বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত

স্বর্ণের দাম মূলত সরবরাহ ও চাহিদার উপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে এবং সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে এবং চাহিদা কমলে দাম কমে। বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত তা জেনে নিন।

বিনিয়োগ হিসেবে সোনা একটি জনপ্রিয় পছন্দ। অর্থনৈতিক অস্থিরতা বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সোনার দাম বাড়তে থাকে। কারণ, এই সময়ে মানুষ তাদের সম্পদ রক্ষার জন্য সোনায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়।

প্রযুক্তিগত ব্যবহারের জন্য সোনা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সোনা তার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ইলেকট্রনিক্স, দাঁতের চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে সোনায় চাহিদা বাড়লে বিশ্বব্যাপী সোনার দাম বাড়তে পারে। তাই বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত তা জানুন।

এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারের অবস্থান, সুদের হার এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণেও স্বর্ণের দাম ওঠানামা করতে পারে।

বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত

আজকের স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে

বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত? 2023 সালে, বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ:

  • ২১ ক্যারেট ১ ভরি সোনার দাম: ৯৪,৬২০ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট ১ ভরি সোনার দাম: ৮১,০৯৫ টাকা
  • সনাতন পদ্ধতিতে ১ ভরি সোনার দাম: ৬২,৮৪৭ টাকা

এই দামগুলি বাংলাদেশ জুড়ে সকল জুয়েলারি দোকানে প্রযোজ্য।

স্বর্ণের দাম কিসের উপর নির্ভর করে?

স্বর্ণের সরবরাহ মূলত দুইভাবে হয়: নতুন উত্তোলন এবং পুরোনো সোনা বিক্রি। নতুন উত্তোলন সীমিত, তাই সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পুরোনো সোনা বিক্রির উপর নির্ভর করতে হয়। তবে, পুরোনো সোনা বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, তাই সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে।

আরো পড়ুনঃ  বন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস funny

স্বর্ণের চাহিদা মূলত তিনটি কারণে হয়:

  • গয়না হিসেবে
  • বিনিয়োগ হিসেবে
  • প্রযুক্তিগত ব্যবহারের জন্য

গয়না হিসেবে সোনা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। চীন ও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার গয়না বাজার। এই দুই দেশে গয়নার চাহিদা বাড়লে বিশ্বব্যাপী সোনার দাম বাড়ে।

22 ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত today

আজকের 22 ক্যারেট স্বর্ণের দাম 74,999.52 টাকা।

আজকের পুরাতন স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে

আজকের পুরাতন স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে পুরাতন স্বর্ণের গুণমান, ওজন এবং বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির উপর। সাধারণত, পুরাতন স্বর্ণের দাম নতুন স্বর্ণের দামের চেয়ে কম হয়। কারণ, পুরাতন স্বর্ণের কিছুটা ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তাতে কিছুটা খাদ বা অন্যান্য পদার্থ মিশ্রিত থাকতে পারে।

আজ, ২০২৩ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট পুরাতন স্বর্ণের দাম ১০ গ্রামে ৭১,১৩৫ টাকা। এটি নতুন ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দামের চেয়ে ১৫,০৮৫ টাকা কম।

তবে, বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে পুরাতন স্বর্ণের দাম ভিন্ন হতে পারে। তাই, পুরাতন স্বর্ণ বিক্রি করার আগে, বিভিন্ন দোকানের দাম জেনে নেওয়া ভালো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি আজকের স্বর্ণের দাম

আজকের তারিখ, ২০২৩ সালে, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক নির্ধারিত স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ:

  • ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১৬.৬৬ গ্রাম) ৯৪ হাজার ৬শত ২০ টাকা
  • ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি (১০০ গ্রাম) ৮১ হাজার ১৫০ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি (৯১.৬৬ গ্রাম) ৬৫ হাজার ৮৪০ টাকা
  • ১৪ ক্যারেট প্রতি ভরি (৬২.৫০ গ্রাম) ৪৮ হাজার ৬২৫ টাকা

এই দামগুলি ভ্যাট ও মজুরি সহ।

21 ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত today

আজকের , 2023 সালে, 21 ক্যারেট সোনার দাম হল প্রতি গ্রাম 8110 টাকা, প্রতি ভরি 94595 টাকা এবং প্রতি রতি 985 টাকা।

1 ভরি সোনার দাম কত (বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত)

আজ, 2023 সালের, 1 ভরি সোনার দাম 94,595 বাংলাদেশি টাকা। এটি 21 ক্যারেট সোনার দাম।

আরো পড়ুনঃ  মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম

২০২৩ সালে, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক নির্ধারিত সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম হলো প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।

স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির হার

২০২৩ সালের আগস্ট মাসের শেষের দিকে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি মূল্য ২৪,৭৫২ টাকা। এই মূল্য ২০২২ সালের আগস্ট মাসের শেষের দিকের মূল্যের তুলনায় ১৩.৮% বেশি। অর্থাৎ, গত এক বছরে স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হল, বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতির কারণে, মানুষ স্বর্ণকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মনে করে এবং এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, স্বর্ণের দাম বাড়ে। বাংলাদেশের আজকের স্বর্ণের দাম কত এর মাধ্যমে নিশ্চইয় আপনি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির হার সম্পর্কে বিস্তর ধারণা  লাভ করেছেন।

তবে, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে, স্বর্ণের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এর কারণ হিসেবে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বৃদ্ধি করা শুরু করেছে। সুদের হার বৃদ্ধি হলে, বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের চেয়ে ঋণপত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর ফলে, স্বর্ণের চাহিদা কমে এবং দামও কমতে শুরু করে।

তবে, স্বর্ণের দাম কতটা কমবে বা বাড়বে তা নির্ধারণ করা কঠিন। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণের উপর এর উপর প্রভাব পড়ে।

আরো পড়ুনঃ স্মার্ট হওয়ার সহজ ও কার্যকরী উপায়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top