গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

https://jobbd.org/%e0%a6%97%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a7%8e%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%af/

Table of Contents

গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গা নদীর উৎপত্তি হয় ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পশ্চিম হিমালয় পর্বতশ্রেণীর গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। গঙ্গোত্রী হিমবাহ তিব্বতের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চলে অবস্থিত। এই হিমবাহটি হল গঙ্গার প্রাথমিক উৎস এবং হিমালয়ের বৃহত্তম হিমবাহগুলির মধ্যে একটি, যার আনুমানিক আয়তন 27 ঘনকিলোমিটারেরও বেশি।

গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া জল হিমালয়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাগীরথী নদীর সৃষ্টি করে। ভাগীরথী নদী উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন নদীর সাথে মিলিত হয়ে গঙ্গা নদীতে পরিণত হয়। গঙ্গা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশে।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গা নদী ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী এবং এটি ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। গঙ্গা নদীকে পবিত্র নদী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।

গঙ্গা নদীর অপর নাম কি

গঙ্গা নদীর অনেকগুলি অপর নাম রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:

  • ভাগীরথী – গঙ্গা নদীর উৎসস্থল গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া ভাগীরথী নদীই গঙ্গার মূল ধারা। তাই ভাগীরথীকে গঙ্গার অপর নাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • জহ্নবী – কথিত আছে, মর্ত্যে ভগীরথকে অনুসরণ করার সময় গঙ্গা ঋষি জহ্নুর আশ্রম প্লাবিত করেন। উগ্রতপা জহ্নু ক্রুদ্ধ হয়ে গঙ্গার সমস্ত জল পান করে ফেলেন। তখন দেবগণ গঙ্গার মুক্তির জন্য ঋষির কাছে প্রার্থনা করতে থাকলে নিজের জঙ্ঘা বা জানু চিরে গঙ্গাকে মুক্তি দেন। এই ঘটনার স্মরণে গঙ্গাকে জহ্নবী নামেও ডাকা হয়।
  • ত্রিলোকপথগামিনী – গঙ্গা নদী স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল – এই তিন লোকে প্রবাহিত বলে গঙ্গাকে ত্রিলোকপথগামিনী নামেও ডাকা হয়।
  • পবিত্র নদী – হিন্দু ধর্মে গঙ্গাকে পবিত্র নদী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই গঙ্গাকে পবিত্র নদী নামেও ডাকা হয়।
আরো পড়ুনঃ  তানভী নামের অর্থ কি

এই ছাড়াও, গঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় বিভিন্ন অপর নাম রয়েছে। যেমন, বাংলায় গঙ্গাকে “নদীমাতা” নামে ডাকা হয়।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গার প্রধান শাখা নদীর নাম কি

গঙ্গার প্রধান শাখা নদী হল পদ্মা। পদ্মা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রবাহিত হয় এবং বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ কিলোমিটার।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গার অন্যান্য প্রধান শাখা নদীগুলি হল:

  • ভাগীরথী – গঙ্গার উৎসস্থল গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া ভাগীরথী নদীই গঙ্গার মূল ধারা।
  • যমুনা – মধ্য হিমালয়ের বান্দারপুচ পর্বতশৃঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম পাদদেশে অবস্থিত যমুনোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া যমুনা নদী গঙ্গার একটি প্রধান উপনদী।
  • গণ্ডকী – হিমালয়ের গণ্ডকী উপত্যকায় অবস্থিত গণ্ডকী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া গণ্ডকী নদী গঙ্গার একটি প্রধান উপনদী।
  • কোশী – হিমালয়ের কোশী উপত্যকায় অবস্থিত কোশী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া কোশী নদী গঙ্গার একটি প্রধান উপনদী।

এই ছাড়াও, গঙ্গার আরও অনেকগুলি শাখা নদী রয়েছে।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গার শাখানদী কয়টি

গঙ্গার শাখানদীর সংখ্যা নির্ভর করে শাখানদীর সংজ্ঞার উপর। যদি শাখানদী বলতে সেইসব নদীকে বোঝা হয় যেগুলি গঙ্গা নদীর সাথে সরাসরি মিলিত হয়, তাহলে গঙ্গার শাখানদীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। এই শাখা নদীগুলির মধ্যে কিছু প্রধান শাখা নদী হল ভাগীরথী, যমুনা, গণ্ডকী, কোশী, কালী, গন্ডক, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, শোন, বিপাশা, ইত্যাদি।

যদি শাখানদী বলতে সেইসব নদীকেও বোঝা হয় যেগুলি গঙ্গার শাখা নদীর সাথে মিলিত হয়, তাহলে গঙ্গার শাখানদীর সংখ্যা আরও বেশি হবে। এই ক্ষেত্রে গঙ্গার শাখানদীর সংখ্যা প্রায় ১০০০ বা তারও বেশি হতে পারে।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গার শাখা নদীগুলি ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই শাখা নদীগুলির জল সেচ, কৃষি, শিল্প, মৎস্য চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ, ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, গঙ্গার শাখা নদীগুলির জল অনেক মানুষের পানীয় জলের যোগান দেয়।

আরো পড়ুনঃ  পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় খেলা কি

গঙ্গা নদী কোথায় দুই ভাগে ভাগ হয়েছে?

গঙ্গা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। এই স্থানটিকে “ভাগীরথী-পদ্মা সঙ্গম” বলা হয়। ভাগীরথী নদী ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, অন্যদিকে পদ্মা নদী বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

গঙ্গা নদীর এই দুই শাখার মধ্যে ভাগীরথী নদীটিই মূল ধারা। ভাগীরথী নদীটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। পদ্মা নদীটি ভাগীরথী নদীর একটি প্রধান শাখা নদী।

গঙ্গা নদীর এই দুই শাখার মধ্যে ভাগীরথী নদীটি তুলনামূলকভাবে ছোট। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ কিলোমিটার। পদ্মা নদীটি তুলনামূলকভাবে বড়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার।

গঙ্গা নদীর এই দুই শাখার মধ্যে ভাগীরথী নদীটি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদীটি ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভাগীরথী নদীর জল সেচ, কৃষি, শিল্প, মৎস্য চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ, ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, ভাগীরথী নদীর জল অনেক মানুষের পানীয় জলের যোগান দেয়।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

অন্যদিকে, পদ্মা নদীটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদীটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। পদ্মা নদীর জল সেচ, কৃষি, শিল্প, মৎস্য চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ, ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, পদ্মা নদীর জল অনেক মানুষের পানীয় জলের যোগান দেয়।

গঙ্গা নদী অর্থ

হিন্দুধর্মে, গঙ্গা নদীকে দেবী হিসেবে পূজা করা হয়। তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাকে “মা গঙ্গা” বা “গঙ্গা মাতা” নামে ডাকা হয়। গঙ্গা নদীকে পবিত্রতা, বরকত এবং মুক্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

গঙ্গা নদীর অর্থ “পবিত্র”। এটি হিন্দুধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী এবং এটি ভারতের সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। গঙ্গা নদীকে ভারতের জাতীয় নদীও বলা হয়।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

আরো পড়ুনঃ  বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে

গঙ্গা নদীটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়। এটি ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৭০৪ কিলোমিটার (১,৬৮০ মাইল)।

গঙ্গা নদী ভারতের জনজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সেচ, কৃষি, শিল্প, মৎস্য চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ এবং পানীয় জলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, গঙ্গা নদী হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। অনেক হিন্দুরা গঙ্গা নদীতে স্নান করেন এবং তাদের মৃতদেহগুলিকে গঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেন।গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথায়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top