https://jobbd.org/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae/
চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম যথাক্রমে রেনমিন্বি এবং ইয়েন।
- রেনমিন্বি (Renminbi) হল চীনের জাতীয় মুদ্রা। এটিকে চীনা ইউয়ান (Chinese Yuan)ও বলা হয়। Renminbi শব্দের অর্থ হল “জনগণের মুদ্রা”।
- ইয়েন (Yen) হল জাপানের জাতীয় মুদ্রা। এটিকে জাপানি ইয়েন (Japanese Yen)ও বলা হয়। Yen শব্দের অর্থ হল “হাত”।
চীন ও জাপান উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ। তাই তাদের মুদ্রার মানও বেশ উচ্চ।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপানের প্রধান মুদ্রা কি
জাপানের প্রধান মুদ্রা হল ইয়েন (¥)। এটিকে জাপানি ইয়েন (Japanese Yen)ও বলা হয়। ইয়েন শব্দের অর্থ হল “হাত”।
ইয়েন হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুদ্রা, মার্কিন ডলার এবং ইউরো এর পরে। এটি জাপানের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইয়েনকে সাধারণত ¥ চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ইয়েন ১০০ সেন্টে বিভক্ত। সেন্টগুলিকে sen হিসাবে বলা হয়। ইয়েনের ছোটতম মূল্যমান হল ১ ইয়েন, যাকে 1 yen বলা হয়।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপান এর সর্বনিম্ন বেতন কত?
জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় ৯৫৪ ইয়েন (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০০ টাকা)। কর্মীরা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সে হিসাবে একজন কর্মী মাসে পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো।
তবে কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বেতনের টাকা দেওয়া হয় ব্যাংক হিসাবে।
জাপানের শ্রম আইনে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্মীদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বেশি বেতন দিতে পারেন।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপানে ভালো বেতন কত
জাপানে ভালো বেতন নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর, যেমন:
- কাজের ধরন
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- অভিজ্ঞতা
- কোম্পানির আকার এবং অবস্থান
সাধারণভাবে, জাপানে ভালো বেতন বলতে মাসিক বেতন ¥500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩,৫০,০০০ টাকা) এর বেশি বোঝায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ¥1,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,০০,০০০ টাকা) এর বেশি বেতনও পাওয়া যেতে পারে।
এখানে কিছু পেশার উদাহরণ দেওয়া হল যেখানে জাপানে ভালো বেতন পাওয়া যায়:
- প্রকৌশলী
- ডাক্তার
- শিক্ষক
- আইনজীবী
- বিনিয়োগ ব্যাংকার
- সিনিয়র ম্যানেজার
নিম্নলিখিত চিত্রটি জাপানে বিভিন্ন পেশার গড় বেতন দেখায়:
জাপানে ভালো বেতন পেতে হলে উচ্চ শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, জাপানি ভাষা জানাও একটি সুবিধা।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
2023 সালে জাপানের গড় বেতন কত
জাপানের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, 2023 সালে জাপানের গড় বেতন ¥4,202,400 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯,৬০,০০০ টাকা)। এটি 2022 সালের তুলনায় 2.2% বৃদ্ধি।
এই গড় বেতনটি সকল পেশার কর্মীদের জন্য। বিভিন্ন পেশার জন্য গড় বেতন আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, প্রকৌশলীদের জন্য গড় বেতন ¥7,500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় 53,00,০০০ টাকা), ডাক্তারদের জন্য গড় বেতন ¥10,000,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০,০০,০০০ টাকা), এবং শিক্ষকদের জন্য গড় বেতন ¥4,500,000 (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১,৫০,০০০ টাকা)।
জাপানে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়, যেমন:
- কাজের ধরন
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- অভিজ্ঞতা
- কোম্পানির আকার এবং অবস্থান
সাধারণভাবে, জাপানে বেতন বৃদ্ধি প্রতি বছর 2-3% হয়।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
ইয়েন কিভাবে কাজ করে
ইয়েন হল জাপানের জাতীয় মুদ্রা। এটি একটি ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট মুদ্রা, যার অর্থ হল এর মান অন্যান্য মুদ্রার সাথে বাজারের শক্তির উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
