হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের
সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের:
- আবু বকর সিদ্দিক (ابو بکر صدیق) – সত্যবাদী।
- উমর ফারুক (عمر فاروق) – সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী।
- উসমান গনি (عثمان غنی) – ধনী।
- আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (علي كرّم الله وجهه) – আল্লাহ তাঁর চেহারা সুশোভিত করুন।
- তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (طلحة بن عبيد الله) – আল্লাহর বান্দা তালহা।
- যুবর ইবনে আল-আওম (زبير بن العوام) – জনগণের সিংহ।
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (سعد بن معاذ) – মুয়াজের পুত্র সাআদ।
- আবদুর রহমান ইবনে আউফ (عبد الرحمن بن عوف) – আল্লাহর বান্দা আব্দুর রহমান।
এছাড়াও আরও অনেক সাহাবীর নাম রয়েছে যা ছেলেদের জন্য সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ। কিছু জনপ্রিয় নাম হল:
- আবদুল্লাহ (عبد الله) – আল্লাহর বান্দা।
- মুহাম্মদ (محمد) – প্রশংসিত।
- ইসা (عيسى) – ঈসা।
- ইয়াহিয়া (يحيى) – জীবন দানকারী।
- ইয়াকুব (يعقوب) – জ্যাকব।
- ইউসুফ (يوسف) – ইউসুফ।
- মুসা (موسى) – মূসা।
- ইবরাহিম (إبراهيم) – ইব্রাহিম।
এই নামগুলো ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম। এগুলো রাখার মাধ্যমে সন্তানদের আদর্শবান এবং সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।
জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর জীবনকালে ২০ জন সাহাবীর বেহেশতবাসী হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। এদেরকে “আশারায়ে মুবাশশারা” বলা হয়। আশারায়ে মুবাশারার অর্থ হল “দশজনকে সুসংবাদদাতা”।
আশারায়ে মুবাশারার সদস্যরা হলেন:
- আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
- উমর ফারুক (রাঃ)
- উসমান গনি (রাঃ)
- আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (রাঃ)
- তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
- যুবর ইবনে আল-আওম (রাঃ)
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)
- আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ)
আশারায়ে মুবাশারার সদস্যরা সকলেই ছিলেন নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অত্যন্ত প্রিয় ও বিশ্বস্ত সাহাবী। তারা ইসলামের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। তারা সবাই ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক, সৎ ও পরোপকারী ব্যক্তি।
আশারায়ে মুবাশারার সদস্যদের নামগুলো হল:
- আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
- উমর ফারুক (রাঃ)
- উসমান গনি (রাঃ)
- আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (রাঃ)
- তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
- যুবর ইবনে আল-আওম (রাঃ)
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)
- আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ)
এই নামগুলো রাখার মাধ্যমে সন্তানদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রিয় সাহাবীদের আদর্শ অনুসরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।
313 জন সাহাবীর নাম
বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী 313 জন সাহাবীর নাম:
মুহাজির
-
আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
-
উমর ফারুক (রাঃ)
-
উসমান গনি (রাঃ)
-
আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (রাঃ)
-
হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)
-
যায়েদ বিন হারেছা (রাঃ)
-
আবু কাবশাহ সুলাইম (রাঃ)
-
আবু মারছাদ গানাভী (রাঃ)
-
মারছাদ বিন আবু মারছাদ (রাঃ)
-
উবাইদা বিন হারেছ (রাঃ)
-
তোফায়েল বিন হারেছ (রাঃ)
-
হুসাইন বিন হারেছ (রাঃ)
-
আউফ বিন উসাসা (রাঃ)
-
আবু হুযায়ফা (রাঃ)
-
ছালেম (রাঃ)
-
সুহইব বিন সিনান (রাঃ)
-
আব্দুল্লাহ্ বিন জাহাশ (রাঃ)
-
উক্বাশা বিন মিহসান (রাঃ)
-
শুজা’ বিন ওহাব (রাঃ)
-
ওতবা বিন রবীআহ (রাঃ)
-
ইয়াযীদ বিন রুকাইশ (রাঃ)
-
আবু সিনান (রাঃ)
-
সিনান বিন আবু সিনান (রাঃ)
-
মুহরিয বিন নাজলা (রাঃ)
-
রবীআ’ বিন আক্সাম (রাঃ)
-
হাতেব বিন আমর (রাঃ)
-
মালেক বিন আমর (রাঃ)
-
মিদ্লাজ বিন আমর (রাঃ)
-
সুওয়ায়েদ ইবনে মাখশী (রাঃ)
-
উৎবা বিন গাযওয়ান (রাঃ)
১০০ জন সাহাবীর নাম
১০০ জন সাহাবীর নাম:
মুহাজির
- আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
- উমর ফারুক (রাঃ)
- উসমান গনি (রাঃ)
- আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (রাঃ)
- তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
- যুবর ইবনে আল-আওম (রাঃ)
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)
- আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ)
- আবু তালহা (রাঃ)
- আবু উমামা (রাঃ)
- আবু দারদা (রাঃ)
- আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
আনসার
- আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ)
- আবু তালহা (রাঃ)
- আবু উমামা (রাঃ)
- আবু দারদা (রাঃ)
- আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ)
- আবুল হাশিম ইবনে উতবা (রাঃ)
- আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)
- আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)
- আবু সায়িব আনসারী (রাঃ)
- আবুল ইয়াসার (রাঃ)
- আবুল আব্বাস আনসারী (রাঃ)
অন্যান্য
- হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)
- যায়েদ বিন হারেছা (রাঃ)
- তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
- যুবর ইবনে আল-আওম (রাঃ)
- সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)
- আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ)
- আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ)
- উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)
- উসমান ইবনে আফফান (রাঃ)
- আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ)
- ফারুক আল-আসাম (রাঃ)
- আবু হুজায়ফা (রাঃ)
- সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ)
- আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ)
এই ১০০ জন সাহাবীর মধ্যে ২৫ জন ছিলেন মুহাজির ও ৭৫ জন ছিলেন আনসার। এদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন জান্নাতী মুবাশশারা।
স দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের
সা দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের:
- সাদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ) – ভাগ্যবান।
- সাঈদ ইবনে যায়িদ (রাঃ) – সুখী।
- সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব (রাঃ) – সুখী।
- সালিম (রাঃ) – নিরাপদ।
- সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) – বীর।
- সুহইব বিন সিনান (রাঃ) – সুন্দর।
- সুওয়ায়েদ ইবনে মাখশী (রাঃ) – কালো।
- সায়েদ – সুখী।
এই নামগুলো রাখার মাধ্যমে সন্তানদের সুখী, ভাগ্যবান, নিরাপদ ও বীর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।
বিখ্যাত সাহাবীদের নাম
ইসলামের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত সাহাবী রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম নিম্নরূপ:
- মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – ইসলামের নবী ও রাসূল।
- আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) – প্রথম খলিফা।
- উমর ফারুক (রাঃ) – দ্বিতীয় খলিফা।
- উসমান গনি (রাঃ) – তৃতীয় খলিফা।
- আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (রাঃ) – চতুর্থ খলিফা।
- হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) – নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা ও একজন বিখ্যাত বীর।
- যায়েদ বিন হারেছা (রাঃ) – নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দত্তক পুত্র ও একজন বিখ্যাত বীর।
- তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও যোদ্ধা।
এছাড়াও, আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ), আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ), আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ), আবু হুজায়ফা (রাঃ), সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব (রাঃ), আবু দারদা (রাঃ), আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ), সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ), মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা (রাঃ), আবুল হাশিম ইবনে উতবা (রাঃ), আবু ওয়াক্কাস (রাঃ), আবুল সায়িব আনসারী (রাঃ), আবুল ইয়াসার (রাঃ), আবুল আব্বাস আনসারী (রাঃ), আবু তালহা (রাঃ), আবু উমামা (রাঃ), আবু উবাইদা ইবনেুল জাররাহ (রাঃ), আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ), সাআদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ), যুবর ইবনে আল-আওম (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীরা ইসলামের ইতিহাসে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
এই সাহাবীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এবং তার কাছ থেকে ইসলামের শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারা ছিলেন সাহসী, পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ ও আল্লাহভীরু ব্যক্তি। তাদের জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
ম দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের
ম দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের:
- মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – ইসলামের নবী ও রাসূল।
- মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রাঃ) – তৃতীয় খলিফা উসমান গনির জামাতা ও একজন বিখ্যাত শাসক।
- মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) – ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহাবী ও একজন বিখ্যাত বক্তা।
- মুজাহিদ (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- মুসা ইবনে মাসলামা (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- মুসলিম ইবনে হাজাজ (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও হাদীস বিশারদ।
- মুসলিম ইবনে সায়্যিদ (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও হাদীস বিশারদ।
- মুসলিম ইবনে উকবা (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও হাদীস বিশারদ।
এই নামগুলো রাখার মাধ্যমে সন্তানদের নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও অন্যান্য বিখ্যাত সাহাবীদের অনুসরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।
র দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের
র দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের:
- রাফি’ ইবনে খাদ্দাজ (রাঃ) – ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহাবী ও একজন বিখ্যাত বীরযোদ্ধা।
- রায়হান (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- রবী’আ ইবনে আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ) – ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহাবী ও একজন বিখ্যাত বীরযোদ্ধা।
- রিয়াদ (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- রফিউদ্দিন (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- রজীব (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
- রুহুল আমীন (রাঃ) – একজন বিখ্যাত সাহাবী ও ইসলামী আইনবিদ।
এই নামগুলো রাখার মাধ্যমে সন্তানদের নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও অন্যান্য বিখ্যাত সাহাবীদের অনুসরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।
অর্থসহ:
- রাফি’ – উঁচু, উচ্চ স্থানে থাকা, উচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
- রায়হান – সুগন্ধি ফুল, জান্নাতের একটি বৃক্ষ।
- রবী’আ – বসন্ত, নবীন, সতেজ।
- রিয়াদ – বাগান, উদ্যান।
- রফিউদ্দিন – ধর্মকে উন্নীতকারী।
- রজীব – সতেজ, প্রাণবন্ত, সুন্দর।
- রুহুল আমীন – বিশ্বস্ত আত্মা, ঈমানের প্রতীক।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদের এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বাস নিয়ে ইসলামিক উক্তি