https://jobbd.org/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%9c-%e0%a6%b0%e0%a6%82-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b8/
জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সবুজ রং সম্পদ, উর্বরতা, শান্তি, এবং বাংলাদেশের প্রকৃতির প্রতীক।
সবুজ রঙ প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কৃষি এবং বনজ সম্পদের প্রতিনিধিত্ব করে। সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি এবং তারুণ্যের প্রতীকও।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক হিসেবেও সবুজ রঙকে ব্যাখ্যা করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি সবুজ রঙের একটি আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্তের সমন্বয়ে গঠিত। লাল বৃত্তটি উদীয়মান সূর্যের প্রতীক।জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সবুজ রঙটি বাংলাদেশের জনগণের আশা এবং স্বপ্নের প্রতীক। এটি বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেয়।
জাতীয় পতাকার রং কি কি?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকার রং বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে, কিছু রং বিশ্বের অনেক জাতীয় পতাকার মধ্যেই দেখা যায়। যেমন, লাল রং, নীল রং, সাদা রং, এবং সবুজ রং।জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
লাল রং
লাল রং সাহস, শক্তি, উৎসাহ, এবং ভালোবাসার প্রতীক। এটি আগুন, রক্ত, এবং বিপ্লবের প্রতীকও। বিশ্বের অনেক জাতীয় পতাকার মধ্যে লাল রং দেখা যায়। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, এবং ভারতের জাতীয় পতাকার মধ্যে লাল রং রয়েছে।
নীল রং
নীল রং শান্তি, আকাশ, সমুদ্র, এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এটি স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা, এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীকও। বিশ্বের অনেক জাতীয় পতাকার মধ্যে নীল রং দেখা যায়। যেমন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকার মধ্যে নীল রং রয়েছে।জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
সাদা রং
সাদা রং শান্তি, পবিত্রতা, নির্মলতা, এবং সত্যের প্রতীক। এটি ঐক্য, সম্প্রীতি, এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীকও। বিশ্বের অনেক জাতীয় পতাকার মধ্যে সাদা রং দেখা যায়। যেমন, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, জাপান, এবং তুরস্কের জাতীয় পতাকার মধ্যে সাদা রং রয়েছে।
সবুজ রং
সবুজ রং প্রকৃতি, উর্বরতা, শান্তি, এবং আশার প্রতীক। এটি ইসলামের প্রতীকও। বিশ্বের অনেক জাতীয় পতাকার মধ্যে সবুজ রং দেখা যায়। যেমন, বাংলাদেশ, ইরান, তুর্কি, এবং মিশরের জাতীয় পতাকার মধ্যে সবুজ রং রয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্বের কিছু দেশের জাতীয় পতাকার মধ্যে অন্যান্য রংও দেখা যায়। যেমন, হলুদ রং, কমলা রং, এবং কালো রং।জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত?
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। অর্থাৎ, পতাকার দৈর্ঘ্য তার প্রস্থের চেয়ে ১০ ভাগের ৬ ভাগ বেশি।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি সবুজ রঙের একটি আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্তের সমন্বয়ে গঠিত। আয়তক্ষেত্রটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৬ ফুট প্রস্থের হয়। লাল বৃত্তটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় পতাকা বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হলেন শিবনারায়ণ দাস। তিনি একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত এগারটার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন।
শিবনারায়ণ দাসের নকশায়, পতাকাটি ছিল সবুজ রঙের একটি আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্তের সমন্বয়ে গঠিত। লাল বৃত্তটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক।জাতীয় পতাকার সবুজ রং কিসের প্রতীক
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় প্রথমবারের মতো এই পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই পতাকাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক ছিল।
১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় পতাকা বিধিমালা দ্বারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এই বিধিমালায়, শিবনারায়ণ দাসের নকশার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটির বর্তমান রূপ নির্ধারিত হয়।