হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই অযুর দোয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে অযুর দোয়া সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
অযুর দোয়া
অজুর শুরুর দোয়া
- উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরহামনি আরহিম।
- অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
অজুর মাঝের দোয়া
- উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
- অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অজুর শেষের দোয়া
- উচ্চারণ: আল্লাহুমমাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
অজুর অন্যান্য দোয়া
- উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আন-লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইকা।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকেই ফিরে যাচ্ছি।
এই দোয়াগুলো অযুর যেকোনো ধাপে পড়া যায়। তবে, দোয়াগুলোর মধ্যে প্রথম দুটিটি অজুর শুরু ও শেষে পড়া মুস্তাহাব।
অযুর দোয়া ও নিয়ত
অজুর দোয়া
অজুর শুরুর দোয়া
- উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরহামনি আরহিম।
- অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
অজুর মাঝের দোয়া
- উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
- অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অজুর শেষের দোয়া
- উচ্চারণ: আল্লাহুমমাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
অজুর অন্যান্য দোয়া
- উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আন-লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইকা।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকেই ফিরে যাচ্ছি।
এই দোয়াগুলো অযুর যেকোনো ধাপে পড়া যায়। তবে, দোয়াগুলোর মধ্যে প্রথম দুটিটি অজুর শুরু ও শেষে পড়া মুস্তাহাব।
অজুর নিয়ম
অযুর চারটি ওয়াজিব (ফরজ) নিয়ম হলো:
- নিসফে ওয়াজহা (মুখের অর্ধেক) ধোয়া।
- দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া।
- মাথা মাসেহ করা।
- দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া।
এছাড়াও, অযুর মধ্যে আরও ছয়টি সুন্নত নিয়ম রয়েছে। সেগুলো হলো:
- অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
- নিসফে ওয়াজহা ধোয়ার আগে হাতের তালু ও আঙ্গুলের ফাঁক ভালো করে ধোয়া।
- মুখ ধোয়ার পর তিনবার নাক পরিষ্কার করা।
- মাথা মাসেহ করার আগে দুই হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাথার চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছানো।
- দুই পা ধোয়ার আগে পায়ের পাতা ভালো করে ধোয়া।
- অজুর শেষে দোয়া পড়া।
অজুর নিয়ত
অজুর নিয়ত হলো, মুখ, হাত, মাথা ও পা ধোয়ার মাধ্যমে শরীরকে পবিত্র করার নিয়ত করা। অজুর নিয়ত মুখে বলতে হয় না, মনে মনে করতে হয়।
অজুর নিয়তের উদাহরণ:
নিয়ত:
- বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।
- আমি মুখ, হাত, মাথা ও পা ধোয়ার মাধ্যমে শরীরকে পবিত্র করার নিয়ত করছি।
অজুর নিয়ম ও দোয়া মনে রাখার উপায়
অজুর নিয়ম ও দোয়া মনে রাখার জন্য নিচের কৌশলগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে:
- নিয়ম ও দোয়াগুলো ভালোভাবে বুঝে নেওয়া।
- নিয়ম ও দোয়াগুলো বারবার পড়া।
- নিয়ম ও দোয়াগুলো ছন্দে বা কবিতা আকারে রচনা করা।
- নিয়ম ও দোয়াগুলো ছবি বা ভিডিও আকারে দেখা।
অযুর দোয়া বাংলায়
অজুর দোয়া
অজুর শুরুর দোয়া
- উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরহামনি আরহিম।
- অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
অজুর মাঝের দোয়া
- উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
- অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অজুর শেষের দোয়া
- উচ্চারণ: আল্লাহুমমাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
অজুর অন্যান্য দোয়া
- উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আন-লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইকা।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকেই ফিরে যাচ্ছি।
অজুর দোয়ার অর্থ
অজুর শুরুর দোয়া
- উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরহামনি আরহিম।
- অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
এই দোয়াটি অজুর শুরুতে পড়া হয়। এটি একটি সুন্নত দোয়া।
অজুর মাঝের দোয়া
- উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
- অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
এই দোয়াটি অজুর যেকোনো ধাপে পড়া যায়। তবে, দোয়াগুলোর মধ্যে প্রথম দুটিটি অজুর শুরু ও শেষে পড়া মুস্তাহাব।
অজুর শেষের দোয়া
- উচ্চারণ: আল্লাহুমমাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
এই দোয়াটি অজুর শেষে পড়া হয়। এটি একটি সুন্নত দোয়া।
অজুর অন্যান্য দোয়া
- উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আন-লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইকা।
- অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকেই ফিরে যাচ্ছি।
এই দোয়াটি অজুর যেকোনো ধাপে পড়া যায়। তবে, দোয়াগুলোর মধ্যে প্রথম দুটিটি অজুর শুরু ও শেষে পড়া মুস্তাহাব।
অযুর দোয়া আরবি
অযুর শুরুতে পড়া দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِي
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির
আল্লাহুম্মাগফিরলি ঝানবি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিযকি
অর্থ:
“আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সর্বশক্তিমান।
হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করো, আমার ঘরে প্রশস্ততা দাও এবং আমার রিজিকে বরকত দাও।”
অযুর শেষে পড়া দোয়া
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ:
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
আল্লাহুম্মাঝ’আলনি মিনাত তওওয়াবিনা ওয়াঝ’আলনি মিনাল মুতাত্তাহিরিন
অর্থ:
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করো।”
এই দুটি দোয়া অযুর শুরুতে এবং শেষে পড়া সুন্নত। অযুর শুরুতে পড়া দোয়াটি অযুর নিয়ত করার পর পড়া হয়। অযুর শেষে পড়া দোয়াটি অযুর শেষে হাতের তালু দিয়ে মুখ, নাক, কপাল ও ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করার পর পড়া হয়।
অযুর দোয়া বাংলা উচ্চারণ
অযুর শুরুতে পড়া দোয়া
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির
আল্লাহুম্মাগফিরলি ঝানবি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিযকি
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির
আল্লাহুম্মাগফিরলি ঝানবি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিযকি
অর্থ:
“আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সর্বশক্তিমান।
হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করো, আমার ঘরে প্রশস্ততা দাও এবং আমার রিজিকে বরকত দাও।”
অযুর শেষে পড়া দোয়া
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
আল্লাহুম্মাঝ’আলনি মিনাত তওওয়াবিনা ওয়াঝ’আলনি মিনাল মুতাত্তাহিরিন
উচ্চারণ:
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
আল্লাহুম্মাঝ’আলনি মিনাত তওওয়াবিনা ওয়াঝ’আলনি মিনাল মুতাত্তাহিরিন
অর্থ:
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং আমাকে পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করো।”
এই দুটি দোয়া অযুর শুরুতে এবং শেষে পড়া সুন্নত। অযুর শুরুতে পড়া দোয়াটি অযুর নিয়ত করার পর পড়া হয়। অযুর শেষে পড়া দোয়াটি অযুর শেষে হাতের তালু দিয়ে মুখ, নাক, কপাল ও ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করার পর পড়া হয়।
অযুর নিয়ত
অযুর নিয়ত হল, “আমি নিয়ত করছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অযু করা।”
অযুর নিয়ত বাংলায়
“আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অযু করার নিয়ত করছি।”
অযুর নিয়ত করার পর অযুর দোয়া পড়া সুন্নত।
অযুর দোয়া কখন পড়তে হয়
অযুর দোয়া দুটি সময়ে পড়া হয়:
- অজুর শুরুতে: অজু শুরু করার সময়, হাত ধোয়ার আগে, বিসমিল্লাহ বলতে হয়। এটি সুন্নত।
- অজু শেষে: অজু শেষ করার পর, মাথা মুছে, সালাম ফিরানোর আগে, কালেমা শাহাদাত পড়তে হয়। এটি সুন্নত।
অজুর মাঝে অন্যান্য অঙ্গ ধোয়ার সময় কোন দোয়া পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে, কিছু মুসলিম অজুর প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় আলাদা আলাদা দোয়া পড়তে পছন্দ করেন। এসব দোয়া সুন্নত নয়, তবে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
অজুর দোয়াগুলোর বাংলা অনুবাদ নিচে দেওয়া হল:
অজুর শুরুতে:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অর্থ: পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।
অজু শেষে:
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
অযুর দোয়া ও ফজিলত
অযুর দোয়ার ফজিলত
অযুর দোয়া পড়ার ফজিলত অনেক। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, অযুর দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি অজু করে এবং সুন্দরভাবে অজু করে, তারপর বলে, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ’, তারপর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দা সত্য বলেছে এবং আমি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি।’ তারপর সে বলে, ‘আল্লাহুম্মাঝ’আলনি মিনাত তওওয়াবিনা ওয়াঝ’আলনি মিনাল মুতাত্তাহিরিন’, তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার কাছে তওবা করেছে এবং আমি তাকে পবিত্র করেছি।’” (বুখারি, মুসলিম)
অযুর দোয়া পড়ার আরও কিছু ফজিলত হল:
- অযুর দোয়া পড়ার ফলে অজু গ্রহণের সওয়াব বৃদ্ধি পায়।
- অযুর দোয়া পড়ার ফলে অন্তরের পবিত্রতা বৃদ্ধি পায়।
- অযুর দোয়া পড়ার ফলে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ হয়।
অযুর দোয়া পড়ার নিয়ম
অযুর দোয়া পড়ার নিয়ম খুবই সহজ। অজুর শুরুতে বা শেষে অযুর দোয়া পড়তে হয়। অজুর দোয়া পড়ার সময় মনে মনে বা উচ্চস্বরে পড়া যায়।
অযুর দোয়া বাংলা উচ্চারণ:
অজুর শুরুতে:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অর্থ: পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।
অজুর শেষে:
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের অযুর দোয়া এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ কখন বলতে হয়