হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই শবে কদরের নামাজ কত রাকাত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে শবে কদরের নামাজ কত রাকাত সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত? শবে কদরের নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রতি দুই রাকাতে একটি সালাম ফিরিয়ে পড়তে হয়। এ নামাজের নিয়ম হলো,
- প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর যেকোনো একটি সূরা পড়তে হয়।
- দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর সুরা ইখলাস পড়তে হয়।
- দুই রাকাত নামাজ শেষে যেকোনো দোয়া পড়তে হয়।
শবে কদরের নামাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সূরা পড়ার প্রয়োজন নেই। তবে, সুরা ইখলাস পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
শবে কদরের রাতে সারা রাত ইবাদত করার চেষ্টা করা উচিত। এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ইত্যাদি ইবাদত করা উচিত। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত তা জেনে নইন।
শবে কদরের নামাজের মুনাজাত
শবে কদরের নামাজের মুনাজাত হলো এমন একটি দোয়া যা শবে কদরের নামাজ শেষে পড়া হয়। এ দোয়াটিতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত, বরকত, কল্যাণ ও সকল প্রয়োজনীয় জিনিস চাওয়া হয়। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং নামাজের মুনাজাত।
শবে কদরের নামাজের মুনাজাতের একটি উদাহরণ হলো:
اَللّٰهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমাকে ভালোবাসো। তাই আমাকে ক্ষমা কর।
শবে কদরের নামাজের মুনাজাতের আরেকটি উদাহরণ হলো:
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّيْ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ، خَلَقْتَنِيْ وَاَنَا عَبْدُكَ، وَاَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، اَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَاَبُوْءُ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْلِيْ فَاِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি ওয়ালা ইলাহা ইল্লা আংতা, খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুক, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাত্বতু, আউযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া, ওয়া আবুউ বিঝুনুবী, ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয জুনুবা ইল্লা আংতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার রব, তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিয়ম ও প্রতিশ্রুতির উপর আছি। আমি আমার কৃতকর্মের ক্ষতি থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি তোমার নেয়ামতের স্বীকৃতি দিচ্ছি এবং আমার পাপের স্বীকারোক্তি করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা কর। কেননা, তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত ও কি কি
শবে কদরের নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রতি দুই রাকাতে একটি সালাম ফিরিয়ে পড়তে হয়। এ নামাজের নিয়ম হলো,
- প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর যেকোনো একটি সূরা পড়তে হয়।
- দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর সুরা ইখলাস পড়তে হয়।
- দুই রাকাত নামাজ শেষে যেকোনো দোয়া পড়তে হয়।
শবে কদরের নামাজের কি কি?
শবে কদরের নামাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সূরা পড়ার প্রয়োজন নেই। তবে, সুরা ইখলাস পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। সুরা ইখলাস হলো আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা। এ সূরাটি পড়ার ফলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়।
শবে কদরের রাতে সারা রাত ইবাদত করার চেষ্টা করা উচিত। এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ইত্যাদি ইবাদত করা উচিত।
27 এর নামাজ কত রাকাত
27 এর নামাজ হলো শবে কদরের নামাজ। শবে কদরের নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রতি দুই রাকাতে একটি সালাম ফিরিয়ে পড়তে হয়। এ নামাজের নিয়ম হলো,
- প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর যেকোনো একটি সূরা পড়তে হয়।
- দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর সুরা ইখলাস পড়তে হয়।
- দুই রাকাত নামাজ শেষে যেকোনো দোয়া পড়তে হয়।
সাব এ খাদ্র নামাজ রাকাত
সাব এ খাদ্র বা শবে কদরের নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রতি দুই রাকাতে একটি সালাম ফিরিয়ে পড়তে হয়। এ নামাজের নিয়ম হলো,
- প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর যেকোনো একটি সূরা পড়তে হয়।
- দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর সুরা ইখলাস পড়তে হয়।
- দুই রাকাত নামাজ শেষে যেকোনো দোয়া পড়তে হয়।
শবে কদরের রাতে সারা রাত ইবাদত করার চেষ্টা করা উচিত। এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ইত্যাদি ইবাদত করা উচিত।
শবে কদরের জিকির
শবে কদরের রাতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি জিকির-আজকারের গুরুত্ব অপরিসীম। এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত, বরকত, কল্যাণ ও সকল প্রয়োজনীয় জিনিস চাওয়ার জন্য জিকির-আজকার করা বিশেষভাবে ফজিলতপূর্ণ। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং জিকির।
শবে কদরের রাতে পড়ার জন্য কিছু জিকির-আজকারের মধ্যে রয়েছে:
-
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
-
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম।
-
আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।
-
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
-
রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।
-
রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।
-
লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
-
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন।
কদরের রাত কত রোজায়
কদরের রাত রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতের মধ্যে একটি। সুতরাং, ২৭, ২৯, ২১, ২৩, বা ২৫ রোজার মধ্যে একটি রাত কদরের রাত হতে পারে। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং কত রোজায়?
বাংলাদেশে সাধারণত ২৭ রমজানকে কদরের রাত হিসেবে পালন করা হয়। তবে, এটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তাই, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
কদরের রাত হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে মহিমান্বিত ও বরকতপূর্ণ রাত। এ রাতে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ইত্যাদি ইবাদত করলে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও বরকত লাভ হয়।
কদরের নামাজ জামাতে পড়া যাবে কি
কদরের নামাজ কত রাকাত এবং জামাতে পড়া যাবে কি? শবে কদরের নামাজ জামাতে পড়া যাবে কি না, তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু আলেম মনে করেন, শবে কদরের নামাজ জামাতে পড়া উত্তম। কারণ, এতে জামাতের ফজিলত পাওয়া যায়। আবার, কিছু আলেম মনে করেন, শবে কদরের নামাজ একা পড়াই উত্তম। কারণ, এ রাতে ইবাদতের জন্য মনোযোগ ও একাগ্রতার প্রয়োজন হয়।
তবে, হাদিস শরিফে শবে কদরের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম উল্লেখ নেই। তাই, শবে কদরের নামাজ জামাতে পড়লে কোনো সমস্যা নেই। তবে, একা পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।
শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে
শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে পড়া উচিত, তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু আলেম মনে করেন, শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে পড়া উচিত। কারণ, বিতরের নামাজ রমজানের শেষ রাতে পড়ার সুন্নত এবং শবে কদরের নামাজ কত রাকাত রয়েছে। আবার, কিছু আলেম মনে করেন, শবে কদরের নামাজ বিতরের পরে পড়া উচিত। কারণ, এ রাতে বেশিক্ষণ ইবাদত করার জন্য বিতরের পরে শবে কদরের নামাজ পড়া ভালো। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং বিতরের আগে না পরে।
তবে, হাদিস শরিফে শবে কদরের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম উল্লেখ নেই। তাই, শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে পড়লে কোনো সমস্যা নেই। তবে, বিতরের পরে পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।
শবে কদরের নামাজের ফজিলত অনেক। এ রাতে নামাজ পড়লে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয় এবং গুনাহ মাফ হয়।
শব ই কদরের দোয়া
শবে কদরের রাতে পড়ার জন্য কিছু দোয়া রয়েছে। এ দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত, বরকত, কল্যাণ ও সকল প্রয়োজনীয় জিনিস চাওয়া যায়। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং দোয়া।
শবে কদরের রাতে পড়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলো,
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।
এছাড়াও, শবে কদরের রাতে শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং পড়ার জন্য আরও কিছু দোয়া হলো,
- رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ: রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।
-
- رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।
অর্থ: হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।
-
- رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
-
- اللهمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَأَحْيِهِمْ وَتَوَفَّاهُمْ فِيْ خَيْرٍ وَأَدْخِلْهُمْ الْجَنَّةَ وَعَافِهِمْ مِنْ كُلِّ بَلَاءٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইগফির লিলমুমিনিনা ওয়ালমুমিনাতী ওয়ালমুসলিমিনা ওয়ালমুসলিমাত, ওয়া আহয়িহিম ওয়াতাওফফাহুম ফি খায়ের, ওয়া আদখিলহুমুল জান্নাত, ওয়া আফিহিম মিন কুল্লি বালা।
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের এই শবে কদরের নামাজ কত রাকাত প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ কখন বলতে হয়