এই পোস্ট থেকে কালেমা শাহাদাত ছবি, কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। কালেমা শাহাদাত হলো ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তি বা স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি একটি সাক্ষ্যের বাক্য যা একজন ব্যক্তির ইসলামে প্রবেশ করার জন্য বলতে হয়। কালিমা শাহাদাতের অর্থ হলো, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।”
কালিমা শাহাদাত দুটি অংশে বিভক্ত:
- প্রথম অংশ: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”
এই অংশে একজন ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। অর্থাৎ, তিনি একমাত্র সত্য ইলাহ এবং তাঁর কোনো শরিক নেই।
- দ্বিতীয় অংশ: “ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু”
এই অংশে একজন ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল। অর্থাৎ, তিনি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ এবং তাঁর আদেশাবলী পালন করে তাঁর অনুসরণ করার জন্য।
কালিমা শাহাদাত বলতে হয়:
-
উচ্চারণ: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।”
-
অর্থ: “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল।”
কালিমা শাহাদাত বললে একজন ব্যক্তি মুসলিম হিসাবে পরিগণিত হয়। এটি ইসলামের মূল বিশ্বাসের ঘোষণা।
কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ

কালেমা শাহাদাত হল ইসলামের মূল ভিত্তি। এটি হলো “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকাহ লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”। বাংলায় এর অর্থ হলো, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল”।
কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ
- আশহাদু – আশহাদু (আ-শ-হা-দু)
- আল্লা – আল্লাহ (আ-ল্লা-হ)
- ইলাহা – ইলাহা (ই-লা-হা)
- ইল্লাল্লাহু – ইল্লাল্লাহু (ই-ল্লা-ল্লাহু)
- ওয়াহদাহু – ওয়াহদাহু (ওয়া-হা-দু)
- লা শারিকাহ লাহু – লা শারিকাহ লাহু (লা-শা-রি-কা-হ লা-হু)
- ওয়া আশহাদু – ওয়া আশহাদু (ওয়া-আ-শ-হা-দু)
- আন্না – আন্না (আ-ন্না)
- মুহাম্মাদান – মুহাম্মাদান (মু-হা-ম্মা-দ)
- আবদুহু – আবদুহু (আ-ব-দু)
- ওয়া রাসূলুহু – ওয়া রাসূলুহু (ওয়া-রা-সু-লু)
কালেমা শাহাদাত ছবি
নিচে কালেমা শাহাদাত ছবি দেওয়া হলো। এটি আপনি আপনার ফোনে সেইভ করে নিতে পারেন।
কালেমা শাহাদাত বাংলা অর্থ
- আশহাদু – আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
- আল্লা – আল্লাহ
- ইলাহা – ইলাহ (যার ইবাদত করা হয়)
- ইল্লাল্লাহু – আল্লাহ ছাড়া
- ওয়াহদাহু – এক
- লা শারিকাহ লাহু – তাঁর কোনো শরীক নেই
- ওয়া আশহাদু – আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
- আন্না – যে
- মুহাম্মাদান – মুহাম্মদ
- আবদুহু – তাঁর বান্দা
- ওয়া রাসূলুহু – এবং রাসূল
কালেমা শাহাদাতের ফজিলত
কালেমা শাহাদাত হল ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাক্য। এটি মুসলমান হওয়ার মূল ভিত্তি। কালেমা শাহাদাত পাঠ করলে একজন ব্যক্তি মুসলমান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
কালেমা শাহাদাতের অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা
- জাহান্নাম থেকে মুক্তি
- আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ
- শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি
- দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা
কালেমা শাহাদাত পাঠ করার নিয়ম
কালেমা শাহাদাত পাঠ করার জন্য প্রথমে মনের মধ্যে বিশ্বাস থাকতে হবে। তারপর উচ্চস্বরে বা মনে মনে কালেমা শাহাদাত পাঠ করতে হবে। কালেমা শাহাদাত পাঠ করার সময় এর অর্থ বুঝে পড়া উচিত।
কালেমা শাহাদাত পাঠ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। যেকোনো সময় কালেমা শাহাদাত পাঠ করা যায়। তবে নামাজের আগে ও পরে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কালেমা শাহাদাত পাঠ করার উপকারিতা
কালেমা শাহাদাত হল ইসলামের মূল ভিত্তি। এটি হল আল্লাহর একত্ব ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নবুওয়াতের সাক্ষ্য। কালেমা শাহাদাত পাঠ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- তাওহীদের সাক্ষ্য দেওয়া: কালেমা শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে মুসলমান আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয়। এটি ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- ইসলামে প্রবেশ: কালেমা শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
- জান্নাত লাভ: কালেমা শাহাদাত পাঠকারীর জন্য জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়।
- পাপ মাফ হওয়া: কালেমা শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে মুসলমানের পাপ মাফ হয়ে যায়।
- শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তি পাওয়া: কালেমা শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে মুসলমান শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তি পায়।
- দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ: কালেমা শাহাদাত পাঠকারী দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করে।
আরো পড়ুনঃ দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ছবি