ইয়েনের মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়, যেমন:
- জাপানের অর্থনীতির অবস্থা
- জাপানের সুদের হার
- জাপানের বাণিজ্য ভারসাম্য
- বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা
যখন জাপানের অর্থনীতি ভালো থাকে, তখন ইয়েনের মান সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ, বিদেশীরা জাপানি পণ্য ও পরিষেবা আমদানির জন্য ইয়েন কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যখন জাপানের সুদের হার বেশি থাকে, তখন ইয়েনের মান সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা জাপানে তাদের অর্থ বিনিয়োগের জন্য ইয়েন কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
যখন জাপানের বাণিজ্য ভারসাম্য ইতিবাচক থাকে, তখন ইয়েনের মান সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ, জাপান থেকে পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানির জন্য বিদেশীরা ইয়েন কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থাও ইয়েনের মানকে প্রভাবিত করতে পারে। যখন বিশ্ব অর্থনীতি ভালো থাকে, তখন সাধারণত সমস্ত মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়।
ইয়েনের মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাপান সরকারের কোন ভূমিকা নেই। ইয়েনের মান বাজারের শক্তির উপর নির্ভর করে।
ইয়েন ব্যবহার করে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য করা হয়। এছাড়াও, ইয়েন বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রা। অনেক দেশ জাপানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য ইয়েন ব্যবহার করে।
ইয়েন একটি স্থিতিশীল মুদ্রা। এর মান সাধারণত খুব বেশি পরিবর্তিত হয় না। এ কারণে ইয়েন একটি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নাম কি
আজ ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নাম ফুমিও কিশিদা। তিনি ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর থেকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাপানের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি।
ফুমিও কিশিদা একজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
জ ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর, জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশের ০.৭৩ টাকা। অর্থাৎ, ১ জাপানি ইয়েন = ০.৭৩ বাংলাদেশি টাকা।
ইয়েন এবং টাকা দুটিই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট মুদ্রা। এর মানে হল যে, তাদের মান বাজারের শক্তির উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। তাই, এই মানটি স্থির নয়।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপানের পার্লামেন্টের নাম কি
জাপানের পার্লামেন্টের নাম জাতীয় আইনসভা (Kokkai)। এটি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। এর নিম্নকক্ষকে প্রতিনিধিসভা (Shūgiin) এবং উচ্চকক্ষকে কাউন্সিলদের হাউস (Sangiin) বলা হয়।
প্রতিনিধিসভার সদস্য সংখ্যা 465 জন। এদের প্রত্যেককে ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলদের হাউসের সদস্য সংখ্যা ২৪৮ জন। এদের প্রত্যেককে ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
জাতীয় আইনসভা জাপানের আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন এবং জাতীয় নীতি নির্ধারণের কাজ করে। এটি জাপানের সরকারের সর্বোচ্চ আইনসভা।চীন ও জাপানের মুদ্রার নাম কি
জাপানের পার্লামেন্টকে ডায়েট বলা হয় কেন
জাপানের পার্লামেন্টকে ডায়েট বলা হয় কারণ এটি “কনভেনশন” বা “সম্মেলন” এর জন্য একটি জাপানি শব্দ। এটি প্রথমবার 1868 সালের মেইজি পুনর্গঠনের পর ব্যবহৃত হয়েছিল। ডায়েট একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, যার নিম্নকক্ষকে প্রতিনিধিসভা এবং উচ্চকক্ষকে কাউন্সিলদের হাউস বলা হয়। প্রতিনিধিসভার সদস্যরা জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হন, যখন কাউন্সিলদের হাউসের সদস্যরা প্রতিনিধিসভার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। ডায়েট জাপানের আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন এবং জাতীয় নীতি নির্ধারণের কাজ করে। ডায়েট জাপানের সরকারের সর্বোচ্চ আইনসভা।