হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই রূপকথার গল্প সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে রূপকথার গল্প সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
রূপকথার গল্প ১
এক গ্রামে ছিল এক মেয়ে। নাম তার মিতা। মিতা ছিল খুবই দয়ালু এবং সাহসী। সে সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে চাইত।
একদিন মিতা বনের মধ্যে হাঁটছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল যে একটি ছোট্ট পাখি একটি বড় গাছের ডালে আটকা পড়ে আছে। পাখিটি চিৎকার করে সাহায্য চাইছিল।
মিতা পাখিটিকে সাহায্য করার জন্য গাছে উঠতে লাগল। গাছটি খুবই উঁচু ছিল, কিন্তু মিতা সাহস হারাল না। সে শেষ পর্যন্ত গাছের উপরে উঠে পাখিটিকে বাঁচিয়ে দিল।
পাখিটি মিতার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ ছিল। সে মিতাকে বলল, “তুমি আমাকে বাঁচালে, আমি তোমার জন্য কিছু করতে চাই।”
মিতা বলল, “তুমি যা করতে চাও করো। আমি তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি।”
পাখিটি বলল, “আমার একটা আশ্রয় দরকার। তুমি কি আমাকে তোমার বাড়িতে থাকতে দেবে?”
মিতা বলল, “অবশ্যই। তুমি আমার সাথে থাকতে পারো।”
পাখিটি মিতার সাথে বাসায় চলে গেল। পাখিটি খুবই সুন্দর ছিল। সে মিতার সাথে খেলা করত এবং তাকে গল্প শোনাত। মিতা পাখিটিকে খুবই ভালোবাসতে লাগল।
একদিন মিতা এবং পাখিটি বনের মধ্যে হাঁটছিল। হঠাৎ তারা দেখতে পেল যে একটি বাঘ একটি হরিণ শিকার করছে। বাঘটি হরিণটিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল।
মিতা বাঘটিকে বাধা দেওয়ার জন্য সাহস করে দাঁড়াল। সে বলল, “বাঘ সাহেব, হরিণটিকে ছেড়ে দিন।”
বাঘটি মিতাকে দেখে খুবই রাগান্বিত হল। সে মিতাকে ধরে ফেলার জন্য লাফিয়ে উঠল।
মিতা ভয় পেয়ে গেল, কিন্তু সে সাহস হারাল না। সে বাঘের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি আমাকে ধরতে পারো না।”
বাঘটি মিতার সাহসের কাছে স্তব্ধ হয়ে গেল। সে মিতাকে ছেড়ে দিল এবং হরিণটিকে ছেড়ে চলে গেল।
হরিণটি মিতার কাছে এসে বলল, “তুমি আমাকে বাঁচালে, আমি তোমার জন্য কিছু করতে চাই।”
মিতা বলল, “তুমি যা করতে চাও করো। আমি তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি।”
হরিণটি বলল, “আমার একটা বন্ধু আছে, সে একটা জাদুকরী। তুমি যদি তার সাথে দেখা করো, তাহলে সে তোমাকে একটা উপহার দেবে।”
মিতা বলল, “আমি অবশ্যই তার সাথে দেখা করব।”
হরিণটি মিতাকে জাদুকরীর বাড়ির পথ দেখিয়ে দিল। মিতা জাদুকরীর বাড়িতে গেল এবং তাকে তার গল্প বলল।
জাদুকর মিতার সাহস দেখে খুবই খুশি হল। সে মিতাকে একটা জাদুর ঘড়ি উপহার দিল। জাদুর ঘড়িটি কেবলমাত্র সেই ব্যক্তিকে দেখতে পারে যে সত্যিকার অর্থে ভালবাসতে জানে।
মিতা জাদুর ঘড়িটি নিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। সে তার বাড়িতে ফিরে গেল এবং জাদুর ঘড়িটি ব্যবহার করতে লাগল।
মিতা জাদুর ঘড়ির মাধ্যমে দেখতে পেল যে যারা তাকে ভালোবাসে, তারা সবাই ভালো মানুষ। তারা সবাই একজন অন্যজনের জন্য সব কিছু করতে পারে।
মিতা বুঝতে পারল যে ভালোবাসাই সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু সম্ভব।
মিতা জাদুর ঘড়ির মাধ্যমে তার জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলল। সে তার চারপাশের সবাইকে ভালোবাসতে শেখাল।
এবং সেই থেকে মিতাকে বলা হতো “ভালোবাসার পরী”।
(সমাপ্ত)
রূপকথার গল্প ২
এক সময় ছিল এক রাজপুত্র, যার নাম ছিল রুদ্র। রুদ্র ছিল একজন খুবই দয়ালু এবং ধার্মিক রাজপুত্র। সে সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে চাইত।
একদিন রুদ্র বনের মধ্যে হাঁটছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল যে একটি দল ডাকাত একটি গ্রামে হানা দিয়েছে। ডাকাতরা গ্রামবাসীদের জিনিসপত্র লুটপাট করছিল এবং তাদের মারধর করছিল।
