প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, কেমন আছো? আজকে আমি তোমাদেরকে কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস সম্পর্কে জানাবো। কওমি মাদ্রাসার ক্লাসের নাম সমূহ সম্পর্কেও তোমরা আজকে অবগত হবে।
কওমি মাদ্রাসা হলো ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। এই মাদ্রাসায় কুরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসির, উলুমে হাদিস, আরবি, ফার্সি, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা মূলত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ইসলামী আইন ও রীতিনীতি অনুসারে পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯ শতকে ভারতের মুসলিম পণ্ডিত ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি ও কাসেম নানুতুবির নেতৃত্বে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।
বর্তমানে বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ১৪,০০০। এই মাদ্রাসায় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কওমি মাদ্রাসা বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাদ্রাসা থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ইসলামী ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বে আসে।
কওমি মাদ্রাসার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। এই মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা ইসলামী আইন ও রীতিনীতি অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে পারে এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখতে পারে।
কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস

কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস মূলত ইসলামিক শিক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই সিলেবাসে কুরআন, হাদিস, ইসলামি আইন, ইসলামি ইতিহাস, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামি দর্শন, এবং ইসলামি সমাজবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাক্রম চারটি স্তরে বিভক্ত:
- ইবতিদাই (প্রাথমিক): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ব্যাকরণ, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করে।
- দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, ইসলামি আইন, এবং ইসলামি ইতিহাস অধ্যয়ন করে।
- দাওরায়ে তাফসীর (ডক্টরেট): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআনের তাফসীর, ইসলামি দর্শন, এবং ইসলামি সমাজবিদ্যা অধ্যয়ন করে।
কওমি মাদ্রাসার সিলেবাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিম্নরূপ:
- কুরআন: কুরআন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআনের সূরা, আয়াত, এবং তাফসীর অধ্যয়ন করে।
- হাদিস: হাদিস হল নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী, কাজ, এবং অনুমোদন। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, যেমন ফিকহ, আকীদাহ, এবং সুন্নাহ অধ্যয়ন করে।
- ফিকহ: ফিকহ হল ইসলামি আইন। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা ইসলামি আইনের বিভিন্ন শাখা, যেমন আকীদাহ, ইবাদত, মুআমালাত, এবং মুয়ামালাত অধ্যয়ন করে।
- আকীদাহ: আকীদাহ হল ইসলামের মূল বিশ্বাস। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা ইসলামের মূল বিশ্বাস, যেমন তাওহীদ, রিসালাত, এবং আখিরাত অধ্যয়ন করে।
- তাফসীর: তাফসীর হল কুরআনের ব্যাখ্যা। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের তাফসীর অধ্যয়ন করে।
- আরবি ভাষা ও সাহিত্য: আরবি হল ইসলামের ভাষা। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষা ও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা, যেমন ব্যাকরণ, শব্দকোষ, এবং সাহিত্য অধ্যয়ন করে।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা। এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদেরকে একজন যোগ্য আলেম, একজন সৎ নাগরিক, এবং একজন উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত। এই সিলেবাস প্রতি বছর পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা হয়।
কওমি মাদ্রাসার সিলেবাসের কিছু সমালোচনা রয়েছে। সমালোচকরা দাবি করেন যে এই সিলেবাসটি খুবই ধর্মীয় ও রক্ষণশীল। তারা আরও দাবি করেন যে এই সিলেবাসটি শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব জগতের জন্য প্রস্তুত করে না।
তবে, কওমি মাদ্রাসার সমর্থকরা দাবি করেন যে এই সিলেবাসটি শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। তারা আরও দাবি করেন যে এই সিলেবাসটি শিক্ষার্থীদেরকে একটি নৈতিক ও আদর্শিক ভিত্তি প্রদান করে।
কওমি মাদ্রাসার ক্লাসের নাম সমূহ
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাক্রম দরসে নিজামী নামে পরিচিত। কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস দরসে নিজামীতে ক্লাসগুলিকে চারটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে:
- ইবতিদাই (প্রাথমিক): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ব্যাকরণ, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করে।
- দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, ইসলামি আইন, এবং ইসলামি ইতিহাস অধ্যয়ন করে।
- দাওরায়ে তাফসীর (ডক্টরেট): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআনের তাফসীর, ইসলামি দর্শন, এবং ইসলামি সমাজবিদ্যা অধ্যয়ন করে।
- দাওরায়ে হাদিস ও তাফসীর (ডক্টরেট): এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিস ও তাফসীরের উভয় শাখা অধ্যয়ন করে।
ক্লাসগুলির নাম নিম্নরূপ:
ইবতিদাই
- হিফজ বিভাগ
- আলিম
- ফাজিল
- কামিল
দাওরায়ে হাদিস
- শাইখুল হাদিস
- মুহাদ্দিস
- মৌলবি
দাওরায়ে তাফসীর
- মুফাসসির
দাওরায়ে হাদিস ও তাফসীর
- মুহাদ্দিস-মুফাসসির
হিফজ বিভাগ
হিফজ বিভাগ হল কওমি মাদ্রাসার অন্যতম বিভাগ। মূলত ছোট বয়সের ছাত্র ছাত্রীদেরকে এই বিভাগে ভর্তি করা হয়। এই বিভাগের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র বা ছাত্রী দেরকে কুরআনের হাফেজ বানানো।
আলিম
আলিম হল কওমি মাদ্রাসার প্রথম স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ব্যাকরণ, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করে।
ফাজিল
ফাজিল হল কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ব্যাকরণ, আরবি সাহিত্য, এবং ইসলামি আইন অধ্যয়ন করে।
কামিল
কামিল হল কওমি মাদ্রাসার তৃতীয় স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ব্যাকরণ, আরবি সাহিত্য, ইসলামি আইন, এবং ইসলামি ইতিহাস অধ্যয়ন করে।
শাইখুল হাদিস
শাইখুল হাদিস হল দাওরায়ে হাদিসের প্রথম স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, যেমন ফিকহ, আকীদাহ, এবং সুন্নাহ অধ্যয়ন করে।
মুহাদ্দিস
মুহাদ্দিস হল দাওরায়ে হাদিসের দ্বিতীয় স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, যেমন মুসনাদ, সুনান, এবং মুয়াত্তা অধ্যয়ন করে।
মৌলবি
মৌলবি হল দাওরায়ে হাদিসের তৃতীয় স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিসের বিভিন্ন শাখা, যেমন তাফসীর, আকীদাহ, এবং ফিকহ অধ্যয়ন করে।
মুফাসসির
মুফাসসির হল দাওরায়ে তাফসীরের একমাত্র স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআনের তাফসীর অধ্যয়ন করে।
মুহাদ্দিস-মুফাসসির
মুহাদ্দিস-মুফাসসির হল দাওরায়ে হাদিস ও তাফসীরের একমাত্র স্তর। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা হাদিস ও তাফসীরের উভয় শাখা অধ্যয়ন করে।
কওমি মাদ্রাসার ক্লাস রুটিন
কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস এবং কওমি মাদ্রাসার ক্লাস রুটিন সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৮:০০ টা থেকে শুরু হয় এবং বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত চলে। ক্লাসের মধ্যে রয়েছে কুরআন মাজিদ, হাদিস, ফিকহ, তাফসির, আরবি ব্যাকরণ, আরবি সাহিত্য, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, এবং অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা বিষয়।
ক্লাস রুটিন সাধারণত নিম্নরূপ:
- সকাল ৮:০০ টা – ৮:৪৫ টা: কুরআন মাজিদ
- ৮:৪৫ টা – ৯:৩০ টা: হাদিস
- ৯:৩০ টা – ১০:১৫ টা: ফিকহ
- ১০:১৫ টা – ১০:৪৫ টা: বিরতি
- ১০:৪৫ টা – ১১:৩০ টা: তাফসির
- ১১:৩০ টা – ১২:১৫ টা: আরবি ব্যাকরণ
- ১২:১৫ টা – ১২:৪৫ টা: আরবি সাহিত্য
বিকেল:
- ১:০০ টা – ১:৪৫ টা: বাংলা
- ১:৪৫ টা – ২:৩০ টা: ইংরেজি
- ২:৩০ টা – ৩:১৫ টা: গণিত
- ৩:১৫ টা – ৩:৪৫ টা: বিজ্ঞান
- ৩:৪৫ টা – ৪:৩০ টা: ইতিহাস
- ৪:৩০ টা – ৫:০০ টা: ভূগোল
কওমি মাদ্রাসার ক্লাস রুটিন প্রতিষ্ঠানভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত উপরের রুটিনটি অনুসরণ করা হয়।
কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাস
কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাস মূলত ইসলামী কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস ধর্মীয় শিক্ষার উপর ভিত্তি করে গঠিত। এতে কুরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি, উর্দু, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাস (কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস) সাধারণত চারটি স্তরে বিভক্ত:
