পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
পাতলা পায়খানার জন্য অনেকগুলি ওষুধ রয়েছে, তবে আপনার জন্য সঠিকটি নির্ভর করবে আপনার ডায়রিয়ার কারণ এবং আপনার অন্যান্য উপসর্গগুলির উপর। আপনার জন্য সেরা ওষুধ সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। পাতলা পায়খানার জন্য কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
- লোপারামাইড (ইমোডিয়াম) এটি একটি অ্যান্টিডায়রিয়াল ওষুধ যা অন্ত্রের গতি কমিয়ে কাজ করে। পাতলা পায়খানা এবং পায়খানার সংখ্যা। এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রোবায়োটিক যা ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং প্রতিরোধ করে। এটি একটি ইলেক্ট্রোলাইট সমাধান যা ডায়রিয়ার ফলে হওয়া তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ক্ষতি প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।
আপনার যদি ডায়রিয়া হয় তবে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাও গুরুত্বপূর্ণ। পানি, স্পষ্ট স্যুপ এবং বরফের চিপস। আপনি ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে চাইবেন, কারণ এগুলি আপনার ডায়রিয়াকে আরও খারাপ করতে পারে।
আপনার যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত:
- তীব্র পেটে ব্যথা বা মলত্যাগ
- ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়
- উচ্চ জ্বর
- রক্তপাত বা কালো মল
- ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ, যেমন কম প্রস্রাব করা, শুষ্ক মুখ এবং মাথা ঘোরা
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে, আপনার এমন খাবার খাওয়া উচিত যা আপনার অন্ত্রকে শক্ত করতে এবং আপনার শরীরে হারিয়ে যাওয়া তরল এবং লবণ পূরণ করতে সাহায্য করে।
কিছু খাবার যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে:
1. ভাত: ভাত হলো একটি হালকা খাবার যা সহজে হজম হয় এবং পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে। 2. কলা: কলাতে পটাশিয়াম বেশি থাকে, যা ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া পটাশিয়াম পূরণ করতে সাহায্য করে। 3. সেদ্ধ আপেল: সেদ্ধ আপেলে পেকটিন থাকে, যা অন্ত্রের গতিকে শক্ত করতে সাহায্য করে। 4. টোস্ট: টোস্ট হলো আরেকটি হালকা খাবার যা পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে। 5. সবজি স্যুপ: সবজি স্যুপ পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে। 6. ডাবের পানি: ডাবের পানি শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করতে সাহায্য করে। 7. ওআরএস: ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) ডায়রিয়ার সময় হারিয়ে যাওয়া তরল এবং লবণ পূরণ করতে সাহায্য করে।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস:
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন: ডায়রিয়ার সময় আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশন রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি এবং ওআরএস পান করুন।
- ছোট খাবার খান: বারবার বড় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, দিনের বেলায় ছোট ছোট খাবার খান।
- চর্বিযুক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: চর্বিযুক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার আপনার পেটকে আরও বিরক্ত করতে পারে।
- ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল আপনার ডায়রিয়াকে আরও খারাপ করতে পারে।
- বিশ্রাম নিন: আপনার শরীরের সুস্থ হয়ে উঠতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
যদি আপনার ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর হয়, বা রক্তপাত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ
পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার জন্য বেশ কিছু ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। তবে কোন ওষুধ আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ভর করবে আপনার ব্যথার তীব্রতা, পাতলা পায়খানার ধরণ, এবং অন্যান্য লক্ষণগুলির উপর।
কিছু সাধারণ ওষুধের নাম:
১) অ্যান্টিডায়রিয়াল ওষুধ:
- লোপারামাইড (ইমোডিয়াম): এটি অন্ত্রের গতি কমিয়ে পাতলা পায়খানা এবং পায়খানার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে।
- স্মেক্টা: এটি পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২) অ্যান্টিবায়োটিক:
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন: জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- মেট্রোনিডাজল: প্যারাসিটিক এবং জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৩) প্রোবায়োটিক:
- ল্যাকটোব্যাসিলাস: ডায়রিয়ার চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
৪) ইলেক্ট্রোলাইট সমাধান:
- ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন): ডায়রিয়ার ফলে হওয়া তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ক্ষতি প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।
কিছু টিপস:
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
- হালকা খাবার খান, যেমন ভাত, টোস্ট, সেদ্ধ আপেল।
- চর্বিযুক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
সতর্কতা:
- ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর হয়, বা রক্তপাত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের কোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- শিশুদের জন্য ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান।
