উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়র ভর্তি খরচ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সের ভর্তি খরচ নিম্নরূপ:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ

কোর্স ভর্তি ফি
এসএসসি ২,৭৫০ টাকা
এইচএসসি ৩,৯০০ টাকা
ডিগ্রি (বিএ/বিএসএস) ১০,০০০ টাকা
ডিগ্রি (বিবিএ/বিবিএস) ১০,৮০০ টাকা
ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন (ডিএড) ১০,০০০ টাকা
মাস্টার্স (এমএ/এমএসএস) ১০,০০০ টাকা
মাস্টার্স (এমবিএ/এমবিএ) ১০,৮০০ টাকা

এছাড়াও, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে ১,০০০ টাকা করে পরীক্ষা ফি প্রদান করতে হবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি অনলাইনে বা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ খবরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স করতে কত বছর লাগে?

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামটি চার বছর মেয়াদী। প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি সেমিস্টারে মোট পাঁচটি কোর্স পড়ানো হয়। একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে তিনটি কোর্স পাশ করতে হবে।

যদি একজন শিক্ষার্থী প্রতি সেমিস্টারে তিনটি কোর্স পাশ করে, তাহলে সে চার বছরের মধ্যে অনার্স সম্পন্ন করতে পারবে। তবে, শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অবস্থা, পড়ালেখার গতি এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার হারের উপর নির্ভর করে অনার্স সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে।

সাধারণত, শিক্ষার্থীরা চার থেকে ছয় বছরের মধ্যে অনার্স সম্পন্ন করে থাকে। তবে, কিছু শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০) থাকতে হবে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত থেকে কি মাস্টার্স করা যায়?

হ্যাঁ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা যায়। তবে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামটি শুধুমাত্র নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। অর্থাৎ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায় না।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামটি দুই বছর মেয়াদী। প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি সেমিস্টারে মোট পাঁচটি কোর্স পড়ানো হয়। একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে তিনটি কোর্স পাশ করতে হবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রার্থীদের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। অনার্স ডিগ্রিতে কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০) থাকতে হবে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। যেমন:

  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • অর্থনীতি
  • ব্যবসায় প্রশাসন
  • আইন
  • শিক্ষা
  • গণিত
  • পদার্থবিজ্ঞান
  • রসায়ন
  • ইতিহাস
  • ভূগোল
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • কৃষি
  • প্রকৌশল
  • চিকিৎসা বিজ্ঞান
আরো পড়ুনঃ  আমেনা নামের ইসলামিক অর্থ কি

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কি সরকারি

হ্যাঁ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হল বাংলাদেশের সকল নাগরিককে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করা। এটি দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও মূল্যায়ন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স সমূহ

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্তরের কোর্স প্রদান করে। এগুলো হল:

  • ডিগ্রি প্রোগ্রাম: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এগুলো হল:
    • অনার্স প্রোগ্রাম: অনার্স প্রোগ্রামটি চার বছর মেয়াদী। এতে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
    • মাস্টার্স প্রোগ্রাম: মাস্টার্স প্রোগ্রামটি দুই বছর মেয়াদী। এতে বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
  • প্রফেশনাল কোর্স: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স প্রদান করে। এগুলো হল:
    • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোর্স: কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোর্সগুলোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
    • বাণিজ্য শিক্ষা কোর্স: বাণিজ্য শিক্ষা কোর্সগুলোতে বাণিজ্য শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
    • ব্যবস্থাপনা শিক্ষা কোর্স: ব্যবস্থাপনা শিক্ষা কোর্সগুলোতে ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
    • শিক্ষা শিক্ষা কোর্স: শিক্ষা শিক্ষা কোর্সগুলোতে শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
  • উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের কোর্স: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের কোর্স প্রদান করে। এগুলো হল:
    • উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান) কোর্স: উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান) কোর্সটি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য।
    • উচ্চ মাধ্যমিক (মানবিক) কোর্স: উচ্চ মাধ্যমিক (মানবিক) কোর্সটি মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য।
    • উচ্চ মাধ্যমিক (বাণিজ্য) কোর্স: উচ্চ মাধ্যমিক (বাণিজ্য) কোর্সটি বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোর জন্য আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মতোই। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিতে যোগদান, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা যায়।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সের সার্টিফিকেটের মূল্য নিম্নরূপ:

কোর্স সার্টিফিকেটের মূল্য
এসএসসি ২,৭৫০ টাকা
এইচএসসি ৩,৯০০ টাকা
ডিগ্রি (বিএ/বিএসএস) ১০,০০০ টাকা
ডিগ্রি (বিবিএ/বিবিএস) ১০,৮০০ টাকা
ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন (ডিএড) ১০,০০০ টাকা
মাস্টার্স (এমএ/এমএসএস) ১০,০০০ টাকা
মাস্টার্স (এমবিএ/এমবিএ) ১০,৮০০ টাকা

উল্লেখ্য, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ খবরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে বলা যায় যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মতোই মূল্যবান।

আরো পড়ুনঃ  আরাজ নামের অর্থ কি

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি বিসিএস দেয়া যায়

হ্যাঁ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিসিএস দেওয়া যায়। বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর চার বছরের অনার্স পাস হলেও বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করা যায়। কেউ যদি তিন বছরের অনার্স বা পাস কোর্সে পড়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্টার্স পাস হতে হবে।

বিসিএস পরীক্ষায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য। তাই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স বা মাস্টার্স পাস করলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

বাংলাদেশে একটি সরকারি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এটি হল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা নিম্নরূপ:

