হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত
নিয়ত:
নিয়ত করছি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ, আল্লাহর ওয়াস্তে, ফরয সুন্নাতের নিয়তে। আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ:
আমি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফরয সুন্নাতের নিয়তে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
নিয়তের সময়:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় অথবা তাকবীরে তাহরিমার সাথে সাথে বলা যায়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত করার সময় মনে রাখতে হবে যে,
- এটি একটি সুন্নাত নামাজ।
- এটি চার রাকাআত নামাজ।
- প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতেহার সাথে যেকোনো একটি সুরা পড়তে হবে।
- প্রতি রাকাআতে সালাম ফেরানোর আগে “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” তাসবীহটি ৭৫ বার পড়তে হবে।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত করার সময় মনে রাখতে হবে যে,
- এটি একটি সুন্নাত নামাজ।
- এটি চার রাকাআত নামাজ।
- প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতেহার সাথে যেকোনো একটি সুরা পড়তে হবে।
- প্রতি রাকাআতে সালাম ফেরানোর আগে “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” তাসবীহটি ৭৫ বার পড়তে হবে।
মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত
নিয়ত:
নিয়ত করছি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ, আল্লাহর ওয়াস্তে, নফল সুন্নাতের নিয়তে। আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ:
আমি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে নফল সুন্নাতের নিয়তে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
নিয়তের সময়:
সালাতুত তাসবীহ নামাজের নিয়ত তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় অথবা তাকবীরে তাহরিমার সাথে সাথে বলা যায়।
সালাতুত তাসবীহ নামাজের নিয়ত করার সময় মনে রাখতে হবে যে,
- এটি একটি নফল নামাজ।
- এটি চার রাকাআত নামাজ।
- প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতেহার সাথে যেকোনো একটি সুরা পড়তে হবে।
- প্রতি রাকাআতে সালাম ফেরানোর আগে “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” তাসবীহটি ৭৫ বার পড়তে হবে।
মহিলাদের সালাতুত তাসবীহ নামাজের নিয়ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু লক্ষ্য রাখতে হবে:
- তাকবীর বলতে হবে নিচের দিকে তাকিয়ে।
- রুকুতে যাওয়ার সময় ডান পা বাঁ পায়ের উপর রেখে রুকুতে বসতে হবে।
- সিজদায় যাওয়ার সময় বাম পা ডান পায়ের উপর রেখে সিজদায় বসতে হবে।
- তাসবীহ পড়ার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো টিপেটিপে গণনা করতে হবে।
- তাসবীহ পড়ার সময় অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।
সালাতুত তাসবীহ নামাজের ফজিলত:
সালাতুত তাসবীহ নামাজ একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নামাজ। এই নামাজ পড়ার ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন এবং বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ করে দেন।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أبي ذر الغفاري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “من صلى أربع ركعات يقرأ في كل ركعة بفاتحة الكتاب وسورة، ثم يقرأ في الركعة الأولى بعد الفاتحة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثانية: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثالثة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الرابعة:
“سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، ثم يقول بعد السلام: “لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير” مائة مرة، غفرت له ذنوبه ولو كانت مثل زبد البحر”.
অনুবাদ:
আবু ত্বরাহ আল-গাফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি চার রাকাআত নামাজ আদায় করে প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়ে, তারপর প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতেহার পর “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” পঞ্চাশবার, দ্বিতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার, তৃতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার এবং চতুর্থ রাকাআতে পঞ্চাশবার পড়ে, তারপর সালাম ফিরানোর পর “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির” একশতবার পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে সমুদ্রের ফেনাসমত গুনাহ করে থাকে।”
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম:
সালাতুত তাসবিহ নামাজ একটি অতিরিক্ত নফল নামাজ। এটি চার রাকাআত নামাজ। প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়তে হয়। প্রতি রাকাআতে সালাম ফেরানোর আগে “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” তাসবীহটি ৭৫ বার পড়তে হয়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত করার সময় মনে রাখতে হবে যে,
- এটি একটি নফল নামাজ।
- এটি চার রাকাআত নামাজ।
- প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতেহার সাথে যেকোনো একটি সুরা পড়তে হবে।
- প্রতি রাকাআতে সালাম ফেরানোর আগে “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” তাসবীহটি ৭৫ বার পড়তে হবে।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত:
নিয়ত করছি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ, আল্লাহর ওয়াস্তে, নফল সুন্নাতের নিয়তে। আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ:
আমি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে নফল সুন্নাতের নিয়তে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত:
সালাতুত তাসবিহ নামাজ একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নামাজ। এই নামাজ পড়ার ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন এবং বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ করে দেন।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أبي ذر الغفاري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “من صلى أربع ركعات يقرأ في كل ركعة بفاتحة الكتاب وسورة، ثم يقرأ في الركعة الأولى بعد الفاتحة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثانية: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثالثة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الرابعة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، ثم يقول بعد السلام: “لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير” مائة مرة، غفرت له ذنوبه ولو كانت مثل زبد البحر”.
