মুসলমানরা রমজান মাসে রোজা পালন করে। রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। আর এই রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া আবশ্যক আর এর সাথে সেহরির দোয়া বাংলা উচ্চারণ পড়া উচিত। কেউ বলে সেহরি, আবার কেউ বলে সেহেরি বা সাহরি। এটি একটি আরবি শব্দ। প্রাক ভোরের খাবার, আক্ষরিক অর্থে। সেহরি হল “মুসলিমদের দ্বারা গৃহীত ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা রমজান মাসে বা অন্য কোনো দিনে রোজা ভাঙার জন্য ফজরের নামাজ বা উষার আগে নেওয়া হয়।” এই পোস্টটি থেকে সেহরির দোয়া বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জেনে নিন।
সেহরির দোয়া আরবি
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
সেহরির দোয়া বাংলা উচ্চারণ
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
এই দোয়াটি আরবিতে পড়া উত্তম। তবে বাংলায় পড়াও জায়েয।
সেহরি খাওয়ার পর এই দোয়াটি পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সেহরি খাওয়ার পর এই দোয়াটি পড়বে, তার রোজা কবুল হবে।” (তিরমিজি)
তাই সেহরি খাওয়ার পর এই দোয়াটি পড়তে ভুলবেন না।
সেহরির দোয়া অর্থ
হে আল্লাহ! পবিত্র রমজান মাসে আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করেছি। আমার রোজা এবং পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
সেহরির দোয়া ছবি
সেহরি খাওয়ার পর দোয়া
সেহরি খাওওার পর এই একই দোয়া পড়তে হয়, যেটি আমরা উপরে বর্ণিত করেছি। দোয়াটি হলোঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
নফল রোজার সেহরির দোয়া
নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
সেহরির সময় সম্পর্কে হাদিস
সেহরির সময় সম্পর্কে হাদিসগুলো নিম্নরূপ:
- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা সেহরী খাও। কেননা সেহরীতে বরকত রয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম)
- হযরত ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা সেহরী খাও, যদিও পরিমাণে সামান্য হোক।” (তিরমিযী)
- হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা সেহরী খাও, যদিও পরিমাণে সামান্য হোক। কেননা সেহরীর মধ্যে বরকত রয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম)
উপরোক্ত হাদিসগুলো থেকে সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সেহরী খাওয়া সুন্নত। সেহরী খাওয়ার মাধ্যমে রোযাদারের শক্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেহরী খাওয়ার মাধ্যমে রোযাদারের পানাহারের অভ্যাস রক্ষা করা হয়। সেহরী খাওয়ার মাধ্যমে রোযাদারের মধ্যে তাকওয়া ও আল্লাহর ভয় বৃদ্ধি পায়।
সেহরীর সময় সম্পর্কে হাদিস থেকে জানা যায় যে, ফজরের আজান হওয়ার পূর্বে সেহরী খাওয়া উচিত। ফজরের আজান হলেই সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