১. ইবতেদায়ী স্তর (প্রাথমিক শিক্ষা)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ, হাদিস, তাজবিদ, আরবি ব্যাকরণ, অংক, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে।
২. দাওরায়ে হাদিস (মাধ্যমিক শিক্ষা)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ্, মুয়াত্তা ইমাম মালেক প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থের উপর পাঠদান করা হয়। এছাড়াও ফিকহ, আকাইদ, তাফসির, আরবি ব্যাকরণ, উর্দু ইত্যাদি বিষয়েও পাঠদান করা হয়।
৩. ফজিলত (উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা ফিকহ, আকাইদ, তাফসির, আরবি ব্যাকরণ, উর্দু, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করে।
৪. তাকমীল (স্নাতক)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ফিকহ, আকাইদ, তাফসির, আরবি ব্যাকরণ, উর্দু, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যয়ন করে।
কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাস বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণয়ন ও অনুমোদিত হয়। বোর্ডের ওয়েবসাইটে কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাসের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
নিচে কওমি মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাসের (কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস) একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল:
ইবতেদায়ী স্তর (প্রাথমিক শিক্ষা)
- কুরআন তিলাওয়াত
- নামাজ
- হাদিস
- তাজবিদ
- আরবি ব্যাকরণ
- অংক
- ইংরেজি
দাওরায়ে হাদিস (মাধ্যমিক শিক্ষা)
- বুখারী
- মুসলিম
- তিরমিজি
- নাসাঈ
- ইবনে মাজাহ্
- মুয়াত্তা ইমাম মালেক
- ফিকহ
- আকাইদ
- তাফসির
- আরবি ব্যাকরণ
- উর্দু
ফজিলত (উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা)
- ফিকহ
- আকাইদ
- তাফসির
- আরবি ব্যাকরণ
- উর্দু
- ইংরেজি
- গণিত
- বিজ্ঞান
তাকমীল (স্নাতক)
- উচ্চতর ফিকহ
- আকাইদ
- তাফসির
- আরবি ব্যাকরণ
- উর্দু
- ইংরেজি
- গণিত
- বিজ্ঞান
কওমি মহিলা মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই মাদ্রাসাগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে।
কওমি মহিলা মাদ্রাসার জামাতের নাম
কওমি মহিলা মাদ্রাসার জামাতের নামগুলো নিম্নরূপ:
- ইবতেদায়ী (প্রাথমিক)
- মুতাওছ্ছয়াহ (মাধ্যমিক)
- সানুবিয়্যা (উচ্চমাধ্যমিক)
- দাওরায়ে হাদীস (স্নাতক)
- দাওরায়ে হাদীস শফীয়ী (স্নাতক)
- দাওরায়ে হাদীস হানাফী (স্নাতক)
ইবতেদায়ী জামাত
ইবতেদায়ী জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার প্রাথমিক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা কুরআন মাজিদ, আরবি ব্যাকরণ, আরবি সাহিত্য, ইসলামী শিক্ষা, ইতিহাস, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ইংরেজি, বাংলা ইত্যাদি বিষয়ে পড়ে।
মুতাওছ্ছয়াহ জামাত
মুতাওছ্ছয়াহ জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার মাধ্যমিক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা ইবতেদায়ী জামাতের পড়াশোনার পাশাপাশি আরও উচ্চতর বিষয়গুলো পড়ে।
সানুবিয়্যা জামাত
সানুবিয়্যা জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা মুতাওছ্ছয়াহ জামাতের পড়াশোনার পাশাপাশি আরও উচ্চতর বিষয়গুলো পড়ে।
দাওরায়ে হাদীস জামাত
দাওরায়ে হাদীস জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার স্নাতক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা হাদীস, ফিকহ, তাফসির, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিকহ, তাহযীবুল আখলাক ইত্যাদি বিষয়ে পড়ে।
দাওরায়ে হাদীস শফীয়ী জামাত
দাওরায়ে হাদীস শফীয়ী জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার স্নাতক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা শফিঈ মাযহাবের হাদীস, ফিকহ, তাফসির, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিকহ, তাহযীবুল আখলাক ইত্যাদি বিষয়ে পড়ে।
দাওরায়ে হাদীস হানাফী জামাত
দাওরায়ে হাদীস হানাফী জামাত হল কওমি মহিলা মাদ্রাসার স্নাতক পর্যায়। এই জামাতে ছাত্রীরা হানাফী মাযহাবের হাদীস, ফিকহ, তাফসির, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিকহ, তাহযীবুল আখলাক ইত্যাদি বিষয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, কওমি মাদ্রাসার জামাতগুলোর নাম ও বিষয়বস্তু বিভিন্ন মাদ্রাসার মধ্যে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা উপরের পোস্ট থেকে কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বই ডাউনলোড