আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, যোহরের নামাজের শেষ সময় কখন? তাই আজকে আমি এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে যোহরের নামাজের শেষ সময়। আর দেরী না করে চলুন শুরু করা যাক।
যোহরের নামাজের শেষ সময়
যোহরের নামাজের শেষ সময় দুটি মতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
শাফি মাজহাবের মতে, যোহরের নামাজের শেষ সময় হলো সূর্য যখন তার নিজস্ব ছায়ার দ্বিগুণ হয়। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর ছায়ার দিকে সূর্য যেদিকে হেলে পড়ে, সেই দিকের ছায়ার দৈর্ঘ্য যখন বস্তুর দৈর্ঘ্যের সমান হয়, তখনই যোহরের নামাজের শেষ সময় শুরু হয়।
হানাফি মাজহাবের মতে, যোহরের নামাজের শেষ সময় হলো সূর্য যখন ছায়ায়ে আসলি বা দ্বিপ্রহরের ছায়ার সমান হয়। অর্থাৎ, সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে, তখন কোনো বস্তুর নিজস্ব ছায়ার দৈর্ঘ্য যখন সূর্যের মধ্যাহ্নের ছায়ার সমান হয়, তখনই যোহরের নামাজের শেষ সময় শুরু হয়।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৩ই নভেম্বর, সোমবার যোহরের নামাজের শেষ সময় হবে:
- শাফি মাজহাব অনুসারে: সন্ধ্যা ৬:০০ টার দিকে
- হানাফি মাজহাব অনুসারে: সন্ধ্যা ৬:০৫ টার দিকে
উল্লেখ্য, যোহরের নামাজের শেষ সময়ের পর নামাজ পড়া জায়েয তবে মাকরুহ।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত

যোহরের নামাজ মোট ১০ রাকাত। এর মধ্যে চার রাকাত সুন্নাত, চার রাকাত ফরজ, এবং দুই রাকাত সুন্নাত। কেউ কেউ পরে দুই রাকআত নফ্ল্ নামাযও আদায় করে। নামাজ ঠিক সময়ে আদায় করার জন্য যোহরের নামাজের শেষ সময় জানা অনেক জরুরী।
- চার রাকাত সুন্নাত যোহরের ফরজের আগে আদায় করা হয়।
- চার রাকাত ফরজ যোহরের সময়ের মধ্যে আদায় করা হয়।
- দুই রাকাত সুন্নাত যোহরের ফরজের পরে আদায় করা হয়।
- কেউ কেউ পরে দুই রাকআত নফ্ল্ নামাযও আদায় করে।
মুসাফির অবস্থায় চার রাকাত ফরজ দুই রাকাতে সংক্ষিপ্ত করে আদায় করা যায়। এক্ষেত্রে সুন্নাত আদায় করা হয় না।
যোহরের নামাজের সময় শুরু হয় সূর্য মধ্যাকাশে থাকা অবস্থা থেকে শুরু হয়ে সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত।
যোহরের নামাজের নিয়ম
যোহরের নামাজ চার রাকাআত সুন্নাত, চার রাকাআত ফর্য্ ও এরপর দুই রাকাআত সুন্নাত নিয়ে গঠিত।
সুন্নাত নামাজ
-
প্রথম রাকাআত
- তাকবীরে তাহরীমা
- সূরা ফাতেহা
- অন্য যেকোনো সূরা
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- তৃতীয় রাকাআতে দাঁড়ানো
-
দ্বিতীয় রাকাআত
- সূরা ফাতেহা
- অন্য যেকোনো সূরা
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- তাশাহুদ
- দু’আ মাসুরা
- সালাম
ফরজ নামাজ
-
প্রথম রাকাআত
- তাকবীরে তাহরীমা
- সূরা ফাতেহা
- সূরা বাকারার প্রথম আয়াত থেকে শেষ আয়াত পর্যন্ত (ইমাম সাহেব)
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- তৃতীয় রাকাআতে দাঁড়ানো
-
দ্বিতীয় রাকাআত
- সূরা ফাতেহা
- সূরা আলে ইমরানের প্রথম আয়াত থেকে শেষ আয়াত পর্যন্ত (ইমাম সাহেব)
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- তাশাহুদ
- দু’আ মাসুরা
- সালাম
সুন্নাত নামাজ
-
প্রথম রাকাআত
- তাকবীরে তাহরীমা
- সূরা ফাতেহা
- অন্য যেকোনো সূরা
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- তৃতীয় রাকাআতে দাঁড়ানো
-
দ্বিতীয় রাকাআত
- সূরা ফাতেহা
- অন্য যেকোনো সূরা
- রুকু
- সিজদা
- দুই সিজদার মাঝে বসা
- সালাম
মুসাফির অবস্থায়
মুসাফির অবস্থায় যোহরের ফরজ নামাজ চার রাকাআত থেকে কমিয়ে দুই রাকাআত করা যায়। এক্ষেত্রে সুন্নাত নামাজও আদায় করা হয় না।
নিয়ম
- নামাজের নিয়ত
নামাজের নিয়ত হলো মনে মনে বা উচ্চস্বরে ইচ্ছা করা যে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করছি।
- তাকবীরে তাহরীমা
তাকবীরে তাহরীমা হলো নামাজের শুরুতে আল্লাহর মহানত্ব ঘোষণা করা। তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় ডান হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো হয়।
- সূরা ফাতেহা
সূরা ফাতেহা হলো কুরআনের প্রথম সূরা। প্রতিটি নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে সূরা ফাতেহা পড়া আবশ্যক।
- রুকু
রুকু হলো নামাজের একটি অংশ যেখানে বসে ডান পায়ের উপর বাম পা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়তে হয়।
- সিজদা
সিজদা হলো নামাজের একটি অংশ যেখানে দুই হাত, দুই হাঁটু, নাক এবং কপাল মাটিতে স্পর্শ করতে হয়।
- সালাম
সালাম হলো নামাজের শেষে ডান ও বাম দিকে মাথা ঘুরিয়ে সালাম দেওয়া।
নামাজের নিয়মকানুনগুলো ভালোভাবে শিখে নিলে আপনি সহজেই যোহরের নামাজ আদায় করতে পারবেন। এর সাথে আপনার উচিত যোহরের নামাজের শেষ সময় জেনে নেওয়া।