রুদ্র ডাকাতদের থামাতে সাহস করে দাঁড়াল। সে ডাকাতদের বলল, “তোমরা যা করছো তা অন্যায়। আমি তোমাদের থামাব।”
ডাকাতরা রুদ্রকে দেখে খুবই রাগান্বিত হল। তারা রুদ্রকে ধরে ফেলার জন্য ছুটে গেল।
রুদ্র সাহস হারাল না। সে তার তলোয়ার দিয়ে ডাকাতদের মোকাবেলা করল। রুদ্র তার বীরত্বের মাধ্যমে ডাকাতদের পরাজিত করল।
গ্রামের লোকেরা রুদ্রের সাহসের জন্য খুবই কৃতজ্ঞ ছিল। তারা রুদ্রকে তাদের রাজা হিসেবে বেছে নিল।
রুদ্র একজন খুবই ভালো রাজা ছিল। সে তার রাজ্যের লোকদের সুখী এবং সমৃদ্ধ করতে সব কিছু করল।
একদিন রুদ্রের রাজ্যে একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। রাজ্যের লোকেরা খাবার ও পানির জন্য হাহাকার করছিল।
রুদ্র তার রাজ্যের লোকদের সাহায্য করার জন্য সব কিছু করল। সে তার রাজ্যের সীমান্ত থেকে খাবার ও পানি আনিয়ে দিল।
রুদ্রের সাহায্যের কারণে রাজ্যের লোকেরা দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা পেল।
রুদ্রের রাজত্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করত। রুদ্রের রাজ্যবাসীরা তাকে খুবই ভালোবাসত।
এবং সেই থেকে রুদ্রকে বলা হতো “ভালোবাসা ও ন্যায়ের রাজা”।
(সমাপ্ত)
এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, ভালোবাসা ও ন্যায় সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। ভালোবাসা ও ন্যায়ের মাধ্যমে সবকিছু সম্ভব।
রূপকথার গল্প ৩
এক সময় ছিল এক সুন্দরী রাজকন্যা, যার নাম ছিল পদ্ম। পদ্ম ছিল একজন খুবই দয়ালু এবং নিবেদিতপ্রাণ রাজকন্যা। সে সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে চাইত।
একদিন পদ্ম বনের মধ্যে হাঁটছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল যে একটি ছোট্ট বাচ্চা একটি গভীর কুয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। বাচ্চাটি চিৎকার করে সাহায্য চাইছিল।
পদ্ম বাচ্চাটিকে বাঁচাতে সাহস করে কুয়ার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল। সে বাচ্চাটিকে কুয়ার কিনারে তুলে আনল।
বাচ্চাটির মা-বাবা পদ্মকে খুবই কৃতজ্ঞ ছিল। তারা পদ্মকে বলল, “আপনি আমাদের সন্তানকে বাঁচালেন। আমরা আপনাকে কখনই ভুলব না।”
পদ্ম বলল, “আপনার সন্তানকে বাঁচাতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে চাই।”
পদ্মের এই সাহসের কথা রাজ্যের রাজা জানতে পারলেন। তিনি পদ্মকে তার রাজ্যে আমন্ত্রণ জানালেন।
রাজা পদ্মকে বললেন, “আপনার সাহসের জন্য আমি আপনাকে পুরস্কৃত করতে চাই। আমি আপনাকে আমার পুত্রের সাথে বিয়ে দিতে চাই।”
পদ্ম রাজার প্রস্তাব শুনে খুবই বিস্মিত হল। সে রাজাকে বলল, “আমি একজন সাধারণ মেয়ে। আমি আপনার পুত্রের সাথে বিয়ে করার যোগ্য নই।”
রাজপুত্র পদ্মের কথা শুনে বলল, “আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমার সাথেই বিয়ে করতে চাই।”
পদ্ম রাজপুত্রের কথা শুনে খুবই খুশি হল। সে রাজপুত্রের সাথে বিয়ে করতে রাজি হল।
পদ্ম ও রাজপুত্রের বিয়ে খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে হল। পদ্ম একজন খুবই ভালো স্ত্রী এবং মা ছিল। সে সবসময় তার পরিবারের খেয়াল রাখত।
পদ্মের গুণের কারণে রাজ্যবাসীরা তাকে খুবই ভালোবাসত। পদ্মকে বলা হতো “ভালোবাসার রানী”।
(সমাপ্ত)
এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, সাহস ও ভালোবাসা সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। সাহস ও ভালোবাসার মাধ্যমে সবকিছু সম্ভব।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের রূপকথার গল্প এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ
আরো পড়ুনঃ তৈ তৈ তৈ তৈ আমার বৈয়ম পাখি কই গানের রিলিক্স