বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয়

বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয়

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয় সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয়

প্রথমে:

  • শান্ত থাকুন: বাচ্চারা যখন চোখে আঘাত পায় তখন তারা ভীত হয়ে যায়। তাই আপনার শান্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে বাচ্চারা আরও ভীত না হয়।
  • আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করুন:
    • হালকা আঘাত: যদি পিচুটিতে তেমন ফোলা বা রক্তপাত না থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বাড়িতে চিকিৎসা করতে পারেন।
    • গুরুতর আঘাত: যদি পিচুটিতে তীব্র ফোলা, রক্তপাত, বা চোখে লালভাব দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।

হালকা আঘাতের জন্য:

  • ঠান্ডা সেঁক:
    • একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে পিচুটির উপর 10-15 মিনিটের জন্য সেঁক দিন।
    • প্রতি 2-3 ঘণ্টা অন্তর ঠান্ডা সেঁক দিন।
  • ব্যথানাশক:
    • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত ব্যথানাশক ওষুধ দিতে পারেন।
  • বিশ্রাম:
    • বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে তাদের কিছুদিন স্কুল বা খেলার মাঠে যেতে দেবেন না।
    • তাদের চোখের উপর চাপ দেবেন না।

গুরুতর আঘাতের জন্য:

  • দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান:
    • যদি পিচুটিতে তীব্র ফোলা, রক্তপাত, বা চোখে লালভাব দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
    • ডাক্তার পিচুটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • পিচুটি চুলকালে বা ঘষলে চোখে ইনফেকশন হতে পারে। তাই বাচ্চাদের চোখ চুলকানো বা ঘষা থেকে বিরত রাখুন।
  • পিচুটিতে যদি ক্ষত থাকে, তাহলে ক্ষত পরিষ্কার রাখুন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।
  • পিচুটি পুরোপুরি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত বাচ্চাদের চোখে ধুলো, ময়লা, বা রাসায়নিক দ্রব্য ঢোকা থেকে সাবধান থাকুন।

নবজাতকের চোখে কেতুর হলে করণীয়

প্রথমে:

  • শান্ত থাকুন: নবজাতক যখন চোখে সমস্যা অনুভব করে তখন তারা অস্থির হয়ে যায়। তাই আপনার শান্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে শিশু আরও ভীত না হয়।
  • কেতুরের তীব্রতা নিরূপণ করুন:
    • হালকা কেতুর: যদি কেতুর তেমন পানি বা ময়লা না থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বাড়িতে পরিষ্কার করতে পারেন।
    • গুরুতর কেতুর: যদি কেতুর থেকে প্রচুর পানি বা ময়লা বের হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, বা চোখ খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
আরো পড়ুনঃ  জুয়াই তীর রেজাল্ট

হালকা কেতুরের জন্য:

  • গরম সেঁক:
    • একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে কেতুরের উপর 5-10 মিনিটের জন্য সেঁক দিন।
    • দিনে 3-4 বার গরম সেঁক দিন।
  • ম্যাসাজ:
    • নবজাতকের চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
    • ম্যাসাজ করার সময় কোনো চাপ দেবেন না।
  • পরিষ্কার:
    • শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেতুর পরিষ্কার করার জন্য চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
    • কেতুর পরিষ্কার করার সময় শুধুমাত্র পরিষ্কার ও নরম কাপড় ব্যবহার করুন।

গুরুতর কেতুরের জন্য:

  • দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান:
    • যদি কেতুর থেকে প্রচুর পানি বা ময়লা বের হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, বা চোখ খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
    • ডাক্তার কেতুর পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • নবজাতকের চোখ ঘষা বা চুলকানো থেকে বিরত রাখুন।
  • নবজাতকের চোখে ধুলো, ময়লা, বা রাসায়নিক দ্রব্য ঢোকা থেকে সাবধান থাকুন।
  • নবজাতকের চোখ পরিষ্কার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  • নিয়মিতভাবে নবজাতকের চোখ পরিষ্কার করুন।

বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়

প্রথমে:

  • শান্ত থাকুন: বাচ্চারা যখন চোখে সমস্যা অনুভব করে তখন তারা অস্থির হয়ে যায়। তাই আপনার শান্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে বাচ্চারা আরও ভীত না হয়।
  • কেতুরের তীব্রতা নিরূপণ করুন:
    • হালকা কেতুর: যদি কেতুর তেমন পানি বা ময়লা না থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বাড়িতে পরিষ্কার করতে পারেন।
    • গুরুতর কেতুর: যদি কেতুর থেকে প্রচুর পানি বা ময়লা বের হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, বা চোখ খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।

হালকা কেতুরের জন্য:

  • গরম সেঁক:
    • একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে কেতুরের উপর 5-10 মিনিটের জন্য সেঁক দিন।
    • দিনে 3-4 বার গরম সেঁক দিন।
  • ম্যাসাজ:
    • বাচ্চাদের চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
    • ম্যাসাজ করার সময় কোনো চাপ দেবেন না।
  • পরিষ্কার:
    • শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেতুর পরিষ্কার করার জন্য চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
    • কেতুর পরিষ্কার করার সময় শুধুমাত্র পরিষ্কার ও নরম কাপড় ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ  আমারো পরানো যাহা চায় কার লেখা

