হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই আল মালিকু অর্থ কি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে আল মালিকু অর্থ কি সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
আল মালিকু অর্থ কি
আল মালিকু (الملك) শব্দের অর্থ হলো “বাদশাহ”, “অধিপতি”, “মালিক”, “সর্বশক্তিমান”, “সর্বময়ত্ব”। এটি আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি।
আল মালিকু নামের অর্থের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
- আল মালিকু-এর অর্থ হলো “বাদশাহ”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান বাদশাহ। তাঁর রাজত্বের কোনো সীমানা নেই। আসমান-জমিন, নক্ষত্র-চন্দ্র, সমুদ্র-মহাদেশ, গাছপালা-প্রাণী, সবকিছুই তাঁর মালিকানাধীন।
- আল মালিকু-এর অর্থ হলো “অধিপতি”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বময়ত্বের অধিপতি। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছুই হয় না। তিনি যা চান তাই করেন।
- আল মালিকু-এর অর্থ হলো “মালিক”। আল্লাহ তাআলা হলেন সকল কিছুর মালিক। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই।
- আল মালিকু-এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। তাঁর কাছে সকল ক্ষমতা বিদ্যমান।
আল মালিকু নামের জিকিরের ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল মালিকু নামের জিকির করে, সে ধনী হয়, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়, তার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে।
আল মালিকুন কিসের দোয়া
আল মালিকুন হলো আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। এই নামের জিকির করলে আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অর্জন করা যায়।
আল মালিকুন নামের দোয়া হলো:
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْأَلُكَ بِاسْمِكَ اَلْمَلِكِ اَلْقُدُّوْسِ اَلْعَظِيْمِ اَنْ تَرْزُقَنِيْ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিসমিকাল মালিকিল কুদুসিল আজীমি আন তরযুক্বনি
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি তোমার নামের দ্বারা প্রার্থনা করছি, হে সর্বশক্তিমান, হে পবিত্র, হে মহান, যেন তুমি আমাকে রিযিক দান করো।
এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিযিক বৃদ্ধি করেন। বান্দা ধনী ও সম্পদশালী হন।
এছাড়াও, আল মালিকুন নামের দোয়াটি নিম্নরূপভাবেও পড়া যেতে পারে:
اَللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ، تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ، بِيَدِكَ الْخَيْرُ، إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা মালিকাল মুল্কি,তু’তিল মুল্কা মান তাশাউ ওয়া তানযি’উল মুল্কা মিম্মান তাশাউ, ওয়াতু’ইযু মান তাশাউ ওয়া তুযিলু মান তাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
অর্থ:
হে আল্লাহ! হে রাজ্যের মালিক! তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যাকে ইচ্ছা রাজ্য থেকে বঞ্চিত করো, তুমি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করো এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করো, তোমার হাতে রয়েছে কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সবকিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।
এই দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান করেন। বান্দার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় এবং সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে।
ইয়া মালিকু অর্থ কি
ইয়া মালিকু অর্থ “হে মালিক”। এটি আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “বাদশাহ”, “অধিপতি”, “মালিক”, “সর্বশক্তিমান”, “সর্বময়ত্ব”।
আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান বাদশাহ। তাঁর রাজত্বের কোনো সীমানা নেই। আসমান-জমিন, নক্ষত্র-চন্দ্র, সমুদ্র-মহাদেশ, গাছপালা-প্রাণী, সবকিছুই তাঁর মালিকানাধীন।
ইয়া মালিকু নামের জিকিরের ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত ইয়া মালিকু নামের জিকির করে, সে ধনী হয়, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়, তার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে।
ইয়া মালিকু নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামটি জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
ইয়া মালিকু নামের আরেকটি ফজিলত হলো, যে ব্যক্তি এই নামটি নিয়মিত পাঠ করে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে।
আল মালিকুল
আল-মালিকুল কুদ্দুস এর অর্থ হলো “পবিত্র বাদশাহ”। এটি আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি।
আল-মালিকুল কুদ্দুস নামের অর্থের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
- আল-মালিকুল কুদ্দুস-এর অর্থ হলো “পবিত্র বাদশাহ”। আল্লাহ তাআলা হলেন পবিত্র বাদশাহ। তাঁর কোনো কলুষ নেই। তিনি পবিত্র ও সম্মানিত।
- আল-মালিকুল কুদ্দুস-এর অর্থ হলো “সৃষ্টির মালিক”। আল্লাহ তাআলা হলেন সবকিছুর মালিক। তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই পরিচালনা করেন।
- আল-মালিকুল কুদ্দুস-এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। তাঁর কোনো অংশীদার নেই।
আল-মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকিরের ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল-মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করে, সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে, তার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় এবং সে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে।
