হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবা-ইস। উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবা-ইস।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ-জ্বিন ও দুষ্ট নারী-জ্বিনের অনিষ্ট থেকে। (বুখারি, হাদিস : ১৪২ )
অথবা যেন এই দোয়া বলে-
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবা-ইস।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ-জ্বিন ও দুষ্ট নারী-জ্বিনের অনিষ্ট থেকে।
বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া
আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।
অর্থ:
সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কষ্ট দূর করেছেন এবং আমাকে সুস্থতা দান করেছেন।
ব্যাখ্যা:
এই দোয়াটি বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর পড়া হয়। এতে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়, যিনি আমাদের কষ্ট দূর করেছেন এবং সুস্থতা দান করেছেন।
দোয়াটির ফজিলত:
- এই দোয়া পড়লে আল্লাহর রহমত ও কৃপা লাভ হয়।
- এটি পড়লে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এটি পড়লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভের আশা করা যায়।
দোয়াটি পড়ার নিয়ম:
- বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর ডান পা দিয়ে প্রথমে বের হতে হবে।
- তারপর হাত-পা ধুয়ে এই দোয়াটি পড়তে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
আরও কিছু দোয়া:
- গুফরানাকা: হে আল্লাহ, আপনার কাছে ক্ষমা চাই।
- আল্লাহুম্মা اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ: হে আল্লাহ, পানি, বরফ এবং শিলা দিয়ে আমার পাপগুলো ধুয়ে ফেলুন।
- আল্লাহুম্মা طَهِّرْ قَلْبِي مِنَ النِّفَاقِ وَالْكِبْرِ وَالْحَسَدِ: হে আল্লাহ, আমার হৃদয়কে কপটতা, অহংকার এবং ঈর্ষা থেকে পবিত্র করুন।
উল্লেখ্য:
- উপরে উল্লেখিত দোয়াগুলো ছাড়াও আরও অনেক দোয়া রয়েছে যা বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর পড়া যেতে পারে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে এবং আন্তরিকতার সাথে পড়া উচিত।
নিচে বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া এবং বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া দেওয়া হলো
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়িছ।
অর্থ:
আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।
বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া:
غُفْرَانَكَ
উচ্চারণ:
গোফরানাকা।
অর্থ:
হে আল্লাহ, আপনার কাছে ক্ষমা চাই।
গোসলখানায় প্রবেশের দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়িছ।
অর্থ:
আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।
ব্যাখ্যা:
গোসলখানায় প্রবেশের আগে এই দোয়া পড়া সুন্নত। এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।
দোয়াটির ফজিলত:
- এই দোয়া পড়লে আল্লাহর রহমত ও কৃপা লাভ হয়।
- এটি পড়লে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এটি পড়লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভের আশা করা যায়।
দোয়াটি পড়ার নিয়ম:
- গোসলখানায় প্রবেশের আগে ডান পা দিয়ে প্রথমে প্রবেশ করতে হবে।
- তারপর হাত-পা ধুয়ে এই দোয়াটি পড়তে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
উল্লেখ্য:
- উপরে উল্লেখিত দোয়াটি ছাড়াও আরও অনেক দোয়া রয়েছে যা গোসলখানায় প্রবেশের পর পড়া যেতে পারে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে এবং আন্তরিকতার সাথে পড়া উচিত।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে।
আরও কিছু দোয়া:
- গুফরানাকা: হে আল্লাহ, আপনার কাছে ক্ষমা চাই।
- আল্লাহুম্মা اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ: হে আল্লাহ, পানি, বরফ এবং শিলা দিয়ে আমার পাপগুলো ধুয়ে ফেলুন।
- আল্লাহুম্মা طَهِّرْ قَلْبِي مِنَ النِّفَاقِ وَالْكِبْرِ وَالْحَسَدِ: হে আল্লাহ, আমার হৃদয়কে কপটতা, অহংকার এবং ঈর্ষা থেকে পবিত্র করুন।
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি, লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ:
আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (মন্দে) বিরত থাকা ও কল্যাণ পাওয়ার শক্তি কারো নেই।
ব্যাখ্যা:
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এই দোয়াটি পড়া সুন্নত। এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করি এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাই।
দোয়াটির ফজিলত:
- এই দোয়া পড়লে আল্লাহর রহমত ও কৃপা লাভ হয়।
- এটি পড়লে পথের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- এটি পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য লাভের আশা করা যায়।
দোয়াটি পড়ার নিয়ম:
- ঘর থেকে বের হওয়ার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে এই দোয়াটি পড়তে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে এবং আন্তরিকতার সাথে পড়া উচিত।
উল্লেখ্য:
- উপরে উল্লেখিত দোয়াটি ছাড়াও আরও অনেক দোয়া রয়েছে যা ঘর থেকে বের হওয়ার পর পড়া যেতে পারে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে এবং আন্তরিকতার সাথে পড়া উচিত।
আরও কিছু দোয়া:
- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقْتَ: হে আল্লাহ, আপনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
- اللَّهُمَّ اكْفِنِي شَرَّ الْوَسْوَاسِ وَالْخَبَائِثِ: হে আল্লাহ, আমাকে ওয়াসওয়াসা এবং ক্ষতিকর জিনিস থেকে রক্ষা করুন।
- اللَّهُمَّ اكْفِنِي شَرَّ مَا يَرْبُصُ بِي: হে আল্লাহ, আমার জন্য যে বিপদ অপেক্ষা করছে তার شر থেকে আমাকে রক্ষা করুন।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ নকিয়া বাটন ফোন বাংলাদেশ প্রাইস