হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

https://jobbd.org/%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a6%bf-%e0%a6%93%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%93/

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলিকে রেমিডি বলা হয়। এই রেমিডিগুলি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন বিভিন্ন পদার্থ থেকে তৈরি করা হয়। হোমিওপ্যাথির মূল নীতি হল “সদৃশের দ্বারা চিকিৎসা”। অর্থাৎ, যে পদার্থটি নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি সৃষ্টি করে, সেই পদার্থটিই সেই লক্ষণগুলির চিকিৎসা করতে পারে।

হোমিওপ্যাথিতে হাজার হাজার রেমিডি রয়েছে। প্রতিটি রেমিডি নির্দিষ্ট লক্ষণগুলির জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন, অ্যার্নিকা ব্যথা এবং আঘাতের জন্য ব্যবহার করা হয়, অ্যামনিয়াম কার্বোনিকাম সর্দি এবং কাশি জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং আরসেনিক অ্যালবো অনিদ্রা এবং উদ্বেগ জন্য ব্যবহার করা হয়।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

এখানে কিছু জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথি রেমিডি এবং তাদের কাজের একটি তালিকা দেওয়া হল:

রেমিডি কাজ
অ্যার্নিকা ব্যথা এবং আঘাত
অ্যামনিয়াম কার্বোনিকাম সর্দি এবং কাশি
আরসেনিক অ্যালবো অনিদ্রা এবং উদ্বেগ
বেলাডোনা জ্বর এবং মাথাব্যথা
ক্যালি ফস স্নায়বিক দুর্বলতা
ইগ্নেশিয়া বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ
হিপারিকাম স্নায়বিক ব্যথা
নাক্স ভোমিকা পেটের গণ্ডগোল
পুলিসেলিয়া ফ্লু এবং সর্দি
রুস টক্স বাতের ব্যথা

হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি সাধারণত খুব নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, যেকোনো ওষুধের মতো, হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

এখানে কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথি রেমিডি এবং তাদের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল:

অ্যার্নিকা

  • আঘাতের পরে ব্যথা এবং বেদনা কমাতে
  • রক্তপাত বন্ধ করতে
  • মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, এবং অন্যান্য ব্যথার চিকিৎসায়

অ্যামনিয়াম কার্বোনিকাম

  • সর্দি এবং কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • মাথাব্যথা
  • বমি বমি ভাব

আরসেনিক অ্যালবো

  • অনিদ্রা
  • উদ্বেগ
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
  • বমি বমি ভাব

বেলাডোনা

  • জ্বর
  • মাথাব্যথা
  • গলা ব্যথা
  • চোখ লাল হয়ে যাওয়া

ক্যালি ফস

  • স্নায়বিক দুর্বলতা
  • মানসিক চাপ
  • মাথাব্যথা
  • মুখ শুকিয়ে যাওয়া

ইগ্নেশিয়া

  • বিষণ্ণতা
  • উদ্বেগ
  • হতাশা
  • বমি বমি ভাব
আরো পড়ুনঃ  মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

হিপারিকাম

  • স্নায়বিক ব্যথা
  • পোকামাকড়ের কামড়
  • স্নায়বিক উত্তেজনা

নাক্স ভোমিকা

  • পেটের গণ্ডগোল
  • বমি বমি ভাব
  • মাথাব্যথা
  • অনিদ্রা

পুলিসেলিয়া

  • ফ্লু
  • সর্দি
  • কাশি
  • হাঁচি

রুস টক্স

  • বাতের ব্যথা
  • জয়েন্টের ব্যথা
  • পিঠে ব্যথা

এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। হোমিওপ্যাথিতে আরও অনেক রেমিডি রয়েছে। যেকোনো হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয়?

হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি সাধারণত খুব নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, কিছু খাবার ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলি হল:

  • কফি
  • চা
  • অ্যালকোহল
  • নিকোটিন
  • মশলাদার খাবার
  • টক খাবার
  • তেল জাতীয় খাবার

এই খাবারগুলি ওষুধের প্যাথোজেন বা সদৃশ নীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে। ফলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

এছাড়াও, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এগুলি হল:

  • খাবার
  • পানি
  • ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার
  • চুষা জাতীয় খাবার

এই খাবারগুলি ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় যদি কোনো খাবারের কারণে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথি গ্যাসের ওষুধের নাম কি?

হোমিওপ্যাথিতে গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি রেমিডি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রেমিডিগুলি হল:

  • কার্বো ভেজ
  • নাক্স ভোমিকা
  • লাইকোপোডিয়াম
  • সেপিয়া

কার্বো ভেজ

কার্বো ভেজ গ্যাসের চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর রেমিডিগুলির মধ্যে একটি। এটি সাধারণত পেটে ফোলাভাব, ঢেকুর, হিক্কা, এবং পেটের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কার্বো ভেজ দেহের ভেতরের গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

নাক্স ভোমিকা

নাক্স ভোমিকা গ্যাসের চিকিৎসায় আরেকটি কার্যকর রেমিডি। এটি সাধারণত খাবারের পরে গ্যাস, পেটে জ্বালাপোড়া, এবং হিক্কার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। নাক্স ভোমিকা পেটের গ্যাসের দ্রুত নিষ্কাশনে সাহায্য করে।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

লাইকোপোডিয়াম

লাইকোপোডিয়াম গ্যাসের চিকিৎসায় আরেকটি কার্যকর রেমিডি। এটি সাধারণত পেটে গ্যাস, ফোলাভাব, এবং অস্বস্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। লাইকোপোডিয়াম পেটের গ্যাসের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ  গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