আল-মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামটি জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু এর ফজিলত
ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু এর ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করে, সে নিম্নলিখিত ফজিলত লাভ করে:
- ধন-সম্পদ লাভ: ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিযিক বৃদ্ধি করেন। বান্দা ধনী ও সম্পদশালী হন।
- প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি: ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করলে বান্দার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। সে সমাজে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হন।
- আত্মা নিয়ন্ত্রণ: ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করলে বান্দার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে। সে পাপ থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং জান্নাতের অধিকারী হয়।
ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামগুলো জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
এছাড়াও, ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করার আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:
- সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, আয়াতুল কুরসি পাঠের পর ১০০ বার ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু বলা।
- সূরা তাওবাহর ১২০ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু বলা।
- সূরা ইখলাসের ১১ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু বলা।
বান্দা তার সুবিধামত যেকোনো পদ্ধতিতে ইয়া মালিকু ইয়া কুদ্দুসু নামের জিকির করতে পারে।
আল মালিকুন পড়লে কি হয়
আল মালিকুন হলো আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। এই নামের জিকির করলে আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অর্জন করা যায়।
আল মালিকুন নামের জিকির করার ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল মালিকুন নামের জিকির করে, সে নিম্নলিখিত ফজিলত লাভ করে:
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং জান্নাতের অধিকারী হয়।
- প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। সে সমাজে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হন।
- আত্মা নিয়ন্ত্রণ: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে। সে পাপ থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
- দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে। তার জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।
আল মালিকুন নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামটি জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
এছাড়াও, আল মালিকুন নামের জিকির করার আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:
- সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, আয়াতুল কুরসি পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
- সূরা তাওবাহর ১২০ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
- সূরা ইখলাসের ১১ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
বান্দা তার সুবিধামত যেকোনো পদ্ধতিতে আল মালিকুন নামের জিকির করতে পারে।
আল মালিকুন নামের জিকির করার সময় মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাআলাই হলেন একমাত্র সত্যিকারের মালিক। তিনিই সবকিছুর মালিক। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তাঁর কাছে সকল ক্ষমতা বিদ্যমান।
এই বিশ্বাসের সাথে আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করে।
আল মালিকুন বাংলা
আল মালিকুন হলো আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”।
আল মালিকুন নামের অর্থের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
- আল মালিকুন-এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তিনি সবকিছুর মালিক। তিনিই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, নিয়ন্ত্রক ও রক্ষক।
- আল মালিকুন-এর অর্থ হলো “বাদশাহ”। আল্লাহ তাআলা হলেন একমাত্র সত্যিকারের বাদশাহ। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তাঁর কাছে সকল ক্ষমতা বিদ্যমান।
আল মালিকুন নামের ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল মালিকুন নামের জিকির করে, সে নিম্নলিখিত ফজিলত লাভ করে:
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং জান্নাতের অধিকারী হয়।
- প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। সে সমাজে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হন।
- আত্মা নিয়ন্ত্রণ: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে। সে পাপ থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
- দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ: আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে। তার জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।
আল মালিকুন নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামটি জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
এছাড়াও, আল মালিকুন নামের জিকির করার আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:
- সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, আয়াতুল কুরসি পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