অনুবাদ:
আবু ত্বরাহ আল-গাফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি চার রাকাআত নামাজ আদায় করে প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়ে, তারপর প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতেহার পর “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” পঞ্চাশবার, দ্বিতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার, তৃতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার এবং চতুর্থ রাকাআতে পঞ্চাশবার পড়ে, তারপর সালাম ফিরানোর পর “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির” একশতবার পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে সমুদ্রের ফেনাসমত গুনাহ করে থাকে।”
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম:
প্রথম রাকাআত:
- তাকবীরে তাহরিমা
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- সালাতুত তাসবিহ
- রুকু
সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত
সালাতুত তাসবিহ নামাজ একটি নফল নামাজ। হাদীস শরীফে এই নামাজের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সুন্নাত হিসেবে প্রমাণিত হয়নি।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أبي ذر الغفاري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “من صلى أربع ركعات يقرأ في كل ركعة بفاتحة الكتاب وسورة، ثم يقرأ في الركعة الأولى بعد الفاتحة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثانية: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الثالثة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، وفي الركعة الرابعة: “سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر” خمسين مرة، ثم يقول بعد السلام: “لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير” مائة مرة، غفرت له ذنوبه ولو كانت مثل زبد البحر”.
অনুবাদ:
আবু ত্বরাহ আল-গাফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি চার রাকাআত নামাজ আদায় করে প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়ে, তারপর প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতেহার পর “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” পঞ্চাশবার, দ্বিতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার, তৃতীয় রাকাআতে পঞ্চাশবার এবং চতুর্থ রাকাআতে পঞ্চাশবার পড়ে, তারপর সালাম ফিরানোর পর “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির” একশতবার পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে সমুদ্রের ফেনাসমত গুনাহ করে থাকে।”
এই হাদীস থেকে সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত জানা যায়, কিন্তু এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সুন্নাত হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। তাই এই নামাজকে নফল হিসেবে পালন করা উত্তম।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কেন বিদআত
সালাতুত তাসবিহ নামাজ বিদআত কিনা, সে বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
যারা সালাতুত তাসবিহ নামাজকে বিদআত বলে মনে করেন, তাদের যুক্তি হলো:
- এই নামাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সুন্নাত হিসেবে প্রমাণিত নয়।
- এই নামাজের নিয়ম ও পদ্ধতি অন্যান্য নামাজের সাথে ভিন্ন।
- এই নামাজের ফজিলত বর্ণিত হাদীসটি দুর্বল।
যারা সালাতুত তাসবিহ নামাজকে বিদআত বলে মনে করেন না, তাদের যুক্তি হলো:
- এই নামাজের ফজিলত বর্ণিত হাদীসটি সহীহ।
- এই নামাজের নিয়ম ও পদ্ধতি অন্যান্য নামাজের সাথে ভিন্ন হলেও, এটি ইসলামের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
- এই নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর তাসবীহ ও জিকির করা হয়, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
আধুনিক যুগের অনেক আলেমের মতে, সালাতুত তাসবিহ নামাজ বিদআত নয়। তারা মনে করেন, এই নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর তাসবীহ ও জিকির করা হয়, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তবে এই নামাজকে সুন্নাত হিসেবে মনে করা উচিত নয়।
আমাদের উচিত, সালাতুত তাসবিহ নামাজ সম্পর্কে আলেমদের বিভিন্ন মতামত জেনে নেওয়া এবং তারপর নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত ও সূরা
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত:
নিয়ত করছি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ, আল্লাহর ওয়াস্তে, নফল সুন্নাতের নিয়তে। আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ:
আমি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে নফল সুন্নাতের নিয়তে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সূরা:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়তে হয়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের তাসবীহ:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের তাসবীহ হলো:
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থ:
পবিত্র মহান আল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, আল্লাহ মহান।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম নিম্নরূপ:
