https://jobbd.org/%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8/
নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
২০২২ সালের ৫ই জুন, নুপুর শর্মা ভারতের একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। বিতর্কের সময়, তিনি হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ হজরত মহম্মদকে একজন যুদ্ধবাজ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, যিনি ৯ বছর বয়সী শিশু আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন।”
নুপুর শর্মার এই মন্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ও সহিংসতা দেখা দেয়।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
নুপুর শর্মা তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু তাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বাংলায় একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
- নুপুর শর্মা ভারতের একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন।
- বিতর্কের সময়, তিনি হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।
- তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ হজরত মহম্মদকে একজন যুদ্ধবাজ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, যিনি ৯ বছর বয়সী শিশু আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন।”
- নুপুর শর্মার এই মন্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
- ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ও সহিংসতা দেখা দেয়।
- নুপুর শর্মা তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু তাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
- ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
নুপুর শর্মা আর কে?
নূপুর শর্মা হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী। তিনি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র ছিলেন। তাকে নির্লজ্জ ও স্পষ্টভাষী হিসেবে বর্ণনা করা হয়, তিনি প্রায়শই ভারতীয় টেলিভিশন বিতর্কে একজন সরকারী মুখপাত্র হিসাবে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেন।
নুপুর শর্মা ১৯৮৫ সালের ২৩শে এপ্রিল নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ করার সময়, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি ২০১৫ সালে দিল্লি বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি নির্বাচিত হন।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
২০২২ সালের মে মাসে, নুপুর শর্মা একটি টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যগুলির জন্য তিনি ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন।
এই মন্তব্যগুলির কারণে, নুপুর শর্মাকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গার জন্যও দায়ী করা হয়েছে।
নুপুর শর্মার মন্তব্যগুলি ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এই মন্তব্যগুলির কারণে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
নুপুর শর্মা ইনস্টাগ্রাম
নুপুর শর্মার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। তার প্রোফাইলটিতে ৪.১ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার ছিল এবং তিনি প্রায়ই তার রাজনৈতিক মতামত এবং জীবনযাত্রার ছবি শেয়ার করতেন।
২০২২ সালের মে মাসে, নুপুর শর্মা একটি টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যগুলির জন্য তিনি ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন।
এই মন্তব্যগুলির কারণে, নুপুর শর্মা বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারা (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত) এবং ৫০৫(২) ধারা (সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে জনসাধারণকে উত্তেজিত করা) অনুসারে মামলা করা হয়।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
নুপুর শর্মার মন্তব্যগুলির কারণে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এই দাঙ্গায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন।
নুপুর শর্মার মন্তব্যগুলির কারণে তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটিতে অনেক মানুষ তার মন্তব্যগুলির নিন্দা জানিয়ে মন্তব্য করেন।
এই সমালোচনার কারণে, নুপুর শর্মা তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি নিষ্ক্রিয় করে দেন।
নুপুর শর্মার বক্তব্য
নুপুর শর্মা ২০২২ সালের মে মাসে একটি টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘তুমি কাউকে তোমার স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করার জন্য বলো না।'”
এই মন্তব্যগুলির জন্য তিনি ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন।
নুপুর শর্মা তার মন্তব্যগুলি প্রত্যাহার করে নেন এবং ক্ষমা চান। তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত যদি আমার মন্তব্যগুলি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।”
যাইহোক, তার মন্তব্যগুলির কারণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এই দাঙ্গায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
নুপুর শর্মার মন্তব্যগুলির জন্য ভারতের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ে। অনেক মুসলিম দেশ ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানায়।
নুপুর শর্মার মন্তব্যগুলি ভারতে একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেয়। অনেক বিরোধী দল নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানায়।
অবশেষে, ২০২২ সালের জুন মাসে, নুপুর শর্মা বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মক্কার ইমামের কাছে নূপুর শর্মার তওবা করার দাবিটি মিথ্যা
হ্যাঁ, মক্কার ইমামের কাছে নূপুর শর্মার তওবা করার দাবিটি মিথ্যা।
২০২২ সালের জুলাই মাসে, ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, নুপুর শর্মা মক্কার ইমামের কাছে তওবা করেছেন। এই খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে এর প্রতিক্রিয়া আসে।
তবে, মক্কার ইমাম ড. আবদুল্লাহ বিন বাকর আল-হুতাইবি এই খবরটিকে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি নূপুর শর্মাকে জানি না এবং তিনি আমার সাথে দেখা করেননি।”নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন
ড. আল-হুতাইবি আরও বলেন, “যদিও আমি কারো তওবা গ্রহণ করতে পারি, কিন্তু আমি কোনো ব্যক্তির তওবা গ্রহণের দাবি করতে পারি না।”
নুপুর শর্মার তওবা করার দাবিটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হওয়ায়, এটি একটি গুজব বলে মনে করা হচ্ছে। এই গুজবটি প্রচার করার উদ্দেশ্য কী ছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন যে, এই গুজবটি প্রচার করার উদ্দেশ্য ছিল ভারত ও বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে শান্ত করার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, এই গুজবটি প্রচার করার উদ্দেশ্য ছিল নুপুর শর্মাকে জনগণের চোখে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করা।নুপুর শর্মা কি বলেছিলেন