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

  • ঢাকা কেন্দ্র
  • চট্টগ্রাম কেন্দ্র
  • রাজশাহী কেন্দ্র
  • খুলনা কেন্দ্র
  • বরিশাল কেন্দ্র
  • সিলেট কেন্দ্র
  • রংপুর কেন্দ্র
  • কুমিল্লা কেন্দ্র
  • পাবনা কেন্দ্র

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন জেলায় রিজিওনাল সেন্টার এবং স্টাডি সেন্টার রয়েছে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার নিয়ম

 বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে:
  • আবেদন যোগ্যতা:

    • এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
    • বয়স ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব।
  • আবেদন পদ্ধতি:

    • আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
    • আবেদনপত্র পূরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
  • পরীক্ষা:

    • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দুটি সেমিস্টারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    • প্রতি সেমিস্টারে প্রতিটি কোর্সের জন্য একটি করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    • পরীক্ষার নম্বর ১০০।
    • পরীক্ষার সময় হল ৩ ঘন্টা।
  • পাঠ্যক্রম:

    • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই।
    • পাঠ্যক্রমটি দুই ভাগে বিভক্ত:
      • সার্টিফিকেট কোর্স: এই কোর্সটি দুই বছর মেয়াদী।
      • ডিগ্রি কোর্স: এই কোর্সটি চার বছর মেয়াদী।
  • সার্টিফিকেট:

    • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মতোই।
    • সার্টিফিকেটটি দিয়ে চাকরিতে যোগদান, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা যায়।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য কিছু টিপস:

  • পরিকল্পনা:

    • পড়াশোনার জন্য একটি ভালো পরিকল্পনা তৈরি করুন।
    • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।
  • স্ব-শিক্ষা:

    • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয় না। তাই আপনাকে নিজে নিজে পড়াশোনা করতে হবে।
    • পাঠ্যপুস্তক, সাপ্লিমেন্টারি ম্যাটিরিয়্যাল এবং অন্যান্য উৎস থেকে পড়াশোনা করুন।
  • পরীক্ষার প্রস্তুতি:

    • পরীক্ষার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
    • নিয়মিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করুন।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুযোগ যা দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়। যদি আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী হন তাহলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে পড়ানো হয়

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে পড়ানো হয়। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত হতে হয় না। তারা নিজে নিজে পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে আবেদন করতে হয়।উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে। আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  আব্দুল্লাহ আল মুয়াজ নামের অর্থ কি

আবেদনপত্র গৃহীত হলে শিক্ষার্থীদের একটি নিয়মিত পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়। এই পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য উৎস থেকে পড়াশোনা করতে পারে।

প্রতি বছর দুটি সেমিস্টারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি সেমিস্টারে প্রতিটি কোর্সের জন্য একটি করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার নম্বর ১০০। পরীক্ষার সময় হল ৩ ঘন্টা।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সেমিস্টারে অগ্রসর হতে পারে। চার বছর পর সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি লাভ করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য কিছু টিপস:

  • পরিকল্পনা:

    • পড়াশোনার জন্য একটি ভালো পরিকল্পনা তৈরি করুন।
    • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।
  • স্ব-শিক্ষা:

    • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয় না। তাই আপনাকে নিজে নিজে পড়াশোনা করতে হবে।
    • পাঠ্যপুস্তক, সাপ্লিমেন্টারি ম্যাটিরিয়্যাল এবং অন্যান্য উৎস থেকে পড়াশোনা করুন।
  • পরীক্ষার প্রস্তুতি:

    • পরীক্ষার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
    • নিয়মিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করুন।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুযোগ যা দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়। যদি আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী হন তাহলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য

 

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে। এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাউবির লক্ষ্য হল বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদান করা, বিশেষ করে যারা নিয়মিত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

ভর্তি যোগ্যতা

বাউবিতে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তি প্রক্রিয়া

বাউবিতে ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হয়। আবেদনকারীদের বাউবির ওয়েবসাইট (https://www.bou.ac.bd/) থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফি বাবদ ১,০০০ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদন শুরু ও শেষ তারিখ

বাউবিতে ভর্তি আবেদন সাধারণত প্রতি বছরের জুন মাসে শুরু হয় এবং আগস্ট মাসে শেষ হয়। নির্দিষ্ট তারিখ বাউবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

ভর্তি পরীক্ষা

বাউবিতে ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থাকে।

ভর্তি ফলাফল

বাউবিতে ভর্তি ফলাফল সাধারণত অক্টোবর মাসে প্রকাশ করা হয়। ফলাফল বাউবির ওয়েবসাইটে এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্রে প্রকাশ করা হয়।

বাউবির কোর্সসমূহ

বাউবিতে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস), ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতক (সম্মান) কোর্স ৪ বছর মেয়াদী এবং স্নাতক (পাস) কোর্স ৩ বছর মেয়াদী। ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্সগুলি বিভিন্ন মেয়াদী।

বাউবির খরচ

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি খরচ আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে। সাধারণত স্নাতক (সম্মান) কোর্সের জন্য বছরে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা খরচ হয়। স্নাতক (পাস) কোর্সের জন্য বছরে ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা খরচ হয়। ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্সের জন্য বছরে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা খরচ হয়।

বাউবির সুযোগ-সুবিধা

বাউবিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ
  • স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ
  • প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা পাঠদান
  • আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার
  • পরীক্ষা কেন্দ্রের সুবিধা
  • লাইব্রেরি সুবিধা
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) সুবিধা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top