গুরুতর কেতুরের জন্য:

  • দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান:
    • যদি কেতুর থেকে প্রচুর পানি বা ময়লা বের হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, বা চোখ খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
    • ডাক্তার কেতুর পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • বাচ্চাদের চোখ ঘষা বা চুলকানো থেকে বিরত রাখুন।
  • বাচ্চাদের চোখে ধুলো, ময়লা, বা রাসায়নিক দ্রব্য ঢোকা থেকে সাবধান থাকুন।
  • বাচ্চাদের চোখ পরিষ্কার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  • নিয়মিতভাবে বাচ্চাদের চোখ পরিষ্কার করুন।

বাচ্চাদের চোখে কেতুর হয় কেন

বাচ্চাদের চোখে কেতুর হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে।

সাধারণ কারণ:

  • জন্মগত:
    • নবজাতকদের ক্ষেত্রে, জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের ন্যাসো-ল্যাক্রিমাল ডাক্ট (চোখের পানি নাকের দিকে বহন করে এমন নালি) বন্ধ থাকতে পারে। এর ফলে চোখের পানি বের হতে পারে না এবং কেতুর তৈরি হতে পারে।
  • সংক্রমণ:
    • ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা অ্যালার্জির কারণে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে চোখের পানি বের হতে পারে এবং কেতুর তৈরি হতে পারে।
  • ব্লক:
    • ধুলো, ময়লা, বা অন্য কোনো বস্তু চোখের ন্যাসো-ল্যাক্রিমাল ডাক্ট ব্লক করে দিতে পারে। এর ফলে চোখের পানি বের হতে পারে না এবং কেতুর তৈরি হতে পারে।

অন্যান্য কারণ:

  • শুষ্ক চোখ:
    • শুষ্ক আবহাওয়া, ধোঁয়া, বা চোখের পাতায় সমস্যার কারণে চোখ শুষ্ক হতে পারে। এর ফলে চোখের পানি কমে যেতে পারে এবং কেতুর তৈরি হতে পারে।
  • অ্যালার্জি:
    • ধুলো, পরাগ, বা পোষা প্রাণীর লোমের অ্যালার্জির কারণে চোখে জ্বালা, পানি পড়া, এবং কেতুর তৈরি হতে পারে।
  • চোখের আঘাত:
    • চোখে আঘাত লাগলে কেতুর তৈরি হতে পারে।

আপনার বাচ্চাদের চোখে যদি কেতুর হয়, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন। ডাক্তার কেতুরের কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • বাচ্চাদের চোখ পরিষ্কার রাখুন।
  • বাচ্চাদের চোখ ঘষা বা চুলকানো থেকে বিরত রাখুন।
  • বাচ্চাদের চোখে ধুলো, ময়লা, বা রাসায়নিক দ্রব্য ঢোকা থেকে সাবধান থাকুন।
  • নিয়মিতভাবে বাচ্চাদের হাত ধুয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ  মনের মানুষ নিয়ে কিছু কথা

চোখে পিচুটি দূর করার উপায়

চোখে পিচুটি, যা ঘুমের পিচুটি নামেও পরিচিত, তা চোখের কোণে জমা হওয়া শ্লেষ্মা ও ময়লার একটি স্তর। এটি সাধারণত ঘুমের সময় জমা হয়, কারণ তখন চোখ বন্ধ থাকে এবং পলক ফেলার মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয় না।

চোখে পিচুটি দূর করার কিছু উপায়:

  • গরম পানি:
    • একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে (গরম, জ্বলন্ত নয়) পিচুটির উপর ৫-১০ মিনিট সেঁক দিন।
    • এটি পিচুটিকে নরম করে সহজে মুছে ফেলতে সাহায্য করবে।
  • ম্যাসাজ:
    • বন্ধ চোখের পাতায় আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
    • এটি পিচুটিকে চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে ধাবিত করতে সাহায্য করবে।
  • পরিষ্কার:
    • শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
    • শুধুমাত্র পরিষ্কার ও নরম কাপড় ব্যবহার করে পিচুটি মুছে ফেলুন।
    • কখনোই পিচুটি ঘষবেন না বা চোখ চুলকাবেন না।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • নিয়মিতভাবে হাত ধুয়ে দিন, বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং টয়লেট ব্যবহার করার পর।
  • চোখের পাতা পরিষ্কার রাখুন।
  • ঘুমের সময় চোখের মেকআপ পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • ধুলোবালি ও দূষিত পরিবেশে চোখের সুরক্ষার জন্য চশমা ব্যবহার করুন।
  • চোখে যদি ইনফেকশন থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

যদি পিচুটি নিয়মিত জমা হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, বা চোখ খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পরিশেষে

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের চোখে পিচুটি হলে করণীয় এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ চাকরি দেবে সজীব গ্রুপ, ৪৫ বছরেও আবেদনের সুযোগ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top