মনে রাখবেন, এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিন।
ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হলে, যা ডায়রিয়া নামেও পরিচিত, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:
তরল পূরণ:
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন, যেমন পানি, ডাবের পানি, ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন)। ডায়রিয়ার ফলে তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দেখা দেয়, যা ডিহাইড্রেশনের দিকে ধাবিত করে।
খাদ্য:
- হালকা খাবার খান, যেমন ভাত, টোস্ট, সেদ্ধ আপেল, কলা। এই খাবারগুলি হজম করা সহজ এবং পেটে চাপ কমায়।
- চর্বিযুক্ত, মসলাযুক্ত, এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- বারবার ছোট ছোট খাবার খান বড় খাবারের পরিবর্তে।
বিশ্রাম:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। ডায়রিয়া শরীরকে দুর্বল করে, তাই বিশ্রাম পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ঔষধ:
- ডায়রিয়া তীব্র হলে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিডায়রিয়াল ওষুধ খেতে পারেন।
- জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে, ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিকও দিতে পারেন।
সতর্কতা:
- ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর হয়, বা রক্তপাত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- শিশুদের ডায়রিয়া হলে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ORS ও ঔষধ ব্যবহার করুন।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ডায়রিয়া হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিছু ঘরোয়া উপায়:
- চিড়ার পানি: চিড়া ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে।
- ভাতের মাড়: ভাতের মাড়ে সামান্য লবণ দিয়ে খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে সাহায্য করে।
- কলা: কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে।
- দই: দইতে প্রোবায়োটিক থাকে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
মনে রাখবেন, ডায়রিয়া একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি অবহেলা করা উচিত নয়। উপরে বর্ণিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
পাতলা পায়খানার ঔষধ স্কয়ার
পাতলা পায়খানার জন্য স্কয়ারের বেশ কিছু ঔষধ আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু হল:
-
স্কয়ার লোপারামাইড: এটি একটি অ্যান্টিডায়রিয়াল ওষুধ যা অন্ত্রের গতি কমিয়ে কাজ করে। পাতলা পায়খানা এবং পায়খানার সংখ্যা।
-
স্কয়ার সিপ্রোফ্লক্সাসিন: এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
স্কয়ার মেট্রোনিডাজল: এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা প্যারাসিটিক এবং জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
স্কয়ার ল্যাকটোব্যাসিলাস: এটি একটি প্রোবায়োটিক যা ডায়রিয়ার চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
-
স্কয়ার ORS: এটি একটি ইলেক্ট্রোলাইট সমাধান যা ডায়রিয়ার ফলে হওয়া তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ক্ষতি প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।
আপনার জন্য কোন ঔষধটি সঠিক তা নির্ভর করবে আপনার ডায়রিয়ার কারণ এবং আপনার অন্যান্য উপসর্গগুলির উপর। আপনার জন্য সেরা ওষুধ সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
পাতলা পায়খানার জন্য স্কয়ার ওষুধ ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা:
- ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর হয়, বা রক্তপাত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের কোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- শিশুদের জন্য ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান।
পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
পাতলা পায়খানার জন্য বেশ কিছু এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট আছে। তবে কোন ট্যাবলেটটি আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ভর করবে আপনার ডায়রিয়ার কারণ এবং আপনার অন্যান্য উপসর্গগুলির উপর।
কিছু সাধারণ এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটের নাম:
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন: এটি জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- মেট্রোনিডাজল: এটি প্যারাসিটিক এবং জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- অ্যামোক্সিসিলিন: এটি কিছু জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- কো-ট্রাইমোক্সাজোল: এটি কিছু জীবাণুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
মনে রাখবেন:
- ডায়রিয়ার সব ক্ষেত্রেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না।
- এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- এন্টিবায়োটিক অপ্রয়োজনে ব্যবহার করলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই, পাতলা পায়খানা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তার নির্দেশ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।
এছাড়াও, ডায়রিয়ার সময়:
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
- হালকা খাবার খান।
- চর্বিযুক্ত, মসলাযুক্ত, এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
যদি ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর হয়, বা রক্তপাত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।