যোহরের নামাজের ওয়াক্ত
যোহরের নামাজের ওয়াক্ত নিম্নরূপ:
- শুরু: সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়।
- সমাপ্ত: কোনো বস্তুর ছায়া আসলি বাদে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুন হওয়া পর্যন্ত যোহরের নামাজের ওয়াক্ত থাকে তার মানে এটিই যোহরের নামাজের শেষ সময়।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, যোহরের নামাজের ওয়াক্ত নিম্নরূপ:
- শুরু: সকাল ১১:৫৫
- সমাপ্ত: দুপুর ১:২৫
অর্থাৎ, সকাল ১১:৫৫ মিনিট থেকে দুপুর ১:২৫ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজের ওয়াক্ত। এই সময়ের মধ্যে যোহরের নামাজ আদায় করা উচিত।
যোহরের নামাজের ওয়াক্তের সঠিক সময় নির্ধারণের জন্য ছায়া গ্রহণের পদ্ধতি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। এক্ষেত্রে, কোনো বস্তুর ঠিক দুপুরের সময় যে ক্ষুদ্র ছায়া থাকে তাকেই বলে ছায়া আসলি। ছায়া আসলি বাদে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুন হওয়া পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্ত থাকে। যোহরের ওয়াক্ত এর সাথে যোহরের নামাজের শেষ সময় জেনে নিবেন।
তবে, ছায়া গ্রহণের পদ্ধতি সবসময় সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত সময়সূচী অনুসরণ করা যেতে পারে:
- গ্রীষ্মকালে: সকাল ১১:৩০ থেকে দুপুর ১:৪৫
- শীতকালে: দুপুর ১২:৩০ থেকে ২:৩০
এই সময়সূচীটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।
যোহরের নামাজের নিয়ত
যোহরের নামাজের নিয়ত নিম্নরূপ:
বাংলায়:
নিয়ত করছি আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরয যোহরের চার রাকাআত নামাজ আদায় করার।
আরবিতে:
উছবুলিল্লাহি তায়ালা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহু আকবার।
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবাআ রাকাআআতি সালাতিল জুহরি ফারদুন মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
উচ্চারণ:
উসবুলিল্লাহি তায়ালা, আসহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহু আকবার।
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবাআ রাকাআআতি সালাতিল জুহরি ফারদুন মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ:
বাংলায়:
আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ফরয যোহরের চার রাকাআত নামাজ আদায় করার নিয়ত করছি। কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ালাম। আল্লাহু আকবার।
আরবিতে:
আমি আল্লাহর জন্য যোহরের ফরয চার রাকাআত নামাজ আদায় করার নিয়ত করছি। কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ালাম। আল্লাহু আকবার।
নিয়ত করার পর, ডান হাতের তালু দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নিম্নরূপ দোয়া পড়তে হয়:
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। আর-রহমানির রহীম। মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। ইয়্যাকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল lazeena আনআমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোল্লীন।
উচ্চারণ:
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। আর-রহমানির রহীম। মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। ইয়্যাকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল lazeena আনআমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোল্লীন।
অর্থ:
বাংলায়:
সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর প্রশংসা, যিনি পরম করুণাশীল, অসীম দয়ালু। বিচার দিবসের মালিক তিনিই। আমরা তাঁরই ইবাদত করি এবং তাঁরই সাহায্য প্রার্থনা করি। তিনি আমাদের সরল পথ দেখান। সেই সরল পথ যাদেরকে আপনি অনুগ্রহ করেছেন, যাদের প্রতি ক্রোধ হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়নি।
এরপর, তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাজ শুরু করতে হয়।
যোহরের নামাজের ফজিলত
জোহরের নামাজ ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে তৃতীয় নামাজ। সূর্য মধ্যাকাশে থাকা অবস্থায় এই নামাজের সময় শুরু হয় এবং সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর শেষ হয়।
জোহরের নামাজের ফজিলত অনেক। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের নামাজ জামাতে আদায় করে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়।” (তিরমিজি)
জোহরের নামাজ আদায় করলে যেসব ফজিলত লাভ করা যায়, তার মধ্যে রয়েছে:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
- জান্নাতের সুসংবাদ
- জাহান্নাম থেকে মুক্তি
- গুনাহ মাফ
- দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ
- শরীর ও মনকে সুস্থ রাখা
- সামাজিক বন্ধন মজবুত করা
জোহরের নামাজের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজও অনেক ফজিলতপূর্ণ। এই সুন্নত নামাজ আদায় করলে দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক কল্যাণ লাভ করা যায়। ফজিলত পেতে হলে আপনাকে আগে যোহরের নামাজের শেষ সময় জেনে সেই অনুযায়ী সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
জোহরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আরও কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো:
- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাতে একটি বিরাট প্রাসাদ নির্মিত হবে।” (নাসায়ি)
- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মিত হবে, যার ছাদ হবে স্বর্ণের, দেয়াল হবে মুক্তার এবং ভিত্তি হবে রুপার।” (তিরমিজি)
- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একটি পাহাড়ের সমান সওয়াব লিখে দেন।” (বুখারি)
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নিয়মিত জোহরের নামাজ আদায় করা এবং আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজও আদায় করা।
জুমার দিন যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম
জুমার দিন যোহরের নামাজের ফরজ চার রাকাআত। এর আগে চার রাকাআত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাআত সুন্নাত পড়া হয়। জুমার দিন যোহরের নামাজের শেষ সময় জেনে নিন।
জুমার দিন যোহরের নামাজের সুন্নাত পড়ার নিয়ম
- প্রথমে জামাতে দাঁড়িয়ে ইমামের সাথে নামাজের জন্য দোয়া পড়ুন।
- এরপর ইমামের সাথে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীরে তাহরিমা বলুন।
- এরপর হাত বাঁধুন।
- সূরা ফাতেহা পড়ুন।
- এরপর যেকোনো একটি সূরা পড়ুন।
- রুকু করুন।
- রুকু থেকে উঠুন।
- সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠুন।
- আবার সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতেহা পড়ুন।
- এরপর যেকোনো একটি সূরা পড়ুন।
- রুকু করুন।
- রুকু থেকে উঠুন।
- সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠুন।
- আবার সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠে বসেন।
- তাশাহহুদ পড়ুন।
- দুরুদ শরীফ পড়ুন।
- দোয়া পড়ুন।
- “আল্লাহু আকবার” বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
জুমার দিন যোহরের নামাজের ফরজ পড়ার নিয়ম
- প্রথমে জামাতে দাঁড়িয়ে ইমামের সাথে নামাজের জন্য দোয়া পড়ুন।
- এরপর ইমামের সাথে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীরে তাহরিমা বলুন।
- এরপর হাত বাঁধুন।
- সূরা ফাতেহা পড়ুন।
- এরপর যেকোনো একটি সূরা পড়ুন।
- রুকু করুন।
- রুকু থেকে উঠুন।
- সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠুন।
- আবার সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতেহা পড়ুন।
- এরপর যেকোনো একটি সূরা পড়ুন।
- রুকু করুন।
- রুকু থেকে উঠুন।
- সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠুন।
- আবার সিজদা করুন।
- সিজদা থেকে উঠে বসেন।
- তাশাহহুদ পড়ুন।
- দুরুদ শরীফ পড়ুন।
- “আল্লাহু আকবার” বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
জুমার দিন যোহরের নামাজের সুন্নাতের ফজিলত
জুমার দিন যোহরের নামাজের সুন্নাত চার রাকাআত। এ চার রাকাআত নামাজ পড়ার ফজিলত অনেক। হাদিস শরীফে এসেছে,
যে ব্যক্তি জুমার দিন চার রাকাআত সুন্নাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন।
জুমার দিন যোহরের নামাজের ফরজের ফজিলত
জুমার দিন যোহরের নামাজের ফরজ চার রাকাআত। এ চার রাকাআত নামাজ পড়ার ফজিলতও অনেক। হাদিস শরীফে এসেছে,
যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ নামাজ আদায় করবে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একটি ঘর নির্মাণ করবেন জান্নাতে।
জুমার দিন যোহরের নামাজের নিয়ম মনে রাখার উপায়
- জুমার দিন যোহরের নামাজের নিয়ম মনে রাখার জন্য একটি ছোট্ট ছড়া মনে রাখতে পারেন। ছড়াটি হলো,
“জুমারের সুন্নত চার, ফরজ চার, তারপর সুন্নত দুই, সাথে দুয়া দুই, সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করি।”
এই ছড়াটি মনে রাখার মাধ্যমে আপনি জুমার দিন যোহরের নামাজের নিয়ম খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন।
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা উপরের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে যোহরের নামাজের শেষ সময় এর সাথে যোহরের নামাজ সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জেনে গেছেন। পোস্টটি পড়ে উপকার পেলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুনঃ এশার নামাজ কয় রাকাত ও নিয়ত