা এক্সটেনডেড ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (XDR-TB) এর মতো টিবির আরও প্রতিরোধী রূপের জন্য আরও শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে।
যক্ষ্মার চিকিৎসার জন্য রোগীর অবশ্যই নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে টিবি জীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে, যা চিকিৎসাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
টিবি রোগের ঔষধের নাম
টিবি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান ওষুধগুলি হল:
- ইসোনিয়াজিড (INH): এটি টিবি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি এবং বিভাজনকে বাধা দেয়।
- রিফ্যামপিসিন (RMP): এটি টিবি ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ সংশ্লেষণকে বাধা দেয়।
- পিরাজিনামাইড (PZA): এটি টিবি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরকে ক্ষতি করে।
- ইথাম্বুটোল (EMB): এটি টিবি ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণকে বাধা দেয়।
- স্ট্রেপ্টোমাইসিন (SM): এটি টিবি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরকে ক্ষতি করে।
এই ওষুধগুলি সাধারণত একসাথে একক ড্রাগ রেজিমেন হিসাবে দেওয়া হয়। টিবির চিকিৎসার সময়কাল সাধারণত ছয় মাস থেকে আট মাস পর্যন্ত হয়।
যক্ষা রোগের লক্ষণ
যক্ষার লক্ষণগুলি সাধারণত ফুসফুসে সংক্রমণের সাথে যুক্ত, তবে এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন।
- দীর্ঘস্থায়ী কাশি, যা কয়েক সপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হয়
- কাশি দিয়ে রক্ত বের হওয়া
- বুকে ব্যথা
- ক্লান্তি
- ওজন হ্রাস
- জ্বর
- ঘাম
- শ্বাসকষ্ট
শরীরের অন্যান্য অংশে যক্ষার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- লসিকা গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি
- হাড় বা গিট ব্যথা
- পেট ব্যথা
- ডায়রিয়া
- মস্তিস্কের আবরণের প্রদাহ (মেনিনজাইটিস)
- মেরুদণ্ডের স্নায়ুর প্রদাহ (মেরুদণ্ডের যক্ষা)
যক্ষার লক্ষণগুলি সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে খারাপ হতে থাকে। যদি আপনার এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ।
টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
টিবি একটি সংক্রামক রোগ যা সাধারণত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যক্ষা হতে পারে। যেমন- লসিকাগ্রন্থি, হাড় ও গিট, অন্ত্র, হৃদপিন্ডের আবরণ ও মস্তিস্কের আবরণ ইত্যাদি।
ফুসফুসের যক্ষ্মার লক্ষণ:
- কাশি
- কফ
- কফের সাথে রক্ত
- বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- ওজন হ্রাস
- জ্বর
- রাতে ঘাম
টিবি রোগের কারণ
টিবি রোগের কারণ হলো মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াটি একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। টিবি রোগে আক্রান্ত কেউ যখন কাশি, হাঁচি, গান গায় বা কথা বলে তখন এই ব্যাকটেরিয়াটি বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। যদি আপনি এই ব্যাকটেরিয়া আছে এমন বাতাসে শ্বাস নেন, তাহলে আপনার টিবি সংক্রমণ হতে পারে।
টিবি রোগের প্রতিকার
টিবি রোগের প্রতিকারের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো টিবি ভ্যাকসিন। টিবি ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে টিবি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।
যদি আপনি টিবি রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে টিবি রোগ পুরোপুরি সেরে যায়। তবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণ কোর্স খেতে হবে।
টিবি রোগের প্রতিরোধ
টিবি রোগের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- টিবি ভ্যাকসিন দেওয়া
- টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- পর্যাপ্ত ঘুম
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা
টিবি রোগের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা:
- যারা টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন
- যারা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম সম্পন্ন
- যারা ধূমপায়ী
- যারা অ্যালকোহল সেবন করেন
- যারা এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত
- যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, লিভার রোগ
টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- টিবি রোগের চিকিৎসায় সাধারণত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। প্রথম ধরনের ওষুধগুলি হলো প্রথম লাইনের ওষুধ, যা সব ধরনের যক্ষ্মার চিকিৎসায় কার্যকর। দ্বিতীয় ধরনের ওষুধগুলি হলো দ্বিতীয় লাইনের ওষুধ, যা প্রথম লাইনের ওষুধের প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
- টিবি রোগের ওষুধগুলি সাধারণত প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া উচিত। এতে ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
- টিবি রোগের চিকিৎসা সাধারণত ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পুরো চিকিৎসাকালীন সময় ধরে ওষুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- টিবি রোগের ওষুধগুলি সাধারণত ভালোভাবে সহ্য করা যায়। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি।
টিবি রোগের টেস্ট
টিবি রোগের টেস্ট সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়:
- সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য টেস্ট: এই টেস্টগুলি একজন ব্যক্তির শরীরে টিবি ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা তা নির্ধারণ করে।
- সক্রিয় রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্ট: এই টেস্টগুলি একজন ব্যক্তির শরীরে টিবি ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিনা তা নির্ধারণ করে।
টিবি রোগের সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য টেস্টগুলি হল:
- ত্বকের টেস্ট (Mantoux test): এই টেস্টে, একজন ব্যক্তির বাহুতে টিবি ব্যাকটেরিয়ার একটি ছোট্ট পরিমাণ ইনজেকশন দেওয়া হয়। যদি ব্যক্তির শরীরে টিবি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি থাকে, তাহলে ইনজেকশনের স্থানে ফোলা বা লালভাব দেখা দিতে পারে।
- রক্ত পরীক্ষা (IGRA test): এই টেস্টে, একজন ব্যক্তির রক্তের নমুনা থেকে টিবি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডিগুলি পরীক্ষা করা হয়।
টিবি রোগের সক্রিয় রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্টগুলি হল:
- কফ পরীক্ষা (Sputum test): এই টেস্টে, একজন ব্যক্তির কফের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যদি কফের নমুনায় টিবি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, তাহলে এটি সক্রিয় টিবি রোগের একটি লক্ষণ।
- এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান: এই পরীক্ষাগুলি ফুসফুসের ক্ষতি পরীক্ষা করে। ফুসফুসে টিবি রোগের কারণে ক্ষতি দেখা দিতে পারে।
- কালচার পরীক্ষা (Culture test): এই পরীক্ষায়, টিবি ব্যাকটেরিয়াকে পরীক্ষাগারে বৃদ্ধি করা হয়। যদি টিবি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি সক্রিয় টিবি রোগের একটি নিশ্চিত লক্ষণ।
টিবি রোগের টেস্টের ফলাফল সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। যদি টেস্টের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে একজন ব্যক্তিকে টিবি রোগের চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
টিবি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি হল:
- বমি বমি ভাব এবং বমি
- ডায়রিয়া
- পেট ব্যথা
- মাথাব্যথা
- ক্লান্তি
- জ্বর
- অস্থিরতা
- খিটখিটে ভাব
- চুল পড়া
- লিভারের সমস্যা
- কিডনির সমস্যা
উপসংহার
আপনি হয়তো এই পোস্টটি পড়ে যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। আমি এইখানে সম্পুর্ণ জিনিসগুলি কভার করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনার যদি যক্ষা বেশি হয়ে থাকে তাহলে চিকিতসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের পেট ফাঁপার ঔষধের নাম