প্রথম রাকাআত:
- তাকবীরে তাহরিমা
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
দ্বিতীয় রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
তৃতীয় রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
চতুর্থ রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সালাম:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সালাম অন্যান্য নামাজের মতোই।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত নিয়ে হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এই নামাজ আদায় করবে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে সমুদ্রের ফেনাসমত গুনাহ করে থাকে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত আরবিতে
নিয়ত:
أُصَلِّيْ أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَاةِ التَّسْبِيْحِ سُنَّةً لِلَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا إِلَى قِبْلَتِهِ اللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ:
উসল্লি আরাবাহ রাকাআতি সালাতুত তাসবিহি সুন্নাতুন লিল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিহিল্লাহু আকবার।
অর্থ:
আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে চার রাকাআত সালাতুত তাসবিহ নামাজ সুন্নাত হিসেবে আদায় করছি। মুখ আমার কাবার দিকে। আল্লাহু আকবার।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের তাসবীহ:
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ:
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থ:
পবিত্র মহান আল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, আল্লাহ মহান।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও দোয়া
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও দোয়া
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত:
নিয়ত করছি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ, আল্লাহর ওয়াস্তে, নফল সুন্নাতের নিয়তে। আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ:
আমি চার রাকাআত সালাতুত তাসবীহ নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে নফল সুন্নাতের নিয়তে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সূরা:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়তে হয়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের তাসবীহ:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের তাসবীহ হলো:
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থ:
পবিত্র মহান আল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, আল্লাহ মহান।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম নিম্নরূপ:
প্রথম রাকাআত:
- তাকবীরে তাহরিমা
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
দ্বিতীয় রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
তৃতীয় রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
চতুর্থ রাকাআত:
- কায়াম
- সুরা ফাতেহা
- কোনো একটি সুরা
- **সালাতুত তাসবিহ **
- রুকু
- **রুকুতে তাসবীহ **
- **সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **দ্বিতীয় সিজদায় তাসবীহ **
- **সিজদা থেকে উঠে তাসবীহ **
- **সালাম ফেরানোর আগে তাসবীহ **
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সালাম:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সালাম অন্যান্য নামাজের মতোই।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত:
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত নিয়ে হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এই নামাজ আদায় করবে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে সমুদ্রের ফেনাসমত গুনাহ করে।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সময়
সালাতুত তাসবিহ নামাজের সময় হলো ফজরের নামাজের পর থেকে ঈশার নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। তবে উত্তম সময় হলো রাতের বেলা।
হাদীসে বর্ণিত আছে, হযরত আব্বাস (রা.) নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য এমন একটি আমল বলে দিন, যা করলে আমার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং আমি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারব।”
নবী করিম (সা.) বললেন, “হে আব্বাস! তুমি প্রত্যেক রাতে চার রাকাআত সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়বে। প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতেহা ও যেকোনো একটি সুরা পড়বে। তারপর প্রত্যেক রাকাআতে রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদে ৭৫ বার করে তাসবীহ পড়বে। অর্থাৎ, প্রতি রাকাআতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়বে।”
হযরত আব্বাস (রা.) বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! এই নামাজ এত দীর্ঘ! আমি কি দিনে পড়তে পারি?”
নবী করিম (সা.) বললেন, “হ্যাঁ, তুমি দিনে পড়তে পারো। তবে রাতে পড়া উত্তম।”
সুতরাং, সালাতুত তাসবিহ নামাজ দিনে বা রাতে পড়া যায়। তবে রাতে পড়া উত্তম।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ছবি