সেপিয়া

সেপিয়া গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আরেকটি রেমিডি। এটি সাধারণত পেটে গ্যাস, ফোলাভাব, এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সেপিয়া পেটের গ্যাসের নিষ্কাশনে সাহায্য করে।

হোমিওপ্যাথিতে গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যান্য রেমিডিগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যামোনিয়াম কার্বোনিকাম
  • বেলাডোনা
  • ক্যালি ফস
  • ইগ্নেশিয়া
  • হিপারিকাম
  • রুস টক্স

হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, সঠিক রেমিডি নির্ধারণের জন্য রোগীর লক্ষণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিও ঔষধ কি ওভার দ্য কাউন্টার ঔষধ কিনতে পারবে

হ্যাঁ, হোমিওপ্যাথি ওষুধ ওভার দ্য কাউন্টার ঔষধ হিসেবে বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ, কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এগুলি কিনতে পারবেন। তবে, কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে যা প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা হয় না। এগুলি সাধারণত জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে, হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রির জন্য একটি লাইসেন্স প্রয়োজন। এই লাইসেন্স বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড থেকে পাওয়া যায়।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, সঠিক রেমিডি নির্ধারণের জন্য রোগীর লক্ষণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।

হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি সাধারণত খুব নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, যেকোনো ওষুধের মতো, হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথির উদাহরণ

হোমিওপ্যাথি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা “সদৃশের দ্বারা চিকিৎসা” নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই নীতি অনুসারে, যে পদার্থটি নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি সৃষ্টি করে, সেই পদার্থটিই সেই লক্ষণগুলির চিকিৎসা করতে পারে।

হোমিওপ্যাথিতে হাজার হাজার রেমিডি রয়েছে। প্রতিটি রেমিডি নির্দিষ্ট লক্ষণগুলির জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন, অ্যার্নিকা ব্যথা এবং আঘাতের জন্য ব্যবহার করা হয়, অ্যামোনিয়াম কার্বোনিকাম সর্দি এবং কাশি জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং আরসেনিক অ্যালবো অনিদ্রা এবং উদ্বেগ জন্য ব্যবহার করা হয়।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথির কিছু উদাহরণ হল:

  • অ্যার্নিকা আঘাতের পরে ব্যথা এবং বেদনা কমাতে ব্যবহার করা হয়।
  • অ্যামোনিয়াম কার্বোনিকাম সর্দি এবং কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এবং বমি বমি ভাব চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • আরসেনিক অ্যালবো অনিদ্রা, উদ্বেগ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, এবং বমি বমি ভাব চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • বেলাডোনা জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • ক্যালি ফস স্নায়বিক দুর্বলতা, মানসিক চাপ, মাথাব্যথা, এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • ইগ্নেশিয়া বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, হতাশা, এবং বমি বমি ভাব চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • হিপারিকাম স্নায়বিক ব্যথা, পোকামাকড়ের কামড়, এবং স্নায়বিক উত্তেজনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • নাক্স ভোমিকা পেটের গণ্ডগোল, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, এবং অনিদ্রা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • পুলিসেলিয়া ফ্লু, সর্দি, কাশি, এবং হাঁচি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • রুস টক্স বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, এবং পিঠে ব্যথা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ  নিউ ব্যাকগ্রাউন্ড ফটো

এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। হোমিওপ্যাথিতে আরও অনেক রেমিডি রয়েছে। যেকোনো হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার আগে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

হোমিওপ্যাথি একটি বিতর্কিত চিকিৎসা পদ্ধতি। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে, অনেক লোক হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে উপকার পেয়েছে বলে দাবি করে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে?

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হলেন জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। তিনি ১৭৯৬ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নীতি প্রতিষ্ঠা করেন।

হ্যানিম্যানের জন্ম ১৭৫৫ সালে জার্মানির মেইসেন শহরে। তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন এবং ১৭৭৯ সালে ডাক্তারি ডিগ্রি লাভ করেন। তবে, তিনি তার সময়ের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি মনে করতেন যে এই পদ্ধতিগুলি রোগের কারণ নয়, কেবলমাত্র লক্ষণগুলি দূর করে।

১৭৯৬ সালে, হ্যানিম্যান একটি ঘটনার পর হোমিওপ্যাথির নীতি আবিষ্কার করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে কুইনাইন, যা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তা সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে ম্যালেরিয়ার মতো লক্ষণগুলি সৃষ্টি করতে পারে। এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে, তিনি “সদৃশের দ্বারা চিকিৎসা” নীতি প্রতিষ্ঠা করেন।

হ্যানিম্যানের নীতি অনুসারে, যে পদার্থটি নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি সৃষ্টি করে, সেই পদার্থটিই সেই লক্ষণগুলির চিকিৎসা করতে পারে। এই নীতির উপর ভিত্তি করে, তিনি হোমিওপ্যাথির হাজার হাজার রেমিডি তৈরি করেন।

হ্যানিম্যানের আবিষ্কারটি বিতর্কিত ছিল। অনেক বিজ্ঞানী তার নীতিকে অবাস্তব বলে মনে করতেন। তবে, হোমিওপ্যাথি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আজ বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশে এটি অনুশীলন করা হয়।হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ pdf

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top