https://jobbd.org/%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%ae%e0%a7%8e-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a4-%e0%a6%97%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%be-18-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af/
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়: কৃষ্ণ কর্তৃক কর্মের ফল এবং নিষ্ফলতার প্রকৃতি
শ্রীকৃষ্ণ বললেন:
১. হে অর্জুন, কর্মের ফলের প্রকৃতি আমি তোমাকে বলছি, যা জানলে তুমি কর্মে আবদ্ধ হবে না।
২. কর্মের তিনটি প্রকার আছে: সাত্ত্বিক, রাজসিক এবং তামসিক।
৩. সাত্ত্বিক কর্ম হল সেই কর্ম যা জ্ঞান, ভক্তি এবং সত্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
৪. রাজসিক কর্ম হল সেই কর্ম যা অহংকার, লাভ এবং সংসার লোভের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
৫. তামসিক কর্ম হল সেই কর্ম যা অজ্ঞানতা, ক্রোধ এবং লোভের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
৬. সাত্ত্বিক কর্মের ফল সুখ, জ্ঞান এবং মোক্ষের দিকে নিয়ে যায়।
৭. রাজসিক কর্মের ফল দুঃখ, সংসার বন্ধন এবং পুনর্জন্মের দিকে নিয়ে যায়।
৮. তামসিক কর্মের ফল দুঃখ, অজ্ঞানতা এবং নিম্নতর জন্মের দিকে নিয়ে যায়।
৯. কর্মের প্রভাবে মানুষ জীবিত থাকে, কর্মের দ্বারা সে সুখী হয়, কর্মের দ্বারা সে দুঃখিত হয় এবং কর্মের দ্বারা সে মৃত্যুবরণ করে।
১০. কর্মের দ্বারাই মানুষ সুখী হয়, কর্মের দ্বারা সে দুঃখিত হয় এবং কর্মের দ্বারাই সে মুক্তি লাভ করে।
১১. তাই তুমি কর্ম কর, কিন্তু কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকো। এইভাবে তুমি কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হবে।
১২. যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে, তারাই প্রকৃত কর্মযোগী। তারাই জ্ঞান লাভ করে এবং মোক্ষ লাভ করে।
১৩. যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে না, তারা কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। তারা পুনর্জন্মের চক্রে ঘুরে বেড়ায়।
১৪. হে অর্জুন, যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে তারাই প্রকৃত মুক্তি লাভ করে। তারাই ব্রহ্মের সাথে এক হয়ে যায়।
এই অধ্যায়ে, শ্রীকৃষ্ণ কর্মের ফল এবং নিষ্ফলতার প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে কর্মের তিনটি প্রকার আছে: সাত্ত্বিক, রাজসিক এবং তামসিক। সাত্ত্বিক কর্মের ফল সুখ, জ্ঞান এবং মোক্ষের দিকে নিয়ে যায়। রাজসিক কর্মের ফল দুঃখ, সংসার বন্ধন এবং পুনর্জন্মের দিকে নিয়ে যায়। তামসিক কর্মের ফল দুঃখ, অজ্ঞানতা এবং নিম্নতর জন্মের দিকে নিয়ে যায়।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
শ্রীকৃষ্ণ আরও বলেছেন যে কর্মের প্রভাবে মানুষ জীবিত থাকে, কর্মের দ্বারা সে সুখী হয়, কর্মের দ্বারা সে দুঃখিত হয় এবং কর্মের দ্বারা সে মৃত্যুবরণ করে। কর্মের দ্বারাই মানুষ সুখী হয়, কর্মের দ্বারা সে দুঃখিত হয় এবং কর্মের দ্বারাই সে মুক্তি লাভ করে। তাই মানুষকে কর্ম করতে হবে, কিন্তু কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে হবে। এইভাবেই সে কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হবে।
যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে তারাই প্রকৃত কর্মযোগী। তারাই জ্ঞান লাভ করে এবং মোক্ষ লাভ করে। যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে না, তারা কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। তারা পুনর্জন্মের চক্রে ঘুরে বেড়ায়।
যারা কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকে তারাই প্রকৃত মুক্তি লাভ করে। তারাই ব্রহ্মের সাথে এক হয়ে যায়।
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 1 অধ্যায়
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 1 অধ্যায়: যুদ্ধের পূর্বে অর্জুনের সংকল্পহীনতা
কৃষ্ণ বললেন:
১. একদা অর্জুন, কৃষ্ণ, দ্রৌপদী এবং অন্যান্য পান্ডব সেনারা কুরুক্ষেত্রের ময়দানে উপস্থিত হলেন।
২. যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে অর্জুন তার রথের উপরে উঠলেন।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
৩. যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয়ে অর্জুন দেখতে পেলেন যে তার বিপক্ষে তারই পিতা, মাতা, বন্ধু এবং আত্মীয়রা লড়াই করছে।
৪. অর্জুন দেখতে পেলেন যে তার পিতা, ভীষ্ম, তার শিক্ষক। তার মাতা, কুন্তী, তার স্ত্রী, দ্রৌপদী। তার বন্ধু, ধৃষ্টদ্যুম্ন। তার আত্মীয়, কর্ণ।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
৫. অর্জুন এই চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়লেন যে তিনি কিভাবে তার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করবেন?
৬. অর্জুন তার রথ থেকে নেমে কৃষ্ণের কাছে এসে বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমি আমার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করতে পারছি না।”
৭. কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি কি যুদ্ধ করতে চাও না, নাকি জয় করতে চাও না?”
৮. অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি যুদ্ধ করতে চাই, কিন্তু আমি জয় করতে চাই না। আমি আমার আত্মীয়দের হত্যা করতে চাই না।”
৯. কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, যুদ্ধে তোমার আত্মীয়রাও তোমাকে হত্যা করতে চাইছে। তাই তুমি যদি যুদ্ধ না কর, তাহলে তুমি তাদের দ্বারা হত্যা হবে।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
১০. অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি যদি মারা যাই, তাহলেও আমি সুখী হব। কিন্তু যদি আমি আমার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করি, তাহলে আমি কখনও সুখী হব না।”
১১. কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি যদি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকো, তাহলে তুমি তোমার আত্মীয়দের হত্যা করেও পাপী হবে না।
১২. অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে পারছি না। আমি আমার আত্মীয়দের হত্যা করে পাপী হতে চাই না।”
১৩. কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি যদি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে না পার, তাহলে তুমি যুদ্ধ করতে পার না।
১৪. অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, তাহলে আমি যুদ্ধ করব না। আমি আমার রথ থেকে নেমে যাচ্ছি।”
এইভাবে, যুদ্ধের পূর্বে অর্জুন কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত হতে না পেরে সংকল্পহীন হয়ে পড়েন।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
গীতা প্রথম অধ্যায় সারাংশ
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা প্রথম অধ্যায়: অর্জুন-বিষাদ যোগ
গীতার প্রথম অধ্যায়, অর্জুন-বিষাদ যোগ, যুদ্ধের পূর্বে অর্জুনের সংকল্পহীনতার কথা বর্ণনা করে।
একদা অর্জুন, কৃষ্ণ, দ্রৌপদী এবং অন্যান্য পান্ডব সেনারা কুরুক্ষেত্রের ময়দানে উপস্থিত হলেন। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে অর্জুন তার রথের উপরে উঠলেন।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয়ে অর্জুন দেখতে পেলেন যে তার বিপক্ষে তারই পিতা, মাতা, বন্ধু এবং আত্মীয়রা লড়াই করছে। তিনি দেখতে পেলেন যে তার পিতা, ভীষ্ম, তার শিক্ষক। তার মাতা, কুন্তী, তার স্ত্রী, দ্রৌপদী। তার বন্ধু, ধৃষ্টদ্যুম্ন। তার আত্মীয়, কর্ণ।
অর্জুন এই চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়লেন যে তিনি কিভাবে তার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করবেন? তিনি তার রথ থেকে নেমে কৃষ্ণের কাছে এসে বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমি আমার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করতে পারছি না।”
কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি কি যুদ্ধ করতে চাও না, নাকি জয় করতে চাও না?”
অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি যুদ্ধ করতে চাই, কিন্তু আমি জয় করতে চাই না। আমি আমার আত্মীয়দের হত্যা করতে চাই না।”শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, যুদ্ধে তোমার আত্মীয়রাও তোমাকে হত্যা করতে চাইছে। তাই তুমি যদি যুদ্ধ না কর, তাহলে তুমি তাদের দ্বারা হত্যা হবে।
অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি যদি মারা যাই, তাহলেও আমি সুখী হব। কিন্তু যদি আমি আমার নিজের আত্মীয়দের হত্যা করি, তাহলে আমি কখনও সুখী হব না।”
কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি যদি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকো, তাহলে তুমি তোমার আত্মীয়দের হত্যা করেও পাপী হবে না।
অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, আমি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে পারছি না। আমি আমার আত্মীয়দের হত্যা করে পাপী হতে চাই না।”শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়
কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, “হে অর্জুন, তুমি যদি কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে না পার, তাহলে তুমি যুদ্ধ করতে পার না।
অর্জুন বললেন, “হে কৃষ্ণ, তাহলে আমি যুদ্ধ করব না। আমি আমার রথ থেকে নেমে যাচ্ছি।”
এইভাবে, যুদ্ধের পূর্বে অর্জুন কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত হতে না পেরে সংকল্পহীন হয়ে পড়েন।
গীতার এই অধ্যায় থেকে আমরা শিখতে পারি যে,
- কর্মের ফলের প্রতি নির্লিপ্ত থাকাই কর্তব্য।
- যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতেও বিষয়বস্তুকে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- আত্মসংযম এবং জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমরা কর্মের বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে পারি।শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়