ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
না, ওবায়দুল কাদের মারা যায়নি। তিনি জীবিত এবং সুস্থ আছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর, একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে যেখানে বলা হয় যে ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন। এই পোস্টে বলা হয় যে তিনি একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
তবে, এই পোস্টটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের নিজেই এই পোস্টটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি সুস্থ আছেন এবং তিনি তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলোতে ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যুর কোনো খবর প্রকাশ করা হয়নি।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদের এর সন্তান কতজন
ওবায়দুল কাদেরের দুইজন সন্তান রয়েছে। তার দুই ছেলের নাম হলো মাহবুব কাদের ও ইকবাল কাদের।
মাহবুব কাদের একজন ব্যবসায়ী এবং ইকবাল কাদের একজন আইনজীবী।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদের কত টাকার মালিক
ওবায়দুল কাদেরের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হলফনামায় ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পত্তি ৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৪ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, তার বাৎসরিক আয় ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৫০৮ টাকা।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
এছাড়াও, ওবায়দুল কাদেরের কাছে বেশ কিছু গাড়ি রয়েছে। তার ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি মার্সিডিজ-বেঞ্জ, একটি ফোর্ড এবং একটি টয়োটা। তিনি সরকারিভাবে একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করেন।
ওবায়দুল কাদেরের সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন। কারণ, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি এবং তার আয়ের অনেক অংশ সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয় না। তবে, উপরে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ওবায়দুল কাদের একজন ধনী ব্যক্তি।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদের কি মন্ত্রী
হ্যাঁ, ওবায়দুল কাদের একজন মন্ত্রী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে এই পদে বহাল আছেন।
ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও। তিনি এই পদে ২০১৬ সাল থেকে বহাল আছেন।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদেরের বাসার ঠিকানা
ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত বাসার ঠিকানা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয় না। তবে, জানা যায় যে, তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বাড়িতে থাকেন। এই বাড়ির ঠিকানা হলো:
বাড়ি নম্বর: ৫০০/১, সড়ক নম্বর ৭, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
ওবায়দুল কাদেরের সরকারি বাসভবনও ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত। এই বাসভবনটি সরকারের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এই বাসভবনের ঠিকানা হলো:
বাড়ি নম্বর: ৫০, সড়ক নম্বর ৭, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত বাসার ঠিকানা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে আপনাকে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদের পরিবারের সদস্য
ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন:
- স্ত্রী: ইসরাতুন্নেসা কাদের
- ছেলে: আবদুল মোমিন কাদের
- মেয়ে: তাসনিম কাদের
- ছোট ভাই: আব্দুল কাদের মির্জা
ইসরাতুন্নেসা কাদের একজন সমাজসেবী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আবদুল মোমিন কাদের একজন ব্যবসায়ী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
তাসনিম কাদের একজন চিকিৎসক। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
আব্দুল কাদের মির্জা একজন রাজনীতিবিদ। তিনি নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য।
ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবাই সফল ব্যক্তি। তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
এছাড়াও, ওবায়দুল কাদেরের পরিবারে আরও অনেক সদস্য রয়েছেন। তবে, তারা মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন এবং তাদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।
ওবায়দুল কাদের পিএস
ওবায়দুল কাদেরের একান্ত সচিব (পিএস) হলেন গৌতম চন্দ্র পাল। তিনি একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ওবায়দুল কাদেরের পিএস হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব (সড়ক ও মহাসড়ক) পদে কর্মরত ছিলেন।
গৌতম চন্দ্র পাল একজন মেধাবী ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল কাদেরের পিএস হিসেবে গৌতম চন্দ্র পালের দায়িত্ব হলো মন্ত্রীর ব্যক্তিগত ও সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করা। তিনি মন্ত্রীর সমস্ত আদেশ ও নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করেন। এছাড়াও, তিনি মন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করেন।
গৌতম চন্দ্র পাল ওবায়দুল কাদেরের একজন বিশ্বস্ত ও দক্ষ কর্মকর্তা। তিনি মন্ত্রীর সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী সন্তান
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী হলেন ইসরাতুন্নেসা কাদের। তিনি একজন সমাজসেবী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ওবায়দুল কাদেরের দুই সন্তান রয়েছে। ছেলের নাম আবদুল মোমিন কাদের এবং মেয়ের নাম তাসনিম কাদের।
আবদুল মোমিন কাদের একজন ব্যবসায়ী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
তাসনিম কাদের একজন চিকিৎসক। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবাই সফল ব্যক্তি। তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
এছাড়াও, ওবায়দুল কাদেরের পরিবারে আরও অনেক সদস্য রয়েছেন। তবে, তারা মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন এবং তাদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।
ওবায়দুল কাদেরের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
ওবায়দুল কাদেরের শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো:
- মাধ্যমিক: বসুরহাট এ এইচ সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী
- উচ্চ মাধ্যমিক: নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
- স্নাতক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ওবায়দুল কাদেরের জীবন বৃত্তান্ত
ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোশাররফ হোসেন এবং মাতার নাম ফজিলাতুন্নেছা।
ওবায়দুল কাদের ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকতায় ঝুঁকে পড়েন এবং কিছুদিন দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলে তিনি বিরোধী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসলে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসলে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসলে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।ওবায়দুল কাদের কি মারা গেছে
ওবায়দুল কাদের একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের সড়ক ও সেতু ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ওবায়দুল কাদের একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি তার বক্তৃতা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ।