ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদেরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কতটুকু জেনে নিন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব সড়কপথে ৩৯৭.৬ কিলোমিটার। এই দূরত্বটি ঢাকার মহাখালী থেকে কক্সবাজারের লাবণী বিচ পর্যন্ত। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য সাধারণত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ব্যবহার করা হয়। এই মহাসড়কটি চার লেন বিশিষ্ট এবং বেশ ভালোভাবে সংস্কার করা হয়েছে। তাই এই পথে গাড়িতে করে কক্সবাজার যেতে প্রায় ৮ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট সময় লাগে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বাস, ট্রেন, এবং বিমান এই তিনটি মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। বাস এবং ট্রেনের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের জন্য আলাদা বাস বা ট্রেন ধরতে হয়। বিমানে করে সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া যায়। বিমানে করে কক্সবাজার যেতে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভাড়া কত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভাড়া কত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন মাধ্যমের ভাড়া নিম্নরূপ:

বাস

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বিভিন্ন বাস কোম্পানি বাস পরিচালনা করে। এসব বাসের ভাড়া সাধারণত ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, পর্যটন মৌসুমে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করতে বাস দিয়ে সময় বেশি লাগবে।

ট্রেন

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ারে ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারে ১,০৫০ টাকা, এবং এসি বার্থে ১,৭২৫ টাকা। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেন দিয়ে সময় বাস এর সমান এই তবে এই ক্ষেত্রে আরামদায়ক।

আরো পড়ুনঃ  Is counterstrain therapy covered by insurance

বিমান

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রতিদিন তিনটি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করে। এসব বিমানের ভাড়া সাধারণত ৪,৮০০ থেকে ৯,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, পর্যটন মৌসুমে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করতে বিমান দিয়ে সবচেয়ে কম সময় লাগে।

সুতরাং, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া হলো ২,৫০০ টাকা (বাসে) এবং সর্বোচ্চ ভাড়া হলো ৯,৫০০ টাকা (বিমানে)।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া কত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া কত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন, বিমান সংস্থা, ফ্লাইটের সময়, টিকিট কেনার সময়, এবং টিকিট কেনার পদ্ধতি। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করুন বিমান দিয়ে।

বর্তমানে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারে প্রতিদিন তিনটি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই বিমান সংস্থাগুলো হলো:

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

এই তিনটি বিমান সংস্থার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বিমান ভাড়া নিম্নরূপ:

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

  • ইকোনমি সার্ভিস: ৪,৮০০ থেকে ৯,৫০০ টাকা
  • বিজনেস সার্ভিস: ১২,৫০০ থেকে ১৫,৫০০ টাকা

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

  • ইকোনমি সার্ভিস: ৪,৫০০ থেকে ৯,০০০ টাকা
  • বিজনেস সার্ভিস: ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা

নভোএয়ার

  • ইকোনমি সার্ভিস: ৪,২০০ থেকে ৮,৮০০ টাকা
  • বিজনেস সার্ভিস: ১১,৮০০ থেকে ১৪,৮০০ টাকা

উল্লেখ্য, এই ভাড়াগুলো সকল প্রকার ট্যাক্স ও চার্জসহ।

সাধারণত, ছুটির দিনে এবং পর্যটন মৌসুমে বিমান ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। এছাড়াও, অনলাইনে টিকিট কিনলে সাধারণত কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন কবে চালু হবে

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন কবে চালু হবে

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কি দিয়ে যাবেন? ট্রেনকবে থেকে চালু হবে জেনে নিন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে “কক্সবাজার এক্সপ্রেস” নামের একটি ট্রেন চালু হয়েছে। এই ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ১০:৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন ভোর ৬:৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছায়। ফিরতি পথে ট্রেনটি দুপুর ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯:১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করুন ট্রেন দিয়ে।

আরো পড়ুনঃ  নতুন বছরের ইসলামিক স্ট্যাটাস ২০২৪

এই ট্রেনটিতে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এবং এসি বার্থ মিলিয়ে মোট ৭৭৯ থেকে ৮২৪টি আসন রয়েছে। ট্রেনটি চালানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সম্প্রতি আনা উন্নত মানের নতুন ১৮টি কোচ সম্বলিত আন্তঃনগর ট্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব সড়কপথে ৩৯৭.৬ কিলোমিটার। তাহলে আপনার যেতে কত সময় লাগবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে “কক্সবাজার এক্সপ্রেস” নামের একটি ট্রেন চালু হয়েছে। এই ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ১০:৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন ভোর ৬:৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছায়। ফিরতি পথে ট্রেনটি দুপুর ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯:১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।

এই ট্রেনটিতে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এবং এসি বার্থ মিলিয়ে মোট ৭৭৯ থেকে ৮২৪টি আসন রয়েছে। ট্রেনটি চালানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সম্প্রতি আনা উন্নত মানের নতুন ১৮টি কোচ সম্বলিত আন্তঃনগর ট্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাস ভাড়া কত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাস ভাড়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন, বাস কোম্পানি, বাসের ধরন, এবং টিকিট কেনার সময়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অতিক্রম করুন বাস দিয়ে।

বর্তমানে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন বাস কোম্পানি বাস পরিচালনা করে। এই বাসগুলোর ভাড়া সাধারণত ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, পর্যটন মৌসুমে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে।

সাধারণত, নন-এসি বাসের ভাড়া তুলনামূলক কম হয়। এসি বাসের ভাড়া একটু বেশি হয়। এছাড়াও, ছুটির দিনে এবং পর্যটন মৌসুমে বাস ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাস ভাড়ার কিছু উদাহরণ নিম্নরূপ:

  • গ্রিনলাইন পরিবহন: ২,৫০০ টাকা
  • সৌদিয়া পরিবহন: ২,৮০০ টাকা
  • শ্যামলী পরিবহন: ৩,০০০ টাকা
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ: ৩,২০০ টাকা
আরো পড়ুনঃ  জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস

অনলাইনে টিকিট কিনলে সাধারণত কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া নিম্নরূপ:

  • শোভন চেয়ার: ৬৯৫ টাকা
  • এসি চেয়ার: ১,০৫০ টাকা
  • এসি বার্থ: ১,৭২৫ টাকা

এই ভাড়াগুলো সকল প্রকার ট্যাক্স ও চার্জসহ।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কত? ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনটি “কক্সবাজার এক্সপ্রেস” নামে পরিচিত। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ১০:৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন ভোর ৬:৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছায়। ফিরতি পথে ট্রেনটি দুপুর ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯:১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।

ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। যেমন, ট্রেনের ধরন, আসন শ্রেণি, এবং দূরত্ব। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী ট্রেনটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এবং এসি বার্থ মিলিয়ে মোট ৭৭৯ থেকে ৮২৪টি আসন রয়েছে।

সাধারণত, শোভন চেয়ারের ভাড়া তুলনামূলক কম হয়। এসি চেয়ারের ভাড়া একটু বেশি হয়। আর এসি বার্থের ভাড়া সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়াও, ছুটির দিনে এবং পর্যটন মৌসুমে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কাতার এয়ারলাইন্স ঢাকা অফিস ফোন নাম্বার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top