দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

Table of Contents

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণ

বিদ্যা মানুষের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যা মানুষকে আলোকিত করে, সত্যের পথে পরিচালিত করে। বিদ্বান ব্যক্তিকে সমাজে সর্বত্র সম্মান করা হয়। কিন্তু বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে তার বিদ্যার কোন মূল্য থাকে না। বরং সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র থাকে খারাপ। সে মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর ইত্যাদি। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না। সে বিদ্যা অর্জন করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। সে বিদ্যার আলোকে আলোকিত না হয়ে বিদ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে।

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তি সমাজে বিভিন্ন ক্ষতি করে। সে সমাজে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে অন্যদের প্রতারিত করে, তাদের ক্ষতি করে। সে সমাজে কুশিক্ষার প্রসার ঘটায়।

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির তুলনা করা যায় সাপের সাথে। সাপের মাথায় থাকে মূল্যবান মণি। কিন্তু সাপের মাথায় হাত দেওয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সুতরাং, বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি চরিত্র গঠন করাও জরুরি। বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

উপসংহার

বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি চরিত্র গঠন করা উচিত। বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য উক্তিটি কার

“দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য” উক্তিটি রামায়ণের রাবনের চরিত্র থেকে নেওয়া। রামায়ণে রাবণ ছিলেন একজন বিদ্বান, কিন্তু তিনি ছিলেন একজন দুর্জন। তিনি সীতা হরণ করেছিলেন এবং তারপর তাকে বন্দি করে রেখেছিলেন। রাবণের দ্বারা সীতার অপহরণের ফলে রাম-রাবণের যুদ্ধ হয়েছিল এবং রাবণ যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

আরো পড়ুনঃ  মেয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা কবিতা

রাবণের চরিত্র থেকে এই উক্তিটি বোঝা যায় যে, বিদ্যা যতই বেশি হোক না কেন, যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে তার বিদ্যার কোন মূল্য থাকে না। বরং সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

এই উক্তিটি বিভিন্ন মনীষী দ্বারা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে, বিদ্যা মানুষকে আলোকিত করে, কিন্তু দুর্জন ব্যক্তির মন অন্ধ থাকে। তাই তার বিদ্যা কোন কাজে আসে না। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, দুর্জন ব্যক্তি তার বিদ্যা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। সে অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না। তাই তার বিদ্যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

যাইহোক, এই উক্তিটি থেকে এটা বোঝা যায় যে, বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি চরিত্র গঠন করাও জরুরি। বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য নিয়ে প্রবাদ

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য

এই প্রবাদটি বিদ্যা ও চরিত্রের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। বিদ্যা মানুষের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যা মানুষকে আলোকিত করে, সত্যের পথে পরিচালিত করে। কিন্তু বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে তার বিদ্যার কোন মূল্য থাকে না। বরং সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র থাকে খারাপ। সে মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর ইত্যাদি। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না। সে বিদ্যা অর্জন করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। সে বিদ্যার আলোকে আলোকিত না হয়ে বিদ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে।

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তি সমাজে বিভিন্ন ক্ষতি করে। সে সমাজে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে অন্যদের প্রতারিত করে, তাদের ক্ষতি করে। সে সমাজে কুশিক্ষার প্রসার ঘটায়।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির তুলনা করা যায় সাপের সাথে। সাপের মাথায় থাকে মূল্যবান মণি। কিন্তু সাপের মাথায় হাত দেওয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আরো পড়ুনঃ  প্রিয়জনের মৃত্যু নিয়ে স্ট্যাটাস

সুতরাং, বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি চরিত্র গঠন করাও জরুরি। বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

এছাড়াও, এই প্রবাদের সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু প্রবাদ রয়েছে, যেমন:

  • বিদ্যা বড়ো ভয়ংকর, যদি না হয় চরিত্রের সঙ্গী।
  • বিদ্যা মণি, যদি না হয় গুণী।
  • বিদ্যা দিয়ে বড়ো হয় মানুষ, কিন্তু গুণ দিয়ে হয় মহৎ।

এই প্রবাদগুলি থেকে বোঝা যায় যে, বিদ্যা ও চরিত্র উভয়ই মানুষের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যা ছাড়া চরিত্র গঠিত হয় না, আবার চরিত্র ছাড়া বিদ্যা অর্থহীন।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য কবিতা

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য

বিদ্যা মানুষকে আলোকিত করে, সত্যের পথে পরিচালিত করে। বিদ্বান ব্যক্তিকে সমাজে সর্বত্র সম্মান করা হয়।

কিন্তু বিদ্বান হলেও যদি কেউ দুর্জন হয়, তাহলে তার বিদ্যার কোন মূল্য থাকে না। বরং সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র থাকে খারাপ। সে মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর ইত্যাদি। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

সে বিদ্যা অর্জন করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। সে বিদ্যার আলোকে আলোকিত না হয়ে বিদ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে।

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তি সমাজে বিভিন্ন ক্ষতি করে। সে সমাজে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে অন্যদের প্রতারিত করে, তাদের ক্ষতি করে। সে সমাজে কুশিক্ষার প্রসার ঘটায়।

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির তুলনা করা যায় সাপের সাথে। সাপের মাথায় থাকে মূল্যবান মণি। কিন্তু সাপের মাথায় হাত দেওয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

কবিতাটির মূলভাব

বিদ্যা ও চরিত্র উভয়ই মানুষের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যা ছাড়া চরিত্র গঠিত হয় না, আবার চরিত্র ছাড়া বিদ্যা অর্থহীন। দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র খারাপ। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না। সে বিদ্যা অর্জন করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

আরো পড়ুনঃ  নাইট তীর রেজাল্ট

দুর্জন কাকে বলে

দুর্জন শব্দের অর্থ হলো “মন্দ লোক”। দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র খারাপ। সে মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর ইত্যাদি। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না।

দুর্জন ব্যক্তির কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো:

  • মিথ্যাবাদিতা: সে মিথ্যা কথা বলে অন্যদের প্রতারিত করে।
  • প্রতারণা: সে অন্যদের প্রতারণা করে তাদের ক্ষতি করে।
  • লোভ: সে অন্যদের সম্পদ লোভ করে।
  • স্বার্থপরতা: সে নিজের স্বার্থের কথাই ভাবে, অন্যদের কথা ভাবে না।

দুর্জন ব্যক্তি সমাজে বিভিন্ন ক্ষতি করে। সে সমাজে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে অন্যদের প্রতারিত করে, তাদের ক্ষতি করে। সে সমাজে কুশিক্ষার প্রসার ঘটায়।

দুর্জন ব্যক্তির তুলনা করা যায় সাপের সাথে। সাপের মাথায় থাকে মূল্যবান মণি। কিন্তু সাপের মাথায় হাত দেওয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সুতরাং, দুর্জন ব্যক্তি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুর্জন ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করা উচিত।দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিপরীত শব্দ

দুর্জন শব্দের বিপরীত শব্দ হল সুজন

দুর্জন শব্দের অর্থ হলো “মন্দ লোক”। দুর্জন ব্যক্তির চরিত্র খারাপ। সে মিথ্যাবাদী, প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর ইত্যাদি। সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না।

সুজন শব্দের অর্থ হলো “ভাল লোক”। সুজন ব্যক্তির চরিত্র ভালো। সে সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ, পরোপকারী ইত্যাদি। সে অন্যদের ক্ষতি করতে চায় না।

সুতরাং, দুর্জনের বিপরীত শব্দ হল সুজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top