- সূরা তাওবাহর ১২০ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
- সূরা ইখলাসের ১১ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুন বলা।
বান্দা তার সুবিধামত যেকোনো পদ্ধতিতে আল মালিকুন নামের জিকির করতে পারে।
আল মালিকুন নামের জিকির করার সময় মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাআলাই হলেন একমাত্র সত্যিকারের মালিক। তিনিই সবকিছুর মালিক। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তাঁর কাছে সকল ক্ষমতা বিদ্যমান।
এই বিশ্বাসের সাথে আল মালিকুন নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করে।
আল মালিকুন নামের বাংলা উচ্চারণ হলো “আল-মালিকুন”।
আল মালিকুন নামের অর্থের উপর ভিত্তি করে, এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়, তার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে।
মালিক শব্দের অর্থ কি
মালিক শব্দের অর্থ হলো “মালিকানাকারী”, “প্রভু”, “অধিপতি”, “কর্তা”, “স্বত্বাধিকারী”।
মালিক শব্দটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
- ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিক: যে ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পত্তি রয়েছে, সে হলো সেই সম্পত্তির মালিক।
- রাষ্ট্রের মালিক: রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তির মালিক হলো রাষ্ট্র।
- আল্লাহর মালিকানা: আল্লাহ তাআলা হলেন সবকিছুর মালিক। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই।
মালিক শব্দটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। আরবি ভাষায় মালিক শব্দের অর্থ হলো “মালিকানাকারী”।
মালিক শব্দটি আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তিনি সবকিছুর মালিক। তিনিই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, নিয়ন্ত্রক ও রক্ষক।
আল মালিকুল কুদ্দুস
আল মালিকুল কুদ্দুস হলো আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি। এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান ও পবিত্র”।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের অর্থের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
- আল মালিকুল কুদ্দুস-এর অর্থ হলো “সর্বশক্তিমান”। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তিনি সবকিছুর মালিক। তিনিই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, নিয়ন্ত্রক ও রক্ষক।
- আল মালিকুল কুদ্দুস-এর অর্থ হলো “পবিত্র”। আল্লাহ তাআলা হলেন পবিত্র। তিনি কোনো দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত। তিনি সবকিছু থেকে পবিত্র।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করে, সে নিম্নলিখিত ফজিলত লাভ করে:
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং জান্নাতের অধিকারী হয়।
- প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি: আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করলে বান্দার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। সে সমাজে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হন।
- আত্মা নিয়ন্ত্রণ: আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করলে বান্দার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে। সে পাপ থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে।
- দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ: আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করলে বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে। তার জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করার একটি পদ্ধতি হলো ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই নামটি জপ করা। এতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
এছাড়াও, আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করার আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:
- সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, আয়াতুল কুরসি পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুল কুদ্দুস বলা।
- সূরা তাওবাহর ১২০ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুল কুদ্দুস বলা।
- সূরা ইখলাসের ১১ নম্বর আয়াত পাঠের পর ১০০ বার আল মালিকুল কুদ্দুস বলা।
বান্দা তার সুবিধামত যেকোনো পদ্ধতিতে আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করতে পারে।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করার সময় মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাআলাই হলেন একমাত্র সত্যিকারের মালিক। তিনিই সবকিছুর মালিক। তাঁর মালিকানার কোনো অংশীদার নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তাঁর কাছে সকল ক্ষমতা বিদ্যমান।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র। তিনি কোনো দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত। তিনি সবকিছু থেকে পবিত্র।
এই বিশ্বাসের সাথে আল মালিকুল কুদ্দুস নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করে।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের বাংলা উচ্চারণ হলো “আল-মালিকুল কুদ্দুস”।
আল মালিকুল কুদ্দুস নামের অর্থের উপর ভিত্তি করে, এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই নামের জিকির করলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়, তার আত্মা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করে।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের আল মালিকু অর্থ কি এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত